March 12, 2016

এ, সি, আর ফর্ম পূরনের নিয়মাবলী



                          এ, সি, আর ফর্ম পূরনের নিয়মাবলী


১। এ,সি, আর মানে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ।প্রতিবছর জানুয়ারী মাসের ১৫তারিখের মধো প্রধান শিক্ষক সাহেব অধিনস্থ সহকারী শিক্ষকগনের গত বছরের এ,সি আর দিবেন।প্রতি বছরের এ, সি, আর প্রতি বছরই দিতে হবে।ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ক্রমেই তা ফেলে রাখা যাবে না।লক্ষ্য করা গেছে যে ,দক্ষতা সীমা ,টাইমস্কেল কিংবা পদোন্নতির জন্য কন শিক্ষকের ৩ বছরের বা ৫বছপ্রের এ,সি আর চাওয়া হলে একই সঙ্গে ৩/৫ বছরের এ, সি আর তৈরি করে জমা দেওয়া হয়।অর্থাৎ ঐ বছর গুলিতে সময়মত  তাদের এ,সি,আর দেওয়া হয়নি।এই চর্চা পরিহার করতে হবে।প্রতিবছর নিয়মিত এ,সি,আর না দিলে প্রধান 

শিক্ষক দায়ী থাকবেন।
২।প্রতি শিক্ষকের জন্য ২ কপি করে এ,সি,আর ফরম প্রধান শিক্ষক সাহেব সম্পূর্ণ নিজ হাতে পূরণ করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট গোপনে জমা দিবেন।
৩।এ,সি আর ফরমে প্রত্যেকটি কলাম যথাযথ ভাবে পূরন করতে হবে।কনো কলাম ফাকা রাখা যাবে না।কিছু লেখার না থাকলে ‘প্রযোজ্য নয়’ কথাটি লেখতে হবে।
৪।এ, সি ,আর অত্যান্ত গোপনীয় জিনিস।সুতরাং তা গোপন রাখতে হবে এবং অন্যের হাতে না দিয়ে নিজ হাতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের  নিকট পৌছাতে হবে।কি এ, সি আর দেওয়া হয়েছে তা শিক্ষকগনকে জানানো যাবে না।
৫।প্রধান শিক্ষকের অধিনে কনো সহকারী শিক্ষক ৩ মাসের অধিক চাকুরী করলে তার পুরো বছরের এ, সি আর দেওয়ে যাবে।
৬।প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহনের পর ১ বছর পর্যন্ত অধিনস্থ শিক্ষকগনের পূর্বে বছর গুলোর এ সি আর দিতে পারবেন।
৭।এ সি আর ফরমের ২ নং পাতায় ‘ফরম পুরনের নির্দেশাবলী’ এর ১ (ক) (খ) (গ) এবং ২ (ক) (খ) (গ) বিশেষ ভাবে পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।
৮।এ, সি আর ফরম কখনো ভাজ করা যাবে না।আস্ত অবস্থায় প্যাকেট করে জমা দিতে হবে।
৯।এ, সি, আর ফরমের উপরে ‘অফিসের নাম’ এর জায়গায় স্কুলের নাম লেখতে হবে।
১০।‘বার্ষিক প্রতিবেদন’ বলেত বুঝায় প্রতিবছর যে এ, সি, আর, দেওয়া হয়।আর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় বছরের ভাঙ্গা অংশের কয়েক মাসের সি, আর দেওয়া।অথবা কয়েক বছরের এ, সি, আর এক সঙ্গে একই তারিখের সাক্ষরে  দেওয়া।সুতরাং বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হলে অফিসের নামের নিচে গত ১ বছরের প্রথম তারিখ এবং শেষ তারিখ লেখতে হবে।আর বিশেষ প্রতিবেদন হলে প্রকৃত তারিখ লেখতে হবে।
১১।এ,সি,আর ফরমের ‘অ’ অংশের ৫ (খ) কলাম শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ৯ নং কলাম হবে সি, এন, এড, অথবা বি, এড পাশের জন্য এবং বিশেষ কনো ট্রেনিং এর জন্য। ১০ নং কলামে ‘চাকুরির সঠিক মেয়াদ’ বলতে বুঝায় সহকারী শিক্ষক ঐ বছরের যে তারিখ থেকে যে তারিখ পর্যন্ত ঐ প্রধান শিক্ষকের অধীনে ছিলেন।
১২।ফরমের ‘আ’ অংশের ১৬,১৭,১৮,১৯ নং কলামে প্রধান শিক্ষক বিশেষ কিছু লেখতে চাইলে তা লেখতে পারবেন।
১৩।ফরমের ২ নং পাতায় ‘ই’ অংশের ১ ও ২ অনুচ্ছেদ পূরণ করার আগে পূর্বের পাতায় ‘আ’ অংশের যে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।কারন ঐ অংশের মূল্যায়নের সঙ্গে এই অংশের মূল্যায়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

১৫।সর্বোপরি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে, এ সি আর দেওয়া একটি পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং অন্যায় ভাবে কারও ভাল এ, সি, আর দেওয়া কিংবা খারাপ এ, সি আর, দেওয়া দুটোই সমান অপরাধ।যিনি এমনটি করবেন তিনি সরকার, দেশ,জাতি এবং স্রষ্টার নিকট দায়ী থাকবেন। 

                                                                                              

5 comments:

Unknown said...

তথ্যসূত্র দিলে ভালো হয়, ক্ষেত্রবিশেষ অনেক বিষয় বাস্তবে সাংগর্ষিক রূপ ধারণ করে।

রহমান said...

এটি অসম্পূর্ণ প্রতিবেদন'
১। কভার পেজের আরো দুটি লেখা আছে।
২। শুধু শিক্ষক আর সহকারী শিক্ষক কেন ? উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসারের এসি আর কে স্বাক্ষর আর কে প্রতি স্বাক্ষর করবেন ?
৩। যদি একজনের স্বাক্ষর কারী জানুয়ারি - এপ্রিল, জুন-আগস্ট, আগস্ট -ডিসেম্বর এমন তিন জন হয়, এবং প্রতি স্বাক্ষরকারী ফেব্রুয়ারি-সেপ্টেম্বর হয় তবে কি হবে ?
৪। কারো এ সি আর হারিয়ে গেলে স্বাক্ষরকারী কী ব্যাকডেটে স্বাক্ষর করবেন না বর্তমান ডেটে ? আর যদি তিনি মারা যান তবে কি হবে ?
এরূপ হাজার ও প্রশ্ন আছে । এসব কথা বিবেচনা করে এমন ব্লগ লিখলে ভাল হয়। নচেৎ না লেখাই ভাল।

Unknown said...

Masha Allah.....keep up your good work brother!!!

Anonymous said...

দু:খজনক হলেও সত্যি যে, শিক্ষকরা এ ব্যাপারে বেশি হয়রানির শিকার হন।

Anonymous said...

Thanks you may visit bdservicerules.info