April 29, 2017

শিক্ষক বাতায়নে কিছু চমতকার কন্টেন্ট ( জয়নব) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য


শিক্ষক বাতায়নে কিছু চমতকার কন্টেন্ট ( জয়নব) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য
ডাউনলোড করতে ক্লিক এখানে 


     ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ইন্টারঅ্যাক্টিভ  ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.০১৭১৬৮৮৪৫৫১ অথবা আমার ফেসবুক ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন ।

April 28, 2017

শিক্ষক বাতায়নে সেরা রেটিং পেয়ে আপলোড কৃত সেরা কন্টেন্ট ( চলতি সপ্তাহে )


শিক্ষক বাতায়নে সেরা রেটিং পেয়ে আপলোড কৃত সেরা কন্টেন্ট ( চলতি সপ্তাহে ) ডাউনলোড করতে ক্লিক এখানে ( ১৯,৬ MB )

    ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ইন্টারঅ্যাক্টিভ  ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.০১৭১৬৮৮৪৫৫১ অথবা আমার ফেসবুক ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন ।

April 23, 2017

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ( সর্বশেষ প্রতিযোগিতা ) ১ম স্থান অধিকারি প্রাথমিকের একটি কন্টেন্ট (গণিত শতকরা )



২০১৫ সালের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় করা কন্টেন্টটি সবার জন্যে শেয়ার করলাম। ফাইলটি পাওয়ার পয়েন্ট ২০১৬ তে করা। তাই অফিস ৭ ভার্সনে ট্রানজাংশনগুলো ঠিকমত প্রদর্শিত নাও হতে পারে। তবে ২০১৩ ভার্সনে ঠিকভাবে প্রদর্শিত হবে। তবে, অফিস ৭ ভার্সনেও এটি প্রদর্শিত হবে।


জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ( সর্বশেষ প্রতিযোগিতা ) ১ম স্থান অধিকারি প্রাথমিকের একটি কন্টেন্ট (গণিত শতকরা ) ডাউনলোড করতে ক্লিক এখানে

April 11, 2017

সমাপনি পরিক্ষার প্রশ্ন পত্র প্রনয়ণ হয় যে ভাবে

প্রশ্নপত্র প্রণয়ন


এক নজরে ,প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ব্যবহৃত টেস্ট আইটেম ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম
  1. নেপ কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব ব্যাংক পরামর্শক এর মধ্যে বৈঠক ও নেপ অনুষদসদস্যগণের সাথে বিশ্ব ব্যাংক পরামর্শক এর  মতবিনিময় 
  2. পরামর্শক কর্তৃক নেপ এর মনোনীত অনুষদ সদস্যগণের জন্য ওয়ার্কশপ-এর আয়োজন
  3. পরামর্শক কর্তৃক  নেপ অনুষদ সদস্যগণের মধ্য থেকে প্রতি বিষয়ে  ২ জন করে ৯টি বিষয়ে  মোট ১৮ জনকে টেস্ট আইটেম উন্নয়ন কাজে মনোনয়ন প্রদান
  4. প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাঠামো নির্ধারণ করে ঢাকায় প্রাগম, ডিপিই, এনসিটিবি, নেপ, পিটিআই, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের মাধ্যমে  জাতীয় ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে প্রশ্নকাঠামো চুড়ান্ত করণ
  5. চুড়ান্তভাবে অনুমোদিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাঠামো নেপ এর ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করা
  6. মনোনীত ১৮ জনকে টেস্ট আইটেম উন্নয়ন বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান
  7. পরামর্শক-এর নেতৃত্বে নেপ-এর ১৮ জন অনুষদ সদস্য এবং মাঠ থেকে মনোনীত ১৪০ জন  বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্তৃক বিষয়ভিত্তিক টেস্ট আইটেম উন্নয়ন ও পরিমার্জন
  8. সারাদেশে নির্বাচিত জেলাসমূহ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক উপজেলার শহর ও প্রত্যন্ত এলাকার  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রণীত টেস্ট আইটেম পাইলটিং করা হয়
  9. পাইলটিং করা টেস্ট আইটেম মূল্যায়ন
  10. মূল্যায়নের ডাটা ItemAn Software এ   এনালাইসিস করা
  11. এনলাইসিস রিপোর্ট উন্নয়ন
  12. এনালাইসিস রিপোর্টের ভিত্তিতে পরামর্শক এর পরামর্শে  পুনরায় পরিমার্জন করা
  13. আইটেমসমূহ বাছাইয়ের সময় বিবেচ্য বিষয়-
    1.  শিখণের বিভিন্ন ক্ষেত্র
    2.  নির্ধারিত যোগ্যতাসমূহ
    3.  শিক্ষার্থীদের মেধার স্তরের ভিন্নতা
  14. পাইলট ও পরিমার্জন করা আইটেম থেকে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আইটেম বাছাই করণ
  15. অত্যন্ত দায়িত্বশীলতা ও গোপনীয়তার সাথে আইটেম ব্যাংকে সংরক্ষণ
  16. সারাদেশ থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে বহু সংখ্যক দক্ষ ও বিশ্বস্ত  বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক/ শিক্ষিকাকে অভীক্ষাপদ উন্নয়ন (Test Item Development) কাজে নেপ-এ মনোনয়ন
  17. অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে শিক্ষকগণকর্তৃক বহু সংখ্যক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র সেট প্রণয়ন
  18. সারাদেশ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বহু সংখ্যক দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তাকে প্রণীত প্রশ্নপত্র  মডারেশনের জন্য অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে নেপ-এ মনোনয়ন প্রদান
  19. মনোনীত কর্মকর্তাগণকর্তৃক অত্যন্ত গোপনীয়তা ও দক্ষতার সাথে বহু সংখ্যক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র মডারেশন করা
  20. মডারেশনকৃত হাতে লেখা প্রশ্নপত্রসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রচলিত গোপনীয়তার পদ্ধতিসমূহ অনুসরণপূর্বক ট্রাঙ্কজাত করে সংরক্ষণ
  21. বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের প্রণীত বহু সেট প্রশ্নপত্র বিজিপ্রেস কর্তৃপক্ষের নিকট  হস্তান্তর করণ
  22. পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার সংগে সংগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকগণের সহায়তায় মার্কিং স্কীম (উত্তরপত্র মূল্যায়ন নির্দেশিকা) প্রস্তুত  করা
  23. প্রস্তুতকৃত সেট ভিত্তিক মার্কিং স্কীম (উত্তরপত্র মূল্যায়ন নির্দেশিকা) মাহপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে  প্রেরণ করা

April 8, 2017

প্রাক-প্রাথমিকের ডিজিটাল কন্টেন্ট কোথায় কিভাবে পাবেন ?

ডিভিডি টি পেতে আমার ফেসবুকে ইনবক্সে লিখুন

নেত্রকোণার পূর্বধলার আরবান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জনাব, মোস্তফা জব্বার এর কিছু কথা







ডিজিটাল শিক্ষা শিশুর অধিকার

  আমি মনে করি, শিশুদের বিষয়টি আমরা বহুদিন ধরে অবহেলা করে আসছি। এমনকি কম্পিউটারকে শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কথাই আমরা ভাবিনি। প্রথাগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্প-কল-কারখানা কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ভাবনার কেন্দ্রে রয়েছে। কোনো কোনো সময় সরকারের কথাও ভাবা হয়। কিন্তু দেশের চার কোটি ছাত্র-ছাত্রীর কথা মোটেই ভাবা হয় না। আমি মনে করি শিশুতো বটেই সামগ্রিকভাবে শিক্ষা খাত আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কেন্দ্রতেই বিবেচিত হতে পারে। সম্ভবত এটি এই খাতের সবচেয়ে বড় হার্ডওয়্যার বাজার। শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্টও হতে পারে বিশাল একটি ক্ষেত্র। এর কারণটি হচ্ছে যে বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪ কোটি এবং শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। ওরা এখন বই-খাতা-কলম দিয়ে পড়াশোনা করে। বড়দের কেউ কেউ ল্যাপটপ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। ওদের হাতে নিজেদের স্মার্ট ফোনও থাকে। কিন্তু শিশুরা না হতে পারে কম্পিউটারের মালিক না হতে পারে স্মার্ট ফোনের অধিকারী। ওদের হাতে বাবা-মার স্মার্ট ফোনটা হয়তো কখনও খেলনা হিসেবে পৌঁছে এবং তারা তাতে গেম খেলে আনন্দ পায়। এই শিশুদের হাতে যদি ডিজিটাল ডিভাইস হিসেবে কম্পিউটার দেয়া যায় তবে সেই সংখ্যাটি হবে দুই কোটি। বিষয়টি এখানেও থামবে না। প্রতি বছর নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে এবং কেবলমাত্র প্রাথমিক স্তরে প্রতি বছর অন্তত ২৫ লাখ নতুন শিশু যোগ দেয়। দুই কোটি বিদ্যমান শিশুর সাথে যদি প্রতি বছরের ২৫ লাখকে যোগ করা যায় তবে আমরা বুঝতে সক্ষম হবো যে মুজিবুর রহমান স্বপন অত্যন্ত দূরদর্শী একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে, শিশুদের হাতে কম্পিউটার নামক ডিজিটাল যন্ত্র কিভাবে পৌঁছানো যাবে। এরই মাঝে আমরা সরকারকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলতে দেখছি। আমাদের সরকার ও নীতি নির্ধারকরা মনে করেন যে কম্পিউটার শেখা এবং কম্পিউটার দিয়ে শেখার জন্য ডিজিটাল ক্লাশরুম গড়ে তোলাটা কেবল তরুণ-তরুণীদের বা যুবাদের জন্যই হওয়া উচিত। যদিও কোনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এরই মাঝে একটি করে ল্যাপটপ বা কোথাও একটি ল্যাপটপ-একটি প্রজেক্টর দেয়া হয়েছে তথাপি শিশুদের কথা, তাদের ক্লাশরুম বা শিক্ষকের কথা মোটেই ভাবা হযনি। আমার এই ভাবনাটি অনেক আগের। আমি ৮৭ সালে অ্যাপল কম্পিউটারকে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে দেখেছি। আমি মালয়েশিয়ার স্মার্ট স্কুল দেখেছি। আমি ডেনমার্কের স্কুলের জন্য সফটওয়্যার বানিয়েছি। আমি ৯৭ সালে আমেরিকা থেকে সফটওয়্যার এনে নিজের ছেলেকে পড়িয়েছি। সেই ভাবনা থেকেই ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর গাজীপুরের ছায়াবিথীতে আমি একটি স্কুল গড়ে তুলি। গাজীপুরের আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক মজিবুর রহমানের পরিচালনায় স্কুলটির উদ্বোধন করেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ও তার স্ত্রী সেলিনা মল্লিক। সেখানেই আমরা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য প্রথম কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করি এবং তাদের ক্লাশরুমে কম্পিউটার নিয়ে গিয়ে কম্পিউটার দিয়ে লেখাপড়া করানো শুরু করি। তবে যে সমস্যাটি তখন তীব্র হয় সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের পাঠ্য বিষয় নিয়ে বাংলায় তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া যায়নি। আমার নিজের পরিচালনায় ৩২টি মাল্টিমিডিয়া সেন্টার থেকে এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েও গুণগত মান ভালো না হওয়ায় সুবিধা করতে পারছিলাম না। অবশেষে ২০০৯ থেকে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহি জেসমিন জুই ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর ২০১১ সালে প্রথম বিজয় শিশু শিক্ষা আত্মপ্রকাশ করে এবং এরপর থেকে অবিরাম কাজ করতে করতে আমরা ২০১৬ সাল নাগাদ প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সফটওয়্যার তৈরি করতে সক্ষম হই। জেসমিন ও তার বাহিনীকে এজন্য অভিনন্দন। ওরা আমার স্বপ্নটাকে পূর্ণতার দিকে নিয়ে এসেছে। বস্তুত ২০১১ সাল থেকেই এদেশের শিশুরা কম্পিউটার দিয়ে লেখাপড়া করার জগতে দারুণভাবে প্রবেশ করে। অনেকেই ব্যক্তিগত কম্পিউটারে আমাদের সফটওয়্যারগুলো ইন্সটল করে শিশুদেরকে তাদের শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করতে থাকেন। এরই মাঝে সরকারের এটুআই টিচার লেড কনটেন্ট নামক এক ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। সরকারের আইসিটি ডিভিশন বিনা টেন্ডারে ব্র্যাক নামক একটি এনজিওকে দিয়ে প্রাথমিকের সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও ব্র্যাককে দিয়ে একইভাবে বিণা টেণ্ডারে ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল কনটেন্ট বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান এক সময়ে ষষ্ঠ শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ২৫ লাখ ট্যাব দেবেন বলেও ঘোষণা করেছিলেন। তবে এসব কাজের কোনোটাই আলোর মুখ দেখার আগে আমরা একটি সাহসী উদ্যোগ নিতে সক্ষম হই। নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার আরবান একাডেমির প্রথম শ্রেণির ৪০টি শিশুর হাতে আমরা ৮ ইঞ্চির একটি ডিজিটাল ডিভাইস দিতে সক্ষম হই। মাত্র নয় হাজার টাকায় অরিজিনাল উইন্ডোজসহ এই ডিভাইসটিতে দেয়া হয় বিজয়-এর সকল শিক্ষামূলক সফটওয়্যার। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ এই ক্লাশরুমটির উদ্বোধন করেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক তরুণ কান্তি শিকদার। সেদিনের ফিতা কাটার ক্ষণটিতে আমি, জেসমিন, পরমাসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরাও ছিলাম। এরপর আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গৌরীপুরের শিশু শ্রেণির সকলকে এই ডিজিটাল ডিভাইস প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর বাইরেও অন্তত ২৫টি স্কুলে এই ডিভাইস পরীক্ষামূলকভাবে প্রদান করা হয়। আমি প্রত্যাশা করছি সরকারের টেলিকম বিভাগ সহসাই দেশের ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রীর হাতে এ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস দেবার জন্য একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রসঙ্গটি জাতীয় মিডিয়ারও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৮ জাুনয়ারি ১৬ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপা হয় একটি খবর। এর শিরোনাম ছিলো, “পুরোপুরি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশু আনন্দের সঙ্গেই শিখতে পারে।” খবরটিতে অ্যাপল কম্পিউটার থেকে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গড়ে তোলা এবং নিজস্ব ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয্যার তৈরির বিবরণ দেবার পর নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার আরবান স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতার বিবরণও প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়, “নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আরবান একাডেমির অধ্যক্ষ সৈয়দ আরিফুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্যালয়টির ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে বিজয় শিশুশিক্ষার প্রাক্-বিদ্যালয় বিষয়বস্তুগুলো শ্রেণিকক্ষে বড় পর্দায় দেখানো শুরু করি। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে পড়াশোনা করে।’ এরপর তিনি ভেবে দেখেন, যদি প্রতিটি শিশুর হাতে তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তবে আরও ভালো হয়। এর মধ্যে বিজয় শিশুশিক্ষা দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে ফেলে। এগিয়ে আসে বেসরকারি সংস্থা ডিনেট। ওদিকে মোস্তাফা জব্বার সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যান স্বল্পমূল্যে ট্যাবলেট কম্পিউটারের খোঁজে। অবশেষে সব ব্যবস্থা হয়ে গেলে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আরবান অ্যাকাডেমির প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৪০ শিক্ষার্থীর হাতে কি-বোর্ডসহ ট্যাবলেট কম্পিউটার তুলে দেওয়া হয়। ‘স্বদেশ’ নামের এই ট্যাবলেট কম্পিউটার বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে শিশুদের পাঠদানের উপযোগী করে। প্রতিটি ট্যাবলেটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রথম শ্রেণির সিলেবাস অনুসরণ করে তৈরি করা বিজয় প্রাথমিক শিক্ষা-১ সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা এসব কম্পিউটার ও ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বিজয় ডিজিটাল। সৈয়দ আরিফুজ্জামান ২০১৮ সালের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে এই ট্যাবলেট কম্পিউটার পৌঁছে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত এই শিক্ষার্থীরা ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্যবহার আয়ত্ত করে ফেলেছে। শিখছেও দ্রুত। এই মাধ্যমে শিক্ষা খুব কার্যকর হচ্ছে।’ আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, আমাদের দেশে তা হচ্ছে এত দিন পর। তবু তো চাকা গড়াল। সে জন্যও উদ্যোক্তারা একটা ধন্যবাদ তো পেতেই পারেন। তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে একদিন জ্যোতির্ময় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা। কেবল পূর্বধলার অভিজ্ঞতাই নয়, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল, গৌরীপুর, ই-বর্ণমালা স্কুল নোয়াপাড়া যশোর, ইংলিশ ভারসন স্কুল মিরপুরসহ অন্তত শ খানেক স্কুলে বিজয়-এর সফটওয়্যারসহ মিনি ল্যাপটপ পৌঁছেছে। কেউ কেউ ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও এই মিনি ল্যাপটপ পৌঁছে দিয়েছেন। কেউ কেউ ক্লাশরুমটাকে ডিজিটাল করেছেন।

 

April 6, 2017

শিক্ষক সহায়িকা, শিক্ষক সংস্করন প্রত্যেক বিদ্যালয়ে না পাবার নেপথ্যে কারন এই পত্র খানা

 ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.

প্রথম শ্রেনির পাঠ্য পুস্তক ( ২০১৭ সালের )


প্রথম শ্রেনির পাঠ্য পুস্তক ( ২০১৭ সালের )

আমার বাংলা বই

English for Today

 ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.

April 5, 2017

স্কুল হাইজিন ম্যানুয়াল


স্কুল হাইজিন ম্যানুয়াল ডাউনলোড করতে ক্লিক এখানে

  ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.

 

April 3, 2017

সিটিজেন চাটার্ড- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য



সিটিজেন চাটার্ড- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দেখতে বা ডাউনলোড করতেক্লিক এখানে 

 ডাউনলোড করলে ফ্রন্ট সাপোর্ট করবে

 ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.

April 1, 2017

শিক্ষকরা চায় তাদের কাজের স্বীকৃতি

একটা প্রবাদ আছে " যে দেশে গুণীর সমাদর নেই সে দেশে গুনীর জন্ম হয় না"। আমাদের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গমাইল দেশে জন সংখ্যা ১৬ কোটির ওপরে । আমাদের এই দেশে যে পরিমান গ্রাজুয়েট শিক্ষিত জনগোষ্ঠি আছে, ইউরোপের ১০টা দেশ মিলিয়েও সেই জন সংখ্যার সমান না। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের গর্ব করার মতো তেমন কোন অবদান নেই । এতো বিশাল জনগোষ্ঠী, এতো শিক্ষিত জনবল!!! নোবেল পুরস্কার নাই বললেই চলে । যেওবা আছে ( তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই বলছি) নিজে অর্থনীতির মানুষ হয়ে শান্তিতে নোবেল । সেটাও মাঝে মাঝে শুনি কোন এক জনগোষ্ঠী প্রতিবাদ করে, সেটা ফিরিয়ে নেয়া হোক ।
মাত্র ৬০ বছর আগে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ সিংগাপুর , যেটা ছিল এক সময়ে একটা জেলেদের দ্বীপ। দারিদ্র, ক্ষুধা, অশিক্ষা তথা চরম ভাবে বিপর্যস্থ একটি দেশ। কেবল মাত্র শিক্ষানীতির পরিবর্তন করে, আজ ৬০ বছর পরে, তারা চরম ভাবে উন্নয়নের শিখরে, আজ তাদের দেশের কেউ আমাদের দেশে চিকিৎসার জন্য আসে না বরং আমাদের প্রধান মন্ত্রী মাউন্ট এলিজাবেথে যান চিকিৎসার জন্য তাদের দেশে ।
আব্দুর রাজ্জাক যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার ছিলেন, আধুনিক সময়ে যদি বাংলাদেশের সক্রেটিস কাঊকে ঘোষনা দেয়া যায়, তার নাম আসবে সবার আগে, তিনি এপরিমান পড়াশুনা তথা জ্ঞান আহরণের কাজে ব্যাস্ত থেকেছেন যে তার প্রফেসার ডিগ্রিটা নেবার সময় হ নাই, তিনি কি পরিমান পন্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন তার একটা নমুনা " যদ্দ্যপি আমার গুরু" আহমেদ সফা আর তার আলাপ চারিতাই এই বইয়ে লিপি বদ্ধ্য আছে। আহমেদ সফা একেক টা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করছেন, এবং তিনি যে উত্তর দিচ্ছেন সেটা সে বিষয়ের একটা সেরা উক্তি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের অঙ্গনে তার কোন স্বীকৃতি নেই ।
এরকম হাজারো উদাহরন আছে, আমাদের এই দেশে । এবারে আসি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষায় । আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা ,বিদ্যালয়ে তাদের শ্রম, মেধা সময় সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছেন,বিদ্যালয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা আবার অনেকে আছেন যারা রাত অবধি কাজ করেন শিক্ষার্থীদের এবং বিদ্যালয়ের কাজের জন্য। এর জন্য তারা কি পান ? তারা কি আদৌও কোন স্বীকৃতি পান, স্থানীয় কতৃপক্ষের কাছে , আমাদের বগুড়ার এক জন শিক্ষিকা যিনি আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন , আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন তিনি জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে বা জাতীয় কখনও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন ?
আমাদের উর্ধত্বনরা অভিযোগ করেন ,তারা বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকদের স্কুলে পান না, এটাই কি সারা দেশের চিত্র। উত্তর আবশ্যই না, ব্যাতিক্রম যেমন উদাহরন হয়না, তেমনি সকল শিক্ষকও ফাকি বাজ না, দেশে এখনো হাজার হাজার শিক্ষক আছেন যারা বিদ্যালয়ের জন্য নিবেদিত প্রান ।
আমাদের স্বীকৃতি দিন আমরা আরো আনেক কিছু করে দেখবো, দেখবেন গোটা দেশের চিত্রই আমরা পাল্টেদেব ।

জাতীয় শিক্ষা নীতি- ২০১০


জাতীয় শিক্ষা নীতি- ২০১০ ডাউনলোড বা দেখতে ক্লিক এখানে

১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত  সকল শ্রেনির ডিজিটাল কন্টেন্টে, কারিকুলাম ভুক্ত গানের mp3 জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন.