January 31, 2018

মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় এর সঠিক পদ্ধতি


আমরা অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যাবহার এর উদ্দেশে ক্রয় বা বিক্রয় করে থাকি। কিন্তু অনেকেই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় এর সঠিক পদ্ধতি ও কি কি কাগজপত্র লাগে তা সন্মন্ধে জানি না।
আসুন দেখি একটি মোটর সাইকেল ক্রয় অথবা বিক্রয় এর সময় কি করাউচিত>

যেভাবে ঘুষ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন

লার্নার থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই এখানে লিখে দিয়েছি, কষ্ট করে পুরোটা পড়বেন। আশা করি তাহলে কোন দালাল ধরতে হবে না। মনে করতে পারেন চার-পাচ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিলেতো আর এই ঝামেলা পোহানো লাগবে না। ধারনাটি ভুল।
 ) আপনি যত টাকাই ঘুষ দেন না কেন আপনাকে অবশ্যই প্রতিটি ধাপ যথাযথভাবে পার করতে হবে। হয়তো টাকার জন্য পাস করে যাবেন।
২) আপনি টাকা দিলেই যে আপনার লাইসেন্স হবেই, তার সম্পূর্ণ কোন নিশ্চয়তা নাই। আরেকটা ব্যাপের তো সাথে থেকেই যায় যে কাকে টাকা দিবেন। এখন অনেকটাই কড়াকড়ি, তাই ঘুষ দিয়ে করা একটু ঝামেলা। তবে তার মাঝেও অনেকে ঘুষ দিয়ে লাইসেন্স করতেছে।
এবার মূল কথায় আসি, প্রথমে আপনাকে লার্নার কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে, (এটা লাইসেন্স না, এটা পরিক্ষার প্রবেশপত্র স্বরুপ) তার মাস তিনেক পর আপনার পরিক্ষার ডেট পরবে। এই লিঙ্ক থেকে লার্নার কার্ড করার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন।http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/app_for_learners_driving_license.pdf
তারপর লার্নার কার্ডটি যথাযথ পূরণ করে জমা দিয়ে দিন। সাথে যা যা লাগবে
১) ভোটার আইডির ফটোকপি। ( না থাকলে বয়স এবং ঠিকানার প্রমানপত্র)
২) ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্টের সাইজের ছবি।
৩) ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি।
৪) একজন এম,বি,বি,এস ডাক্তার কর্তৃক ফর্মটি সত্যায়িত করতে হবে। এই ফর্ম সত্যায়িত করাতে পারবেন ডাক্তার দ্বারা ৫০ টাকার বিনিময়ে)

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী: –
(ক) ০১ (এক) ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)
(খ) ০২ (দুই) ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা  (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সাথে যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী :-
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ১৬৮০/-টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফীসহ)
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ২৫৪২/-টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফীসহ)
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী: –
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- টাকা;
(খ)  অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা;
(গ) পেশাদার ও অপেশাদার উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০/- টাকা হরে জরিমানা প্রদান করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রতিলিপি ফী:
(ক) হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৮৭৫/-টাকা।


৫) লার্নার এর ফিস বাবদ ৫৭৫ টাকা। (টাকা কিছুটা কম বেশি হত পারে) যথাযথভাবে লার্নারের আবেদনপত্রটি জমা দিলে আপনাকে ২,৩ দিন পর লার্নার আনার জন্য ডেট দিবে,। আপনি ওই ডেটে গেলে আশা করি লার্নার পেয়ে যাবেন। আমার মনে হয় না একদিন আগে পাওয়ার জন্য দালাল ধরার দরকার আছে।
লার্নার পেলে দেখবেন যে আপনার ড্রাইভিং টেস্ট দেওয়ার জন্য একটা পরীক্ষার দিন এবং কোথায় পরিক্ষা হবে, সেটা দেওয়া আছে। পরিক্ষার দিন সকাল ৯ টার মধ্যে ওখানে উপস্থিত থাকবেন। ওখানে অনেক দালালই বলবে যে ঘুষ ছাড়া লাইসেন্স হয় না, এবং জিজ্ঞাসা করবে, “আপনার লোক আছে?” আপনি বলবেন, “হ্যা আমার লোক আছে” তা না হলে অনেকেই বিরক্ত করতে থাকবে।
কিছুক্ষণ পর পরিক্ষা শুরু হবে। পরিক্ষা তিন ধাপে হবে। মোটামুটি সারাদিন লেগে যাবে পরিক্ষার তিন ধাপ শেষ করতে, তাই ঐদিন কোন কাজ থাকলে তা ম্যানেজ করে নিন। আপনি একধাপে পাশ করলেই, কেবল পরের ধাপে পরিক্ষা দিতে পারবেন।
লিখিত পরিক্ষা টোটাল ২০ মার্কের লিখিত পরিক্ষা হবে। সময় ২০ মিনিট। আপনাকে ১২ পেতে হবে। ১২ পাওয়া অনেকটাই সহজ। তবে ইঞ্জিন মেকানিজমে আলাদা ২ মার্ক পেয়ে পাশ করতে হবে। প্রশ্নের ধরন
১) সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন -৬টি ৬ মার্ক
২) ইঞ্জিন মেকাজিম সম্পর্কিত প্রশ্ন- ৬টি ৬ মার্ক
৩) নৈর্বত্তিক – ৮ টি ৮ মার্ক নিচে একটি নমুনা প্রশ্নের লিঙ্ক দিয়ে দিলামhttp://www.brta.gov.bd/index.php/list-of-bank-and-branches/31-services/driving-license/129-sample-questions
লিখিত পরিক্ষার জন্য BRTA থেকে ১২৬ টি প্রশ্ন দেওয়া আছে। এর বাহিরে আশা করি তেমন কিছুই থাকবে না। এই কয়টি প্রশ্ন ভাল করে পড়ে গেলে পাশ নিশ্চিত। নিচে ১২৬ টি প্রশ্নের লিঙ্ক এবং এবং কিছু নৈর্বত্তিক প্রশ্নের লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। http://www.brta.gov.bd/images/questions/question_bank.pdf
http://www.brta.gov.bd/images/questions/MCQ_question.pdf (আপনি পেশাদার/ অপেশাদার যে লাইসেন্সের জন্যই আবেদন করেন না কেন, কষ্ট করে ১২৬ টি প্রশ্নই ভাল করে পড়বেন। সব প্রশ্ন মুখস্থ করতে হবে না। জাস্ট কয়েকবার পড়েন। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো কষ্ট করে মুখস্থ করবেন।

এখানে দেখুন>> ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর

মৌখিক পরিক্ষা আশা করি এতক্ষণে আপনি লিখিত পরিক্ষায় পাস করে গেছেন। এখন মৌখিক পরিক্ষার পালা। এখানে আপনাকে বিভিন্ন চিহ্ন দেখিয়ে বলতে বলবে কোনটা দিয়ে কি বুঝানো হচ্ছে। মনে করতে পারেন এটা তো একদমই সহজ, কিন্তু না ভাই, একদম সহজগুলো আপনাকে ধরবে না। এখানে আশা করি ৫-৬ টির মত চিহ্ন দেখাতে পারে। এটার জন্যেও BRTA এর ওয়েবসাইটে সব ধরনের ট্রাফিক সাইন দেওয়া আছে, এর বাইরে কিছু থাকবে না। http://www.brta.gov.bd/index.php/traffic-signs
প্রাকটিকাল পরিক্ষা এবার আপনার মেইন পরিক্ষার পালা।
মটরসাইকেল আমার জানামতে মটরসাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় না। আপনি নিজের মটরসাইকেল নিয়ে যাবেন। অনেকে বলে যে Pulsar/ Apache/FZS বাইক দিয়ে প্রাকটিকাল পাস করা যায় না। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনি যদি প্রাকটিস করেন, অবশ্যই পাস করবেন।আমার নিজের Apache ১৫০ সিসি। আমি এটা দিয়েই পাস করেছি। ঐদিন ৩ জন পাস করেছে। এবং ৩টা ৩ ধরনের বাইক ছিল। অনেকে ছোট বাইক নিয়ে এসেছিল, কিন্তু একজনও সেই ছোট বাইক দিয়ে পাস করতে পারে নি। প্রাকটিকাল পরিক্ষার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে…
আগেই বলে নিচ্ছে পরিক্ষা ইচ্ছে করে কঠিন নেয়, যেন আপনি ফেল করেন এবং দালাল ধরেন। নিচের বিষয় খেয়াল রাখলে আশাকরি পাশ করে যাবেন।
১) আপনি যত ভালই বাইক রাইডার হন না কেন, ঝিকঝ্যাক (সাপের মত করে রাস্তা) রোডে পা না ফেলে যাওয়া এবং আবার সব শেষে পা না ফেলে অল্প যায়গার মধ্যে U-Turn নিয়ে একই ভাবে ফিরে আসা অনেকটা কঠিন।
২) পরিক্ষার ভেনুতে বসে পরিক্ষার আগে কয়েকবার প্রাকটিস করুন। ( আমি প্রায় ১০০-১৫০ বার প্রাকটিস করেছি।)
৩) ১০ ফুট পরপর লাঠি দেওয়া থাকবে, লাঠিতে লেগে গেলে, বা পা পড়ে গেল আপনি সাথে সাথে ডিসকলিফাই।
৪) অবশ্যই হেলমেট পরিধান করে নিবেন।
চার চাকা (প্রাইভেট কার) আপনি ইচ্ছে করলে নিজের গাড়ি অথবা ২০০-৪০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে পরিক্ষা দিতে পারবেন। নিজের গাড়ি থাকলে অবশ্যই নিজের গাড়ি দিয়ে পরিক্ষা দিবেন, তবে ছোট গাড়ি হলে ভাল হয়। ওখানকার বেশিরভাগ গাড়িই ম্যানুয়াল। অটো গিয়ারও থাকে। তবে ম্যানুয়াল গাড়িগুলো সাইজে ছোট, তাই পাস করা সহজ। করণীয় বিষয়সমূহ
১) আপানাকে ব্যাক গিয়ারে পিছনে গিয়ে নির্দিষ্ট একটা যায়গায় পার্কিং করতে হবে, আর ভাগ্য খারাপ থাকলে ইংরেজি Z এর মত রাস্তায় পিছনে আসতে হবে।
২) পরিক্ষার আগে আপনি ওদের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে কয়েকবার প্রাকটিস করে নিতে পারেন।
৩) বাইকের মতই লাঠিতে লেগে গেলে আপনি বাদ।
৪) আপনি সবার শেষের দিকে পরিক্ষা দিবেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে কিভাবে করলে অনায়াসে গাড়ি পাশ করতে পারবেন।
যদি ফেল করেন–
১) যদি লিখিত মৌখিক বা লিখিত পরিক্ষায় ফেল করেন, তাহলে নতুন করে লিখিত পরিক্ষা থেকেই আবার শুরু করা লাগবে।
২) যদি প্রাকটিকালে ফেল করেন, তাহলে আপনাকে পরেরবার শুধু প্রাকটিকাল দিলেই চলবে।
৩) আপনি ২টি যানের জন্য আবেদন করে যদি একটাতে পাশ করেন, তাহলে আপনি চাইলে পাশকৃত একটি যানের জন্য লাইসেন্স নিতে পারবেন, অথবা আবার প্রাকটিকাল দিয়ে ২টা যানের জন্যই লাইসেন্স নিতে পারবেন।
৪) পরবর্তিতে আপনাকে পুনরায় পরিক্ষার জন্য একটি নতুন দিন দিবে। নিজ দায়িত্বে পরিক্ষার দিন ঠিক করে আনবেন।
যদি পাস করেন
১) ৮-১০ দিন পর আপনাকে লার্নার আনতে হবে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে।
২) তারপর নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে সাথে আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র এবং নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
৩) আবেদন করার পর আপনাকে ছবি তোলার জন্য একটা ডেট দিবে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি রসিদ প্রদান করবে, যা দিয়ে আপনি অনায়েসে রাস্তায় ড্রাইভিং করতে পারবেন, পুলিশ লাইসেন্সের ইস্যুতে ঝামেলা করতে পারবে না।
৪) নির্ধারিত দিনে গিয়ে ছবি তুলে আসবেন।
৫) তারপর ওরা আপানার ছবি তুলবে এবং আঙ্গুলের ছাপ নিবে। তারপর আপনার সামনেই আপনার নাম ঠিকানা সহ যে বিষয়গুলো লাইসেন্সে উল্লেখিত থাকবে, তা পূরণ করবে। এবং পূরন করা শেষে বিষয়গুলো ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য সাইন করতে বলবে। ভাল করে সকল বিষয় খেয়াল করে সাইন করবেন।
৬) সবকিছু ঠিকঠাকমত সম্পন্ন করতে পারলে আপনাকে লাইসেন্স আনার জন্য একটা ডেট দিবে। আশা করি তার আগেই আপনার মোবাইলে ম্যাসেজ চলে আসবে। না আসলেও আপনি নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে খোজ নিবেন। পাশ করেন বা ফেল করেন, আপনাকে ঐ দিনই লার্নার দিবেনা। কয়েকদিন পর নির্দিষ্ট স্থান থেকে লার্নার কার্ডটি আনতে হবে ।
বিঃদ্রঃ সম্পূর্ণ আমার বাস্তব অভিজ্জতা থেকে লেখাগুলো লিখে শেয়ার করলাম। জানিনা কতটুকু কাজে দিবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে পয়েন্ট করে দিলাম
১) শুধু মটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারের লাইসেন্স করতে সর্বমোট ২৩০০+৫৭৫=২৮৭৫ টাকা BRTA তে জমা দিতে হবে। আর আপনি যদি দুইটা যানের লাইসেন্স একসাথে করেন, তাহলে আপনাকে মাত্র ১১৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
২) সবাই ৪০০০-৫০০০ অতিরিক্ত যে টাকা দিয়ে লাইসেন্স করে, আমি সেই টাকা দিয়ে একমাস প্রাইভেট কার শিখেছি। যদিও প্রাইভেট কার আমার দরকার ছিল না, কিন্তু পরে করতে গেলে অনেক ঝামেলা সহ্য করা লাগত।
৩) এক লার্নার কার্ড দিয়ে আপনি সর্বোচ্চ দুইবার পরিক্ষা দিতে পারবেন।
৪) কেউ আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে চাইলে সরাসরি পরিচালক বা উপপরিচালকের সাথে কথা বলুন, তারা আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবে, আমাকে সাহায্য করেছে।

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম

BRTA ড্রাইভিং পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক

January 29, 2018

VLC Media Player দিয়ে কী কী করা যায়?


VLC Media Player দিয়ে কী কী করা যায়?



VLC Media Player দিয়ে কী কী করা যায়?  
VLC Media Player একটি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় software. অডিও, ভিডিও প্লে করতে এটি সহজেই ব্যবহার করা যায়। এতে প্রায় সব মিডিয়া ফরম্যাট এর ফাইল খুবই সহজে ও দ্রুত চালু করা সম্ভব। কিন্তু এটি কেবল একটি মিডিয়া প্লেয়ারই নয়, একে দিয়ে আরও কিছু কাজ করা যায়। যেমন :

January 28, 2018

সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আবেদন জমা শেষ-২৮/২/১৮

নিজের বিদ্যালয়ের বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করুন নিজেরাই ( পদ্ধতি, উদাহরণ দেয়া আছে)



 যেকোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন, সে জন্যে দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করা যায়। সারা বছর সফলভাবে পাঠদান করার জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা আবশ্যক। পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত বিষয়বস্তুরপাঠদান ও বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনাকে বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা বলা যায়।
কোন শ্রেণির জন্য নির্ধারিত কোন বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক সারা বছরে সম্পূর্ণটা পড়িয়ে প্রয়োজন মত পুনরালোচনা করে তা থেকে গ্রহণ পরীক্ষা করতে পারলে আশা করা যায় যে, উক্ত বিষয় ও শ্রেণিতে পড়ানোর উদ্দেশ্য সাফল্য মণ্ডিত হয়েছে এবং ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। পাঠ্যপুস্তক কিংবা পাঠ্যসূচিতে যে সব বিষয়ের উল্লেখ আছে তা যদি সারা বছর পড়িয়ে শেষ না করা যায় তাহলে ছাত্র-ছাত্রী পরবর্তী শ্রেণিতে পাঠ গ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হবে না। এ জন্য বছরের প্রথম পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে হবে যেন সারা বছরে পাঠ্যসূচিতে উল্লিখিত বিষয় পড়িয়ে শেষ করা যায়, প্রয়োজন মত পুনরালোচনা করা যায় এবং বার্ষিক মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা যায়।

বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি না করলে বছরের শেষে দেখা যাবে কোন পাঠ্যবই একাধিকবার পড়ানো হয়েছে আর কোনটা হয়তো একবারও শেষ হয়নি। বিশেষতঃ যে সকল বিষয়ের জন্য পাঠ্যপুস্তক নেই, তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি না করে হঠাৎ শ্রেণিতে গিয়ে কী পড়াতে হবে তা শিক্ষক বুঝতে পারবেন না। ফলে পাঠ সার্থক হবে না এবং বছরের শেষে দেখা যাবে এই সব বিষয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু পড়ানো হয়নি কিংবা কতটুকু পড়ানো হয়েছে তারও কোন হদিস নেই। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পরিবেশ পরিচিতি, ধর্ম এবং সব শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলার কোন পাঠ্যপুস্তক নেই, এসব বিষয়ের পরিকল্পনা তৈরি না করে কোন রকমে পাঠদান সাফল্য মণ্ডিত করা যাবে না। সুতরাং পাঠদান যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষকের জানা অত্যন্ত জরুরী।

প্রতি বছরের শুরুতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ মিলে এনসিটিবি প্রণীত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসরণ করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। অনেক সময় অনাকাঙ্খিত কারণে যেমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ- বন্যা, ঘূর্নিঝড়, জলোচ্ছাস বা অন্য কোনো কারণে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসরণ করা সম্ভব হয়না তখন শিক্ষকগণ পরিকল্পনার সময় সমন্বয় করে তা শিক্ষার্থীদের জানাতে পারেন। এতে শিক্ষক বুঝতে পারেন তিনি পাঠ্যসূচির কতটুকু শেষ করেছেন আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে এবং এজন্য তার বাড়তি ক্লাসের প্রয়োজন হবে কিনা। বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা শিক্ষককে পাক্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রতিদিনের পাঠ পরিকল্পনা বা পাঠটিকা তৈরি করতে সহায়তা করে। সুতরাংক্লাস রুটিন প্রণয়নের পরে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যাবশ্যক
এক্ষেত্রে শিক্ষকগণ মিলিতভাবে হিসাব করে বছরের মোট কার্যদিন, তিনটি পরীক্ষার সময়কাল, পুনরালোচনা ও পাঠদানের জন্য বরাদ্দযোগ্য সময় ঠিক করবেন। এরপর প্রত্যেক শিক্ষক ক্লাস রুটিন মোতাবেক নিজ নিজ বিষয়ের পরিকল্পনা তৈরি করবেন এবং সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করবেন। এ ধরনের বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা যত্নের সাথে  খাতায় সংরক্ষণ করতে হবে।


বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরির পদ্ধতি :
কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য যে বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখা দরকার তা হলো :
         প্রথমতঃ বর্ষপঞ্জি, ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন দেখে সারা বছরে কোন বিষয়ের পাঠদানের জন্য কতটি কার্যদিবস পাওয়া যাবে তা হিসাব করে বের করতে হবেধরা যাক, একটি বছর ৫২ সপ্তাহে ৫২টি শুক্রবার ও ৭৫ দিন ছুটি থাকে, তাহলে সাপ্তাহিক ও উপলক্ষ ভিত্তিক ছুটি বাদ দিয়ে থাকে ৫২ সপ্তাহ বা ৩৬৫ দিন - (৫২+৭৫) দিন = ২৩৮ দিন। এ থেকে জানুয়ারি মাসের ২ সপ্তাহের ১২ দিন ও ডিসেম্বরে ২ সপ্তাহে ১২ দিন বাদ দিতে হবে। কারণ জানুয়ারি মাসে শিক্ষা সপ্তাহ পালন এবং ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার পর পড়া শুনা না হওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি বাদ দিয়ে সারা বছরে মোট কার্য দিবস পাওয়া যাবে ২৩৮ - (১২+১২) = ২১৪টি। অতএব যে বিষয়ে রুটিনে প্রতিদিন একটি করে ক্লাস আছে সে বিষয়ের জন্য সারা বছরে ২১৪টি কার্যদিবস পাওয়া যাবে। অনুরূপভাবে যে বিষয়ের জন্য সপ্তাহে ৩টি ক্লাস আছে তার কার্যদিবস হবে ২১৪ এর অর্ধেক, অর্থাৎ ২১৪ ¸ ২= ১০৭ দিন। এভাবেপ্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য কার্যদিবস হিসাব করে বের করতে হবে।
        দ্বিতীয়তঃ মনে রাখা দরকার কেবলমাত্র পাঠদানের জন্য সবগুলো কার্যদিবস পাওয়া যাবেনা। এ থেকে কয়েকটি দিন পুনরালোচনার জন্য এবং কয়েকটি দিন পরীক্ষার জন্য হাতে রাখতে হবে। যেমন- ৩টি পরীক্ষার জন্য মোট ৮ + ৮ + ৮ = ২৪ দিন রাখা যেতে পারে (প্রথম সাময়িক পরীক্ষা ৮ দিন, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ৮দিন এবং বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ৮দিন)। পুনরালোচনার জন্য মোটামুটিভাবে মোট কার্য দিবসের ১/৫ অংশ রাখা যায়। তাহলে দেখা যাচ্ছে ২১৪ এর ১/৫ = (প্রায়) ৪৩দিন পুনরালোচনার জন্য রাখতে হবে। সুতরাং পরীক্ষা ও পুনরালোচনার দিনগুলো বাদ দিয়ে মোট কার্যদিবস হয়, ২১৪-(২৪+৪৩) = ১৪৭ দিন।
     তৃতীয়তঃ পূর্ণবছরটিকে ৩ ভাগে ভাগ করতে হবে। জানুয়ারি থেকে ১ম সাময়িক পরীক্ষা পর্যন্ত, ১ম সাময়িক পরীক্ষার পর থেকে ২য় সাময়িক পরীক্ষা পর্যন্ত এবং ২য় সাময়িক পরীক্ষার পর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা পর্যন্ত
পরিশেষে শিক্ষকগণ নিম্নলিখিত ছক অনুযায়ী বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।
সময়াবদ্ধ বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা, ২০১৮
শ্রেণি : প্রথম,      বিষয় : বাংলা
পাঠ নম্বর
পাঠের শিরোনাম
পিরিয়ড সংখ্যা
পাঠদানের মাস ও  সপ্তাহ
মন্তব্য




















আবার বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনার নিম্নলিখিত আমার বিদ্যালয়ের উদাহরণটি  অনুসরণ করতে পারেন।যদিও তা গত বছরের                                                 
                                                     কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিরামপুর, দিনাজপুর 
                          বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা-২০১৭

              প্রথম শ্রেণি                                                                                বিষয় - বাংলা

ক্র
মাসের নাম
শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটি
কার্য দিবস
পাঠ
পাঠের বিষয়
পিরিয়ড সংখ্যা
পাঠ সমাপ্তির তারিখ
মন্তব্য
০১
জানুয়ারী
০৪+০১=০৫
২৬
আমার পরিচয়
১৫.১.১৭
# বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
# শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণে ১-৬ পর্যন্ত পাঠদান করতে হবে।
# বেইসলাইন মূল্যায়ন করা
আমি ও আমার সহপাঠী
১৭.১.১৭
আমরা কী কী কাজ করি
১৮.১.১৭
ছড়া : আতা গাছে তোতা পাখি
২১.১.১৭
কাক ও কলসি
২৩.১.১৭
আঁকাআঁকি
২৮.১.১৭
বর্ণশিখি : অ আ
৩০.১.১৭
০২



ফেব্রুয়ারী

০৪+০২=০৬

২২
বর্ণশিখি : ই ঈ
০২.২.১৭












বর্ণশিখি : উ ঊ
০৪.২.১৭
১০
বর্ণশিখি : ঋ
০৬.২.১৭
১১
বর্ণশিখি : এ ঐ
০৮.২.১৭
১২
বর্ণশিখি : ও ঔ
১১.২.১৭
১৩
স্বরবর্ণ
১৩.২.১৭
১৪
ছড়া : ইতল বিতল
১৫.২.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
১৬.২.১৭
১৫
রেখা যোগ করে আঁকি/স্বরবর্ণ
শনাক্তকরণ ও মূল্যায়ন
১৯.২.১৭
১৬
বর্ণশিখি : ক খ গ ঘ ঙ
২৫.২.১৭
০৩
মার্চ
০৫+০=০
১৭
বর্ণশিখি : চ ছ জ ঝ ঞ
০১.৩.১৭

১৮
বর্ণশিখি : ট ঠ ড ঢ ণ
০৬.৩.১৭
১৯
বর্ণশিখি : ত থ দ ধ ন
১১.৩.১৭
২০
বর্ণশিখি : প ফ ব ভ ম
১৬.৩.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
১৯.৩.১৭
২১
ছড়া : বাক বাকুম পায়রা
২৩.৩.১৭
২২
ছবি দেখি, শব্দ বলি ও লিখি
২৯.৩.১৭
০৪
এপ্রিল

০৪+০২=০৬
২৪
২৩
বর্ণশিখি : য র ল শ ষ
০৩.৪.১৭






২৪
বর্ণশিখি : স হ ড় ঢ় য়
০৮.৪.১৭
২৫
বর্ণশিখি : ৎ ং ঃ ঁ
১২.৪.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
১৫.৪.১৭
২৬
ব্যাঞ্জনবর্ণ (পড়া ও লেখা)
১৮.৪.১৭

পাঠের পুনরালোচনা
২২.৪.১৭

/০/১ - ৩/০/১
১ম সাময়িক পরীক্ষা
মে
+১=১
২৭
ছড়া : হনহন পনপন
০৮.৫.১৭






২৮
ব্যঞ্জনবর্ণ : পড়া ও লেখা
০৯.৫.১৭
২৯
বাংলা বর্ণমালা : পড়া ও লেখা
১৪.৫.১৭
৩০
ছড়া : মামার বাড়ি
১৬.৫.১৭
৩১
ছবি দেখি বলি ও লিখি
১৮.৫.১৭
৩২
আ- কার  া
২১.৫.১৭
৩৩
ই- কার  ি
২৩.৫.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
২৫.৫.১৭
জুন





পবিত্র রমজানের ছুটি



জুলাই



০৪+১=৫






৩৪
ঈ- কার  ী
০২.৭.১৭












৩৫
উ- কার  ু
০৪.৭.১৭
৩৬
ঊ- কার  ূ
০৬.৭.১৭
৩৭
ঋ- কার  ৃ
১০.৭.১৭
৩৮
এ- কার  ে
১২.৭.১৭
৩৯
ঐ- কার  ৈ
১৫.৭.১৭
৪০
ও- কার  ো
১৭.৭.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
১৮.৭.১৭
৪১
ঔ- কার  ৌ
২০.৭.১৭
৪২
কারচিহ্ন : শুনি ও বলি
২৩.৭.১৭
৪৩
খালি ঘরে কারচিহ্ন লিখি
২৫.৭.১৭
৪৪
ছড়া : ভোর হলো
২৭.৭.১৭
৪৫
শুভ ও দাদিমা
৩১.৭.১৭
আগস্ট
+০৩=

পাক্ষিক মূল্যায়ন ও পাঠের পুনরালোচনা
০৫.৮.১৭


/০৮/১ - ১/০৮/১
২য় সাময়িক পরীক্ষা
৪৬
রুবির বাগান
১৯.৮.১৭

৪৭
মায়ের ভালোবাসা
২২.৮.১৭
৪৮
মুমুর সাত দিন
২৬.৮.১৭
৪৯
ছড়ায় ছড়ায় সংখ্যা
৩০.৮.১৭
০৯
সেপ্টেম্বর
+০=

পাক্ষিক মূল্যায়ন
০৩.৯.১৭

৫০
পিঁপড়ে ও ঘুঘু
০৬.৯.১৭
৫১
গাছ লাগানো
০৯.৯.১৭
৫২
আমাদের দেশ
১২.৯.১৭
৫৩
ছবি নিয়ে কথা
১৩.৯.১৭
৫৪
ছড়া : ছুটি
১৬.৯.১৭
৫৫
মুক্তিযোদ্ধাদের কথা
১৯.৯.১৭

পাক্ষিক মূল্যায়ন
২০.৯.১৭
অক্টোবর
০৪+০=১


পুনরালোচনা
পাঠ-১ থেকে পাঠ-৪৩ পর্যন্ত

প্রতি কর্মদিবসে কমপক্ষে দুটি করে পাঠ
নভেম্বর
+০=০




পুনরালোচনা
পাঠ-৪৪ থেকে পাঠ-৫৫ পর্যন্ত
২৫

প্রতি কর্মদিবসে কমপক্ষে দুটি করে পাঠ
ডিসেম্বর
+০=০৫
০৮
+

পুনরালোচনা
১৮ নং থেকে ২৩ নং পর্যন্ত

বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন

১১/১২/১ - ১৮/১২/১

বার্ষিক পরীক্ষা



বার্ষিক পরীক্ষা ত্তর কর্মদিবস দিন