চাহিদাভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশি¶ণ সহায়িকা-৩
pdf ফরমেট দেখতে ক্লিক এখানে
অধিবেশন পরিকল্পনা ও তথ্যপত্র
ছুটবিধি,ি শিষ্টাচার ও নৈতিকতা এবং গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান ।
বিষয়: ছুটিবিধি, শিষ্টাচার ও নৈতিকতা এবং গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান ।
প্রশি¶ণের সময়সূচি ও অধিবেশন পরিকল্পনা
সময়
অধিবেশন
বিষয়
ব্যাপ্তিকাল
০৯:০০-০৯:৩০
-
রেজিস্ট্রেশন ও
পূর্ব প্রশি¶ণের বিষয় সমূহ পর্যালোচনা
৩০ মিনিট
৯.৩০ -১১.০০
অধিবেশন-১
ছুটিবিধি
১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
১১.০০-১১,৩০
-
চা বিরতি
৩০ মিনিট
১১.৩০-১.০০
অধিবেশন-২
শিষ্টাচার ও নৈতিকতা
১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
১.০০-২.০০
-
মধ্যাহ্ন বিরতি
১ ঘন্টা
২.০০-৩.৩০
অধিবেশন-৩
গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান
১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
৩.৩০-৩.৪৫
-
চা বিরতি
১৫ মিনিট
৩.৪৫-৪.৪৫
অধিবেশন-৪
গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান (চলমান)
১ ঘন্টা
৪.৪৫-৫.০০
-
সমাপনী অনুষ্ঠান
১৫ মিনিট
অধিবেশন-১
অধিবেশনের শিরোনাম : ছুটিবিধি সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান।
ভূমিকা ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শি¶ক এবং সহকারী শি¶কগণের নিয়োগলাভের পরপরই কর্ম¶েত্রে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে তাঁদেরকে ছুটি গ্রহণ করতে হয়। কর্ম¶েত্রে ছুটি গ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা জানা না থাকার কারণে ছুটি প্রদানকারী ও ছুটি গ্রহণকারীর মধ্যে অনেকাংশে সম্পর্কেও অবনতি দেখা যায়। তাই তাঁরা চাকুরির শুরুতেই অনেক ভুল করে ফেলেন। এজন্য ছুটি বিধিমালা সম্পর্কে ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়। এই অধিবেশনের মাধ্যমে প্রতিজন শিক্ষকের ছুটিবিধি সংক্রান্ত সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে ।
সময়ঃ ১ঘন্টা ৩০ মিনিট।
শিখনফল ঃ এ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীগণ-
১. ছুটিবিধি বলতে কী বুঝায় তা বলতে পারবেন।
২. বিভিন্ন প্রকার ছুটি সম্পর্কে বলতে পারবেন।
৩. সঠিক নিয়মে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনপত্র লিখতে পারবেন।
উপকরণ ঃ পোষ্টার পেপার, মার্কার/সাইন পেন, বোর্ড, তথ্যপত্র ইত্যাদি।
পদ্ধতি ও কৌশল ঃ আলোচনা, প্রশ্নোত্তর, অংশগ্রহণমূলক প্রদর্শন, উপস্থাপন, প্লেনারি, ফলাবর্তন।
কার্যাবলির বিস্তারিত বিবরণ:
কাজ-১:বভিন্নি প্রকার ছুটি সম্পর্কে ধারণা ব্যাখ্যা করা সময়: ১ ঘন্টা
সহায়ক যা করবেন
দ্ব শিখন উপযোগী শ্রেণি পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যেকোন একটি কৌশর ব্যবহার করুন।
দ্ব বোর্ডে ছুটি কথাটি লিখে চারদিকে বৃত্ত তৈরি করে ব্রেইন স্টর্মিং এর মাধ্যমে জানতে চান, ছুটি বলতে কী বুঝায় ? সকলের উত্তর বোর্ডে লিপিবদ্ধ করুন এবং প্রশ্নোত্তর আলোচনা করে ধারণা স্পষ্ট করুন।
দ্ব ”প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তারা কোন কোন ছুটি ভোগ করে থাকেন” সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটি করুন এবং তা নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের করনীয়গুলো সম্পর্কে প্লেনারীতে আলোচনা করে সকলের ধারণা স্পষ্ট করুন।
দ্ব অংশগ্রহণকারীদের আকষর্ণীয় নাম দিয়ে তিনটি দল বিভাজন করুন। প্রতিদলে তথ্যপত্র -০১ বিতরণ করুন করে ১ম দলকে বিধি-৩, ২য় দলকে বিধি- ৬,৭,৮ ৩য় দলকে বিধি-৯, ২০ মিনিট মনোযোগ সহকারে পড়তে দিন। সময় শেষ হলে দলনেতাকে বিধি উপস্থাপন করতে দিন। সকলের উপস্থাপন শেষ হলে প্লেনারীতে আলোচনার মাধ্যমে ধারণাগুলো স্পষ্ট করুন।
কাজ-২: সঠিকভাবে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনপত্র লিখতে পারা সময়: ৩০ মিনিট
সহায়ক যা করবেন
দ্ব সকল অংশগ্রহণকারীদের ১ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন লিখতে বলুন।
দ্ব লেখা শেষ হলে দৈবচয়নের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ জন অংশগ্রহণকারীদের আবেদন গুলো পড়তে বলুন।
দ্ব সকলের পড়া শেষ হলে অসংগতিগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আলোচনা শেষ হলে তথ্যপত্র-০২ এর আলোকে নমুনা আবেদনপত্র উপস্থাপন করে সকলের ধারণা স্পষ্ট করুন।
দ্ব সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করুন।
মূল্যায়ন: সময় : ৫ মিনিট
(ক) আপনারা কোন কোন ছুটি ভোগ করে থাকেন ?
(খ) অর্ধগড় বেতনে ছুটি কাকে বলে ?
(গ) নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনে কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করে আবেদন লেখা উচিত ?
¯^-অনুচিন্তন:
· অধিবেশনটি কতটা দ¶তার সাথে পরিচালনা করতে স¶ম হয়েছেন, চিন্তা করুন।
· দলীয় কাজে সবার অংশগ্রহণ ছিল কি? কেউ নিষ্ক্রিয় থাকলে তার কারণ ভাবুন।
· শিখনফল অর্জনে অনুসৃত কাজ যথেষ্ট ছিল কি? না থাকলে নতুন কী কাজ করা যেতে পারে চিন্তা করুন।
· সকলে শিখনফল অর্জন করতে পেরেছেন কি? না করতে পারলে তার জন্য কী পদ¶েপ নেয়া প্রয়োজন ছিল তা বলুন।
অধিবেশন-২
অধিবেশনের শিরোনাম : শিষ্টাচার ও নৈতিকতা সম্পর্কে ধারনা ও ব্যাখ্যাদান।
ভূমিকা ঃ শিষ্টাচার ও নৈতিকতা ধারণা দুটি এক অপরের পরিপুরক। চাকুরী ক্ষেত্রে এ দুটি ধারণা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া শিষ্টাচার মেনে না চলার কারনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্কেরও ঘাটতিসহ অসদাচরনের দায়ে বিভাগীয় মামলার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। আশাকরি এ অধিবেশন আপনাদের ঘাটতি পুরণে সহায়ক হবে।
সময় ঃ ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
শিখনফল ঃ এ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীগণ-
১. শিষ্টাচার ও নৈতিকতা সম্পর্কে বলতে পারবেন।
২. শিষ্টাচার ও নৈতিকতার মধ্যে পাথর্ক্য বুঝতে পারবেন।
৩. শিষ্টাচারের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পালনীয় সম্পর্কে বলতে পারবেন।
উপকরণ ঃ পোষ্টার পেপার, মার্কার/সাইন পেন, বোর্ড, তথ্যপত্র ইত্যাদি।
পদ্ধতি ও কৌশল ঃ আলোচনা, প্রশ্নোত্তর, অংশগ্রহণমূলক প্রদর্শন, উপস্থাপন, প্লেনারি, ফলাবর্তন।
কার্যাবলির বিস্তারিত বিবরণ:
কাজ-১: শিষ্টাচার ও নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা ব্যাখ্যা করা সময়: ৩০ মিনিট
সহায়ক যা করবেন
দ্ব একটি ছড়া গানের মাধ্যমে শিখন উপযোগী শ্রেণি পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
দ্ব শিষ্টাচার বলতে কী বুঝায় তা জিজ্ঞেস করুন। সকলের উত্তর বোর্ডে লিপিবদ্ধ করুন এবং প্রশ্নোত্তর আলোচনা করে তথ্যপত্রের আলোকে সকলের ধারণা স্পষ্ট করুন।
দ্ব নৈতিকতা বলতে কী বুঝায় তা জিজ্ঞেস করুন। সকলের উত্তর বোর্ডে লিপিবদ্ধ করুন। প্রশ্নোত্তরে আলোচনার মাধ্যমে তথ্যপত্র-০৩ এর আলোকে শিষ্টাচার ও নৈতিকতার মধ্যে মূল পাথর্ক্য সম্পর্কে সকলের ধারণা স্পষ্ট করুন।
দ্ব ”কোন কোন ক্ষেত্রে শিষ্টাচার মেনে চলা উচিত বলে আপনারা মনে করেন” তা একাকী চিন্তা করে এবং পরে জোড়ায় আলোচনা করে উত্তর দিতে বলুন । সকলের উত্তর বোর্ডে লিপিবদ্ধ করে প্লেনারীতে আলোচনার মাধ্যমে ধারণাগুলো স্পষ্ট করুন।
কাজ-২: শিষ্টাচারের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পালনীয় সম্পর্কে ধারণা ব্যাখ্যা করা সময়: ৫০ মিনিট
সহায়ক যা করবেন
দ্ব যে কোন কৌশল ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীদের চারটি দলে বিভাজন করুন।
দ্ব প্রতিদলে তথ্যপত্র-০৪ বিতরণ করুন। তথ্যপত্রের আলোকে
১ম দলকে চাকুরীতে শিষ্টাচার ও দাপ্তরিক কাজে শিষ্টাচার
২য় দলকে সামাজিক শিষ্টাচার ও মহিলাদের প্রতি শিষ্টাচার
৩য় দলকে সরকারী কর্মচারীদের পোশাক-পরিচ্ছদে শিষ্টাচার ও আনুষ্ঠানিক সভা/ভোজ সভায় শিষ্টাচার
৪র্থ দলকে সেল ফোন/ল্যান্ড ফোন শিষ্টাচার
সকল দলকে তথ্যপত্রগুলো ভালোভাবে পড়ে উপস্থাপন করতে দিন। উপস্থাপন শেষে আলোচনা মাধ্যম অস্পষ্ট ধারণাগুলো স্পষ্ট করুন।
মূল্যায়ন: সময় : ১০ মিনিট
(ক) শিষ্টাচার কাকে বলে?
(খ) নৈতিকতা কাকে বলে ?
(গ) শিষ্টাচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো কী কী ?
¯^-অনুচিন্তন:
· অধিবেশনটি কতটা দ¶তার সাথে পরিচালনা করতে স¶ম হয়েছেন, চিন্তা করুন।
· দলীয় কাজে সবার অংশগ্রহণ ছিল কি? কেউ নিষ্ক্রিয় থাকলে তার কারণ ভাবুন।
· শিখনফল অর্জনে অনুসৃত কাজ যথেষ্ট ছিল কি? না থাকলে নতুন কী কাজ করা যেতে পারে চিন্তা করুন।
সকলে শিখনফল অর্জন করতে পেরেছেন কি? না করতে পারলে তার জন্য কী পদ¶েপ নেয়া প্রযোজন ছিল তা বলুন।
অধিবেশনের শিরোনাম : গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ও ব্যাখ্যাদান।
ভূমিকা ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শি¶ক এবং সহকারী শি¶কগণের নিয়োগলাভের পরপরই কর্ম¶েত্রে কখন উপস্থিত হবেন, কতক্ষন কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করবেন, কখন কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করবেন তা জানতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বিনানুমতিতে অনুপস্থিতি, বিলম্বে উপস্থিতি কিংবা নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থল থেকে চলে যাওয়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। কর্ম¶েত্রে নিয়মিত উপস্থিতি সংক্রান্ত বিধিমালা জানা না থাকার কারণে অনেক শিক্ষককে বিভিন্ন সময়ে সমস্যায় পরতে হয়। তাই সকল শিক্ষকগণকে গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়।
সময়ঃ ২ঘন্টা ৩০ মিনিট।
শিখনফল ঃ এ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীগণ-
১. গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
২. গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নির্বাহী নির্দেশনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
উপকরণ ঃ পোষ্টার পেপার, মার্কার/সাইন পেন, বোর্ড, তথ্যপত্র ইত্যাদি।
পদ্ধতি ও কৌশল ঃ আলোচনা, প্রশ্নোত্তর, অংশগ্রহণমূলক প্রদর্শন, উপস্থাপন, প্লেনারি, ফলাবর্তন।
কার্যাবলির বিস্তারিত বিবরণ:
কাজ-১ঃ গণকর্মচারী শৃক্সখলা(নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ সম্পর্কে ধারণা ব্যাখ্যা করা সময়: ১ঘ.৩০ মি.
সহায়কের করণীয়
দ্ব শিখন উপযোগী শ্রেণি পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যেকোন একটি কৌশল ব্যবহার করুন।
দ্ব অংশগ্রহণকারীগণের প্রত্যেককে চাকুরিতে যোগদানের পূর্বে কে কী করতেন তা বলতে বলুন। তাঁদের মতামত হোয়াইট বোর্ডে লিখুন।
দ্ব একজন অংশগ্রহণকারীকে ডেকে মতামতসমূহ পড়তে বলুন। মতামত বলার সময় সকলের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করুন। যেমন: কোন প্রশি¶ণার্থী হয়তো পড়াশোনা করছিল, বা অন্য কোন প্রশি¶ণার্থী বেসরকারি চাকুরি করত, টিউশনী করত বা বেকার ছিল।
দ্ব তাঁদের জিজ্ঞেস করুন এসব কাজ করার সময় তাঁদের কোন নিয়ম মেনে চলতে হতো কিনা।
দ্ব কলেজে উপস্থিত থাকা, ক্লাশে যাওয়া অথবা চাকুরির ¶েত্রে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য কোন নিয়ম মেনে চলতে হতো কিনা জিজ্ঞেস করুন । তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে তাঁরা কর্মস্থলে বা কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলে কী করতেন, জানতে চান।
দ্ব তাঁদের মতামতসমূহ বোর্ডে বা ফ্লিপ চার্টে একজন অংশগ্রহণকারীকে লিখতে বলুন।
দ্ব মতামত লেখা শেষ হলে দেখা যাবে অনেকগুলো মতামতের সঙ্গে গণকর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২(তথ্য পত্র- ৫) -এ বর্ণিত বিষয়ের মিল রয়েছে ।
দ্ব যেকোন কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প সময়ে অংশগ্রহণকারীগণকে ৫টি দলে বিভক্ত করুন। প্রত্যেক দলে দলীয় নেতা নির্বাচন করে তথ্যপত্র-৫ সরবরাহ করুন । ১০ মিনিট ধরে তথ্যপত্র পড়ে দলীয় সদস্যদের ধারণা স্পষ্ট করতে দলীয় নেতাকে নির্দেশনা দিন । কোন অস্পষ্টতা দেখা দিলে প্লেনারীতে আলোচনা করে সকলের ধারণা সুস্পষ্ট করুন।
কাজ-২ঃ গণকর্মচারী শৃক্সখলা(নিয়মিত উপস্থিতি)অধ্যাদেশ-১৯৮২ কর্ম¶েত্রে প্রয়োগ করতে পারা। সময়: ৫৫ মি.
সহায়কের করণীয়
দ্ব সকল অংশগ্রহণকারীদের গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ-১৯৮২ এর সারসংক্ষেপ ১ মিনিট ভাবতে বলুন।
দ্ব তাঁদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তা প্রয়োগের সুযোগ আছে কিনা জিজ্ঞেস করুন। প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে যে সমস্যার সমুক্ষীন হবেন, তা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে বলুন। ভাবনার শেষ হলে সকলের মতামতগুলো যেকোন অংশগ্রহণকারীকে বোর্ডে লিখতে বলুন। বোর্ডে লেখা শেষ হলে সকলকে ধন্যবাদ দিন।
দ্ব একজন অংশগ্রহণকারীকে ডেকে তথ্যপত্র-৬ শুদ্ধ ও স্পষ্টভাবে পড়তে দিন এবং সকলকে মনোযোগ সহকারে বোর্ডে লেখা তাদের ধারণার সাথে মিলাতে বলুন। কোন অস্পষ্টতা দেখা দিলে প্লেনারীতে আলোচনা করে সকলের ধারণা সুস্পষ্ট করুন।
মূল্যায়নঃ সময় : ০৫ মিনিট
(ক) বিলম্বে উপস্থিতির জন্য কী ধরণের দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে ?
(খ) বিনানুমতিতে অফিস ত্যাগের জন্য কী ধরণের দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে ?
¯^-অনুচিন্তন ঃ
· অধিবেশনটি কতটা দ¶তার সাথে পরিচালনা করতে স¶ম হয়েছেন, চিন্তা করুন।
· দলীয় কাজে সবার অংশগ্রহণ ছিল কি? কেউ নিষ্ক্রিয় থাকলে তার কারণ ভাবুন।
· শিখনফল অর্জনে অনুসৃত কাজ যথেষ্ট ছিল কি? না থাকলে নতুন কী কাজ করা যেতে পারে চিন্তা করুন।
· সকলে শিখনফল অর্জন করতে পেরেছেন কি? না করতে পারলে তার জন্য কী পদ¶েপ নেয়া প্রয়োজন ছিল তা বলুন।
তথ্যপত্র-১
(খবধাব)
নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ (চৎবংপৎরনবফ খবধাব জঁষবং, ১৯৫৯)
ক) অর্জিত ছুটি: কর্মকালীন সময়ে যে ছুটি অর্জিত হয় তাহাই অর্জিত ছুটি (বিএসআর-১৬৩(২)। অর্জিত ছুটি দুই প্রকার, যেমন, গড় বেতনে অর্জিত ছুটি এবং অর্ধগড় বেতনে অর্জিত ছুটি। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা-১৯৫৯ অনুযায়ী স্থায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্জিত ছুটির নি¤œরূপ :
বিধি-৩ : গড় বেতনে ও অর্ধগড় বেতনে ছুটি।
(১) গড় বেতনে ছুটি
ক) একজন স্থায়ী সরকারি কর্মচারীর প্রতি ১১ দিন কর্মকালীন সময়ের জন্য ১ দিন করিয়া পূর্ণগড় বেতনে ছুটি অর্জিত হইবে এবং সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত এই ছুটি জমা হইবে। এই চার মাসের অতিরিক্ত সময়ের অর্জিত ছুটি তাহার হিসাবে আলাদাভাবে জমা হইবে।
খ) একজন স্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে এক সাথে সর্বোচ্চ চার মাসের বেশী পূর্ণগড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না। তবে মেডিকেল প্রত্যায়নপত্র সাপে¶ে বা ধর্মীয় পূন্যস্থানসমূহ দর্শনের উদ্দেশ্যে, শি¶া বা চিত্তবিনোদনের নিমিত্তে ভারত, বার্মা ও শ্রীলংকার বাহিরে চার মাসের অতিরিক্ত হিসাবে এই ছুটির সীমা ছয় মাস পর্যন্ত গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(১) অর্ধগড় বেতনে ছুটি :
(ক) একজন স্থায়ী কর্মকর্তার কর্মকালীন সময়ের প্রতি ১২ দিনের জন্য ১ দিন করিয়া অর্ধগড় বেতনে ছুটি অর্জিত হইবে এবং এই ছুটি সীমাহীনভাবে জমা হইতে থাকিবে।
(খ) সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত অর্ধগড় বেতনের ছুটিকে পূর্ণগড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইবে। তবে মেডিকেল প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া অর্ধগড় বেতনের ছুটিকে পূর্ণগড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইবে না। এই রূপান্তরের হার হইবে প্রতি দুই দিনের অর্ধগড় বেতনের ছুটির জন্য এক দিনের পূর্ণগড় বেতনের ছুটি।
বিধি -৬: ছুটিকালীন বেতন :
ছুটিকালীন বেতন গণনার বিধানাবলী নি¤œরূপ:
১. যে মাসে ছুটি গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা পূর্ববর্তী পূর্ণ ১২ মাসের গড় বেতনের ভিত্তিতে গড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন গণনা করা হইবে অথবা ছুটিতে যাওয়ার পূর্ববর্তী মাসে সরকারি কর্মচারী যে বেতন উত্তোলন করিয়াছেন তাহার ভিত্তিতে ছুটির বেতন গণনা করা হইবে। উপরোক্ত দুইটি পদ্ধতির মধ্যে যাহা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর জন্য অধিকতর অনুকূল হইবে তাহার ভিত্তিতে ছুটিকালীন বেতন গণনা করা যাইতে পারে।
২. অর্ধগড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন উপ-বিধি (১)-এর আওতায় গণনাকৃত অর্ধগড় বেতনের সমান হইবে।
৩. একজন সরকারি কর্মচারী যে দেশেই ছুটি কাটান না কেন, তিনি তাহার ছুটিকালীন সময়ের বেতন বাংলাদেশী মুদ্রায় বাংলাদেশেই উত্তোলন করিবেন।
বিধি-৭ : এক সাথে প্রদান যোগ্য সর্বোচ্চ ছুটি।
এক সাথে সর্বোচ্চ এক বৎসর পর্যন্ত ছুটি নেওয়া যাইবে, তবে মেডিকেল প্রত্যয়নপত্র সাপে¶ে এই ছুটির পরিমাণ দুই বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইতে পারে।
বিধি-৮ : অবকাশ বিভাগের কর্মচারীদের ছুটি
১. অবকাশ বিভাগে স্থায়ীভাবে কর্মরত কোন সরকারি কর্মচারী কর্তব্য সম্পাদন বিষয়ে যে বৎসর অবকাশ ভোগ করিবেন সেই বৎসর পূর্ণ গড় বেতনে কোন ছুটি পাইবেন না।
২. এইরূপ সরকারি কর্মচারী যদি কোন বৎসর সমগ্র অবকাশ ভোগ করিতে না পারেন তবে তিনি সুপিরিয়র সার্ভিসের কর্মচারী হইলে সমগ্র অবকাশের যতভাগ ভোগ করিতে পারেন নাই ত্রিশ দিনের ততভাগ এবং চর্তুথ শ্রেণীর কর্মচারী হইলে ১৫ দিনের ততভাগ এই অনুপাতে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি পাইবেন।
৩. এইরূপ সরকারি কর্মচারী কোন বৎসর যদি অবকাশ ভোগ না করেন তাহা হলে অবকাশ নাই এমন বিভাগের মত ঐ বৎসরের জন্য তাহাকে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি প্রদান করা হইবে।
৪.এইরূপ সরকারি কর্মচারীগণ অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মত অর্ধগড় বেতনে ছুটি অর্জন ও ভোগ করিতে পারিবেন।
বিধি-৯ (৩): অসাধারণ ছুটি (ঊীঃৎধ ঙৎফরহধৎু খবধাব):
অসাধারণ ছুটি সংক্রান্ত নিয়মাবলী বাংলাদেশ চাকুরী বিধির ১৭৪-এর উপ-বিধি (১), (২) ও (৩)-এ বর্ণিত হইয়াছে।
অসাধারণ ছুটির নিয়মাবলী-
নি¤েœাক্ত বিশেষ অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারীকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে। তবে কোন সরকারি কর্মচারী অসাধারন ছুটিকালীন সময়ের জন্য কোন ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হন না এবং এই ছুটি তাহার পেনশন ও পদোন্নতির জন্য গণনাযোগ্য নয়।
১. বিধি মোতাবেক যখন অন্য কোন ধরনের ছুটি পাওনা না থাকেন, অথবা
২. অন্য কোন প্রকার ছুটি পাওনা থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী যদি লিখিতভাবে অসাধারণ ছুটির জন্য আবেদন করেন।
নৈমিত্তিক ছুটি (ঈধংঁধষ খবধাব)।
সামান্য শারীরিক অসুস্থতা বা কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একটি পঞ্জিকা বর্ষে ২০দিন পর্যন্ত যথাযথ কর্তৃপ¶ের অনুমোদনক্রমে কোন সরকারি কর্মচারী যে ছুটি ভোগ করেন তাহাই নৈমিত্তিক ছুটি। নৈমিত্তিক ছুটিকালীন সময়কে কর্তব্যে কর্মরত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ছুটি ভোগকালে ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপ¶ের অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা যায় না।
নমৈত্তিকি ছুটরি শর্তাবলী:
১. নৈমিত্তিক ছুটি চাকুরী বিধিমালা ¯^ীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটি জনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসাবে গণ্য করা হয় না।
২. পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারি কর্মচারী বৎসরে সর্বমোট ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারিবেন।
৩. কোন সরকারি কর্মচারীকে একসঙ্গে ১০ দিনের বেশী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে না। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবন জেলায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মচারীকে এক বৎসরে মঞ্জুরযোগ্য ২০ দিনের মধ্যে ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি একই সঙ্গে ভোগ করিতে দেওয়া যাইতে পারে।
৪. কোন কর্মকর্তা আবেদন জানাইলে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একবার বা একাধিকবার অন্য কোন সরকারি ছুটির পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। যে ¶েত্রে এই ধরনের আবেদন করা হইবে না বা অনুমতি দেওয়া হইবে না, সেই সকল ¶েত্রে রবিবার বা সরকারি ছুটির দিনগুলিও নৈমিত্তিক ছুটি হিসাবে গণ্য করা হইবে।
৫. নৈমিত্তিক ছুটির উভয় দিকে সরকারি ছুটি সংযুক্ত করা যাইবে না।
৬. কর্তৃপ¶ের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদর দপ্তর ত্যাগ করিতে পারিবে না।
৭. নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকাকালীন কেহ বিদেশে গমন করিতে পারিবেন না।
৮. সরকারি কাজে অথবা প্রশি¶ণার্থে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপে¶ে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে।
প্রসূতি ছুটি (গধঃবৎহরঃু খবধাব)
(বিএসআর -১৯৭, এফ আর-১০১ ও এস আর (এফ আর)-২৬৭,২৬৮)
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি শাখা -২ এর প্রজ্ঞাপন এস,আর,ও নং ১৮৬ অম/অবি/প্রবি-২/ছুটি-৩/২০০১, তারিখ: ৯ জুলাই ২০০১/২৫ আষাঢ়, ১৪০৮ দ্বারা বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, পার্ট-১ এর ১৯৭ নং বিধির উপবিধি-(১) এর পরিবর্তে নি¤œরূপ উপবিধি (১এ) ও (১বি) প্রতিস্থাপন করা হয়-
(১এ) একজন মহিলা কর্মচারী সমগ্র চাকুরী কালীন সময়ে প্রসূতি ছুটি ২ (দুই) বারের অধিক প্রাপ্য হইবেন না।
(১বি) এই বিধির অধীনে মঞ্জুরীকৃত প্রসূতি ছুটি মহিলা কর্মচারীর ‘ছুটির হিসাব’ হইতে বিয়োগ হইবে না এবং ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে উত্তোলিত বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হইবেন।
পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি শাখা-৫ এর প্রজ্ঞাপন এস,আর,ও নং ০৫, তারিখ: ২৬.০৯.১৪১৭ বঙ্গাব্দ/০৯.০১.২০১১ খ্রিষ্টাব্দ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্তাংশে প্রদত্ত ¶মতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক, বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন এর সহিত পরামর্শক্রমে, বিএসআর, পার্ট-১ এর ১৯৭(১) নং বিধি অধিকতর সংশোধনপূর্বক প্রতিস্থাপিত হওয়ায় প্রসূতি ছুটি সংক্রান্ত বর্তমান বিধান নি¤œরূপ:
“(১) ডযবৎব ধ ভবসধষব এড়াবৎহসবহঃ ংবৎাধহঃ ধঢ়ঢ়ষরবং ভড়ৎ সধঃবৎহরঃু ষবধাব, ঃযব ধঁঃযড়ৎরঃু সবহঃরড়হবফ রহ ৎঁষব ১৪৯ ড়ৎ ৎঁষব ১৫০, ধং ঃযব পধংব সধু নব, ংযধষষ মৎধহঃ ংঁপয ষবধাব ভড়ৎ ধ ঢ়বৎরড়ফ ড়ভ ংরী সড়হঃযং ভৎড়স ঃযব ফধঃব ড়ভ পড়সসবহপবসবহঃ ড়ভ ঃযব ষবধাব ড়ৎ যবৎ পড়হভরহবসবহঃ ভড়ৎ ঃযব চঁৎঢ়ড়ংব ড়ভ ফবষরাবৎু, যিরপযবাবৎ রং বধৎষরবৎ.”
তবে উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পরিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে আতুর ঘরে প্রবেশের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার ¯^প¶ে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ৬ (ছায়) মাসের চাইতে কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করার ¶মতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপ¶ের নাই। বিএসআর-১৯৭ (১)
(ক) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ¶েত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ¶মতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ¶েত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপ¶ অথবা ¶মতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ¶মতা প্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ¶েত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপ¶ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ¶মতা প্রাপ্ত। বিএস আর-১৯৭(১), ১৪৯ ও ১৫০।
(খ) সমগ্র চাকুরী জীবনে প্রসূতি ছুটি দুইবারের অধিক প্রাপ্য হইবে না। বি এস আর-১৯৭(১এ)
(গ) প্রসূতি ছুটি ‘ছুটি হিসাব’ হইতে বিয়োগ হইবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করিতে হইবে না এবং পাওনা ছুটি হইতে প্রসূতি ছুটির কাল বাদ যাইবে না। বি এস আর-১৯৭ (১বি)।
(ঘ) ছুটি কালীন সময়ে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্য বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হইবে। বিএস আর-১৯৭(১বি)
(ঙ) ডাক্তারী সার্টিফিকেটের সুপারিশের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করিলে প্রসূতি ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। এফ আর এর এস আর-২৬৮
শ্রান্তিবিনোদন ছুটি (জবংঃ ধহফ ৎবপৎবধঃরড়হ ষবধাব)
বাংলাদেশ চাকুরি (বিনোদন ভাতা) বিধি, ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারী নিন্মোক্ত শর্ত সাপে¶ে প্রতি ৩ বৎসর অন্তর শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ভোগ করতে পারবেন:
· চাকুরিকাল ধারাবাহিকক্রমে তিন বৎসর পূর্ণ হতে হবে;
· গড় বেতনে কমপ¶ে ১৫ (পনের) দিন ছুটি পাওনা থাকতে হবে;
প্রতি ৩ বৎসর অন্তর ১৫ (পনের) দিন এই প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। এই প্রকার ছুটিকালীন সময়ে ছুটিকালীন বেতন ছাড়াও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হবেন।
তথ্যপত্র-২
তারিখ ঃ ২২ অক্টোবর ২০১৫ খ্রি.
বরাবর
প্রধান শিক্ষক,
---------- মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিষয় ঃ নৈমিত্তিক ছুটিসহ কর্মস্থল ত্যাগের আবেদন ।
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি----------------- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মরত সহকারি শি¶ক। আমার পারিবারিক সমস্যার কারনে আমি আগামী ২৩/১০/২০১৪ খ্রি. হতে ২৫/০৯/২০১৪ খ্রি. পর্যন্ত আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারছি না, তাই উক্ত ০৩ (তিন) দিনের নৈমিত্তিক ছুটিসহ কর্মস্থল ত্যাগের জন্য আবেদন করছি। ছুটিকালীন সময়ে আমার নির্ধারিত পাঠদান পরিচালনা করবে সহকারি শিক্ষক জনাব---------
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার উক্ত ০৩ (তিন)) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
------------
-----------
ছুটিকালীন যোগাযোগঃ
মোবাইল নং-
(জেনে রাখূন ঃ পারিবরিক সমস্যার কারনে আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারব না” কথাটি কোন ক্রমেই লিখা যাবে না।
অধিবেশন-২
তথ্যপত্র-৩
নৈতিকতা ঃ
সততা, শি¶া, ন্যায়পরায়ণতা, শৃক্সখলাবোধ সম্মিলিতভাবে যে গুনটির জন্ম দেয় তাই নৈতিকতা। একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দাপ্তরিক কিংবা সামাজিক কার্যাদি সম্পাদনে ভাল-মন্দ যাচাই করে চলবেন এটা সবারই প্রত্যাশা। উন্নত ও কার্যকর প্রশাসনের জন্য নৈতিকতা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নীতি বহির্ভূত ব্যক্তি সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কলঙ্ক। এতে দাপ্তরিক, রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক জীবন বিষময় হয়ে উঠে। সুতরাং একজন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নীতি বিরুদ্ধ কোন কাজ করবেন না বলেই সরকার তাঁকে উপযুক্ত পদে বসিয়েছেন। সরকারী কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি মূল্যায়ন কল্পে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ এমনকি তাঁদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে প্রতিফলন ঘটাতে হয়।
শিষ্টাচার কি?
শিষ্টাচার মানে ভদ্রতা বা সৌজন্যবোধ। রীতিনীতি ও শিষ্টাচার সমাজবদ্ধ মানুষের জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয়। একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী জন্য শিষ্টাচার বিষয়টি অপে¶াকৃত অধিক মাত্রায় প্রত্যাশা করা হয়। ‘‘শিষ্টাচার হল যা না হলেই নয় তার চেয়ে ভালভাবে নিজেকে উপস্থাপিত করা’’। সামাজিক রীতিনীতি বাইরে দাপ্তরিক রীতিনীতিও রয়েছে। একজন সরকারী কর্মকর্তা তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার প্রতি বিণয়ী হবেন এবং তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন এটাই ¯^াভাবিকভাবে প্রত্যাশা করা হয়ে থাকে। মূলতঃ এরুপ আচরণ বাধ্যতামূলক আচণের অন্তভুক্ত বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের সাথে ও সরকারী কর্মচারীদের পারস্পরিক সৌজন্যবোধ বা আচরণের মানক্রম রয়েছে
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (ডধৎৎধহঃ ড়ভ চৎবপবফবহপব)।
জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা নিরুপনে সরকার ডধৎৎধহঃ ড়ভ চৎবপবফবহপব প্রনয়ন করেছেন।এর দ্বারা বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারী ও ¯^ায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদ অধিকারী বৃন্দের পদমর্যাদা নিরুপিত হয়ে থাকে। রাষ্টীয় আনুষ্ঠানিকতাপূর্ন কার্যদিসহ সরকারের সকল বিষয়ে ও উদ্দেশ্যে ডধৎৎধহঃ ড়ভ চৎবপবফবহপব অনুসরণ করার জন্য সরকারী সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে ।
শিষ্টাচার কিংবা সৌজন্যবোধের বহিঃ প্রকাশের জন্য প্রটোকল ব্যবস্থাও রয়েছে যাকে শিষ্টাচারের পর্যায়ে ফেলা যায়। ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিমালা অনুসারে বাংলাদেশ প্রটোকল সম্পর্কিত প্রায় সকল দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত। তবে এ¶েত্রে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বও প্রণিধানযোগ্য।
কার্যবিধিমালা অনুসারে মানক্রমপত্র, জাতীয় পতাকা বিধিমালা, জাতীয় সঙ্গীত বিধিমালা ও জাতীয় প্রতীক বিধিমালা প্রণয়ন করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এছাড়া প্রটোকল সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্যান্য বেশ কিছু মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করে থাকে । এ¶েত্রে রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরে প্রটোকল ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব বন্টন করা আছে। জেলা প্রশাসক জেলার প্রটোকল সম্পর্কিত কাজের সার্বিক তত্ত¡াবধান করে থাকেন। জেলা সফরকারী সম্মানিত বক্তিদের সফরসমূহের আয়োজন এবং সুষ্ঠু সম্পাদন জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। সম্মানিত ব্যক্তিদের জন্য সফরসূচি প্রণয়ন, জাতীয় পতাকা বিধি অনুসারে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ী ব্যবস্থা করা, প্রটোকল অফিসার নিয়োগ করা, সার্কিট হাউস প্রস্তুত রাখা, নিরাপত্তা ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা, তাঁদেরকে অভ্যর্থনা ও বিদায় জানানো ইত্যাদি যাবতীয় দায়িত্বসমুহ সম্পাদনের এবং এসবের মধ্যে সমš^য় সাধনের কাজ জেলা প্রশাসনকে স¤পন্ন করতে হয়।
প্রটোকল ঃ
প্রটোকলের নির্ধারিত কোন সংজ্ঞা নেই। দাপ্তরিক রীতিনীতি, আদব-কায়দা সৌজন্যতা, শিষ্টাচার প্রসঙ্গে সরকার সময়ে বিভিন্ন নির্দেশাবলী জারী করে থাকেন। এই দাপ্তরিক রীতিনীতি এবং আদব-কায়দাকে আমরা প্রটোকল হিসাবে চিহ্নিত করতে পারি। এর জন্য ঢ়ৎড়ঃড়পধষ ঐধহফনড়ড়শ ও রয়েছে। প্রটোকল সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ করে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধান কিংবা সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের বাংলাদেশ সফরকাল বিভিন্ন্ মন্ত্রণালয় নিজ নিজ ¶েত্রে বিশেষ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী.
প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীবৃন্দ স্পীকার ও ডেপুটিস্পীকার, ক‚টনীতিবৃন্দের সফরকালে প্রটোকল প্রদানের সুনির্দিষ্ঠ প্রথা বলবৎ রয়েছে। এ¶েত্রে জেলা প্রশাসনের সমš^য়ের মাধ্যমে জেলার অন্যান্য বিভাগ/দপ্তরসমুহ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
অধিবেশন-২
তথ্যপত্র-৪
চাকুরীতে সৌজন্যবোধ বা শিষ্টাচার ঃ
একজন সাধারন নাগরিক কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত ব্যক্তিবর্গ হতে একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে যাতে পৃথক এবং উজ্জ্বলভাবে চিহিত করা যায়, সে কারনে সরকারী চাকুরীজীবিদের চাকুরীতে সেীজন্যবোধ জানা প্রয়োজন। একজন সরকারী চাকুরীজীবি, তিনি জ্যেষ্ঠ বা কনিষ্ঠই হউন অন্যের প্রতি বিনয়ী ও বিবেচনা পূর্ণ ব্যবহার করবেন- এটাই প্রত্যাশা করা হয়। এতে কর্মকর্তাদের পদ এবং অবস্থানের ¯^ীকৃতি মেলে। সরকার সময়ে সময়ে সার্কুলার কিংবা পরিপত্রের মাধ্যমে দাপ্তরিক রীতিনীতি, আদব-কায়দা, সৌজন্যবোধ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারী করে থাকেন। তবে সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সরকারী সার্কুলারের বাইরেও তাদের আচরণ সম্পর্কিত উন্নত মানসিকতার পরিচয় দেবেন এটাই ভাবা ¯^াভাবিক।
চাকুরীতে কতিপয় পালনীয় বিষয় নিম্নরুপ ঃ
ঋ ক্যাজুয়াল বা ঘরোয়া আচরণ করা থেকে বিরত থাকা ।
ঋ আবেগ ও বিনয়কে সংযত রাখা।
ঋ খুব জোরে কথা না বলা ।
ঋ উচ্চ ¯^রে কথা না বলা।
ঋ আবেগী গলায় ফোনে কথা না বলা ।
ঋ কথা বলার সময় হাঁচি বা কাশি এলে বা হাই উঠলে মুখ সরিয়ে নিন বা মুখ ঢেকে নেয়া।
ঋ ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর কর্মক্ষেত্রে কাজের সম্পর্ককে এক করে না ফেলা।
ঋ অফিসের কাজে অফিসিয়াল সম্পর্ক বজায় রাখা।
ঋ গুজব ছড়াচ্ছে এমন কাউকে শনাক্ত করা গেলেও নীরব ও শান্ত থাকা।
ঋ একজনের কথা আর একজনকে না লাগানো এবং যারা এমন করে তাদের দলে ভিড়তে না যাওয়া।
ঋ সরকার কতৃক বিভিন্ন সময়ে জারিকৃৃত পরিপত্র বা সাকুলার যথাযথ পালন করা।
ঋ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অফিসে ক¶ে এলে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানানো।
ঋ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বেআইনী আদেশ দিলে বা কাজ করতে বললে নিজের বুদ্ধি বিবেচনা ও দৃঢ়তা নিয়ে সে কাজ থেকে বিরত থাকা এবং বিনয়ের সাথে অপারগতা জানানো ;
ঋ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার সময় পকেটে হাত রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাঁটা, পা দোলানো অসৌজন্যতা;
ঋ সিনিয়রদের সাথে অযথা তর্ক না করে বিনয় ও প্রদ্বার সাথে নিজের মতামত তুলে ধরা বাঞ্চনীয়।
ঋনতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে সা¶াত করা ।
ঋ নুতন কর্মস্থলে যোগদানের পরপরই সেখানকার উর্দ্ধতন কর্তৃপ¶ের সাথে সৌজন্য সা¶াত করা ।
ঋ ব্যস্ততার কারণে কাউকে সা¶াৎকার দিতে না পারলে বিনয়ের সাথে তা জানিয়ে দেয়া।
ঋ হাটা-চলার মধ্যেও শিষ্টাচার রয়েছে। হাটার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পাশাপাশি হাঁটা শ্রেয়। কখনও অগ্রবর্তী হওয়া ঠিক নয়;
দাপ্তরিক কাজে শিষ্টাচারঃ
একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীর সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে নৈতিকতা এবং শিষ্ঠাচারের উপর। দাপ্তরিক কাজে তাই শিষ্ঠাচার একটি আবশ্যকীয় গুন।
দাপ্তরিক কাজে কতিপয় পালনীয় বিষয় নিম্নরুপঃ
ঋ যথাসময়ে অফিসে আগমন করা ও অফিস ত্যাগ করা।
ঋ অফিসে এসে সহকর্মীদের হাসিমুখে সম্ভাষণ জানানো ও কুশল বিনিময় করা।
ঋ চাকুরীর রীতিনীতি মেনে চলা
ঋ অফিসের ঈযধরহ ড়ভ ঈড়সসধহফ মেনে চলা
ঋ অর্পিত দায়িত্বের প্রতি মনোযোগী হওয়া
ঋ কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা
ঋ সরকারী পরিপত্র বাস্তবায়নে উদ্ধতন কতৃপক্ষকে সহযোগিতা করা
ঋ দাপ্তরিক কাজ বা সরকারী গোপন তথ্যাদি যথাযথ সংর¶ণ করা
ঋ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা।
ঋ সব সময় প্রতিটি কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা।
ঋ অযথা সময় নষ্ট না করা।
ঋ কোন কাজ জানা না থাকলে নিঃসংকোচে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শিখে নেয়া।
ঋ নিজের কাজ ও দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্থ থাকা।
ঋ ইমেইল, এসএমএস ও চিঠিপত্রের প্রতুত্তোরে তৎপর হওয়া।
ঋ অনুমতি ছাড়া অন্যের ফাইলপত্রে হাত না দেয়া
ঋ আর্থিক লেনদেনে টাকা গুনে নেয়া, উভয়পক্ষের ¯^াক্ষরসহ প্রমানপত্র রাখা
ঋ কমনফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে অন্যের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেয়া
সামাজিক শিষ্টাচারঃ
একজন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী দাপ্তরিক জীবনের বাইরে ও সামাজিক জীবন নির্বাহ করেন। দপ্তরের বাইরে ও তাঁকে সামাজিকভাবে অন্যের সাথে মেলামেশা করতে হয়। সামাজিক অনুষ্টানে একজন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর আচার-আচরণ, পোষাক-পরিচছদ মার্জিত হওয়া একান্ত আবশ্যক। এ সকল ¶েত্রে প্রতিটি কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের প¶ হতেও সামাজিকভাবে আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়। নিজের সন্তান-সন্ততির প্রতিও কতিপয় আচরণ অনুসরণ করতে হয়। অনেক অনুষ্টানদিতে শিশুরা বা কিশোররা আমন্ত্রিত হয় না। এ সকল ¶েত্রে ছেলে-মেয়েদের উক্ত অনুষ্টানাদিতে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কোন কোন ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতি মূল অনুষ্টানের গাম্ভীর্য বিনষ্ট করে দেয়।
সামাজিক শিষ্টাচারের কতিপয় করনীয়ঃ
ঋ সকলের সাথে সদ্ভ¢াব রাখার চেষ্টা করা;
ঋ যথাযথ সর্তকতার সাথে বন্ধু/সাথী নির্বাচন করা;
ঋ নিজের সামর্থের মধ্যে থেকে সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করা;
ঋ বিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাহচর্য লাভ করা;
ঋ গঠনমূলক সমালোচনার প্রতি সহনশীল হওয়া;
ঋ অপে¶ারত সা¶াতপ্রার্থী সামনে বসা থাকলে ফোনে কথা সং¶িপ্ত করা;
ঋ কাজ শেষে সহযাত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা;
ঋভ্রমন শেষে সহযাত্রীদের কাছ থেকে সৌজন্য বিদায় নেয়া ;
ঋসহকর্মীদের বিপদে সহানুভূতি প্রদর্শণ করা।
মহিলাদের প্রতি শিষ্টাচারঃ
ঋ কোন ভদ্র মহিলাকে দন্ডায়মান রেখে কোন ভদ্র লোকের আসন গ্রহণ না করা;
ঋ মহিলা সহকর্মীর প্রতি এমন কোন আচরণ না করা, যার প্রে¶িতে আপত্তিকর বা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন;
ঋ মহিলাদের প্রতি চারিত্রিক দূর্বলতা প্রদর্শণ না করা;
ঋ মহিলা ও পুরুষ সহযোগীদের সমান গুরুত্ব দেয়া;
ঋ মহিলাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শণ করতে হবে,উর্দ্ধতন,অধঃস্থন বা সহকর্মীদের স্ত্রীদের (অফিসার যদি বসে থাকেন) দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে হবে। প্রয়োজনে নিজের জায়গা ছেড়ে বসার সুযোগ করে দেয়া ;
ঋ কোন মহিলার সাথে হ্যান্ডসেক না করাই ভাল,তবে মহিলা হাত বাড়িয়ে দিলে হ্যান্ডসেক করা।
ঋ কোন অধুমপায়ী বা মহিলার সামনে ধুমপান করতে হলে তাদের অনুমতি নেয়া।
ঋ কোন মহিলাকে একা রেখে সভাস্থল ত্যাগ না করা।
সরকারী কর্মচারীদের পোষাক-পরিচছদে শিষ্টাচারঃ
ঋ পোষাকের ব্যাপারে সরকারী নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করা ।
ঋ অফিসে রং-বেরঙ্গের পোষাক পরিধান না করা;
ঋ আনুষ্ঠানিক ও নৈমিত্তিক পোষাক সম্পর্কে ধারণা থাকা ;
অফিস-আদালতে নিম্নোক্ত পোষাক পরিধান বাঞ্চনীয়ঃ
ঋ পায়জামা আচকান/শেরওয়ানী,মোজাসহ মোকাসিন বা ইংলিশ জুতা,
ঋ টাইসহ স্যুট, মোজাসহ মোকাসিন/ইংলিশ জুতা
ঋ মহিলাদের শাড়ী/সালোয়ার-কামিজ মার্জিত রুচি ও ব্যক্তিত্ব বহনকারী হতে হবে;
ঋ আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখিত নির্দেশ অনুযায়ী পোষাক পরিধান করা।
নৈমিত্তিক সরকারী কাজে নিম্নবর্নিত পোষাক পরিধান করতে হবেঃ
ঋ সাফারী স্যুট (অর্ধ বা পুরা হাতা) অথবা টাউজার ও বুশ শার্ট (অর্ধ বা পুরা হাতা) অথবা টাউজার ও ট্রাউজারের ভিতরে গুটানো শার্ট (অর্ধ বা পুরা হাতা) অধবা কম্বিনেশন স্যুট অথবা শেরওয়ানীর সাথে পায়জামা/ট্রাউজার। কেবল মাত্র ধর্মীয় অনুষ্টানে ও ক্রীড়া সংক্রাš— অনুষ্টানে পোষাক সংক্রান্ত বিধিমালা শিথিলযোগ্য
ঋ পায়জামা-পাজ্ঞাবী (কেবলমাত্র তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য ঐচিছক, তারা ইচ্ছে করিলে জুতার পরিবর্তে স্যান্ডেল পরিধান করতে পারবেন। কর্মচারীদের বেলায় তাদের নির্ধারিত ইউনিফরম (যেমন- বাংলাদেশ বিমানের ইউনিফরম)
ঋ যে সকল কর্মচারীদেরকে পোষাক ও ইউনিফরম প্রদান করা হয় তাদেরকে অবশ্যই সেসব পোশাক পরিধান করে আসা ;
পোষাক সম্পর্কে যা বর্জনীয়ঃ
ঋ চপ্পল, স্যান্ডেল বা মোজা ছাড়া জুতা;
ঋ ফুলহাতার আস্তিন গুটানো; অপরিচছন্ন কাপড়;
ঋপায়জামা-পাজ্ঞাবী না পরা , পায়জামা-পাজ্ঞাবী পরলে আচকান পরতে হবে;
ঋখেয়াল মাফিক অলংকারযুক্ত,নকশা করা চকচকে ও খেলার পোষাক পরিধান করে অফিসে আসা সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী জন্য নিষিদ্ধ।
আনুষ্ঠানিক সভা/ভোজ সভায় শিষ্টাচারঃ
ঋ সরকারী বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্টানে কথাবার্তা , ব্যবহার ও বেশভূষার মার্জিত রুচির পরিচয় দেয়া ;
ঋ প্রধান অতিথি আসন গ্রহণের পর আসন গ্রহণ, খাবার শুরু করার পর খাবার শুরু করা ;
ঋ প্রধান অতিথি যখন খাবার শেষ করবেন; অভূক্ত থাকলেও তাৎ¶ণিকভাবে খাবার শেষ করা ;
ঋ পোষাকের ব্যাপারে সরকারী নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করা ;
ঋ সভায় যথাযথভাবে উপস্থিত থাকা ;
ঋকোন কারণে সভায় না গেলে অপারগতার কারণ আগেই জানিয়ে দেয়া;
ঋ কোন আলোচনা বা মিটিংয়ে সভাপতির অনুমতিক্রমে কথা বলা ;
ঋ খাবার টেবিলে হাঁচি বা কাশি আসলে অতি সন্তর্পনে মুখটি অন্যদের থেকে যতদুর সম্ভব ঘুরিয়ে মাথা নীচু করে ও মুখে রুমাল বা ন্যাপকিন দিয়ে হাঁচি বা কাশি দেয়া। কথার মাঝখানে এ রকম হলে ¶মা করবেন এ রকম উক্তি করা ;
ঋ খাবার পরে প্রকাশ্যে খিলাল না করা ;
ঋউর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে সিগারেট অফার করতে পারেন, এটি ধন্যবাদান্তে গ্রহণ না করা ;
ঋ কোন অধূমপায়ী বা মহিলার সামনে ধুমপান করতে হলে অনুমতি নেয়া ;
ঋ ভোজ শেষে হোষ্ট এর নিকট থেকে বিদায় নেয়া ও ধন্যবাদ জানানো।
সেল ফোন/ল্যান্ড ফোন শিষ্টাচার
আমাদের নিজ¯^ প্রয়োজনে আমরা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ,সহকর্মীসহ অনেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে হয়। মোবাইল বর্তমান যোগাযোগের এক অনন্য মাধ্যম । মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতিপয় পালনীয় শিষ্টাচারসমুহ
ঋ ফোন করে/রিসিভ করে প্রথমেই সালাম/আদাব/নমস্কার দিয়ে নিজের পরিচয় দেয়া
ঋ শ্রোতা কথা বলার মত সময় দিতে পারেন কীনা তা জানা।
ঋ অপেক্ষারত কোন ব্যক্তিকে সামনে রেখে কথা না বলা অথবা জরুরী প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলা।
ঋ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের মোবাইল নম্বর সেভ করে রাখা।
ঋ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে নিচু ¯^রে মার্জিত ভাষায় কথা বলা।
ঋ খূব উচু ¯^রে অথবা উত্তেজিত হয়ে কথা না বলা
ঋ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্টান, প্রশিক্ষণ,মসজিদ,উপাসনালয়,পাঠাগার,হাসপাতাল,দাফন কাফনের স্থান,শবযাত্রা প্রভৃতি জায়গায় মোবাইল বন্ধা রাখা অথবা সাইলেন্ট মোডে রাখা ।
ঋ কোন ভাবেই কাউকে মিস কল দেয়া বা অনুরোধ কল দেয়া থেকে বিরত থাকা।
ঋ রুচিশীল সফট রিংগার,মেসেজ টোন ব্যবহার করুন। টোনের শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা।
ঋ লাইনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোন ব্যবহার অন্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে । লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় গুরুত্বপূর্ন ফোন কল গ্রহণ করতে হলে লাইন ছেড়ে দেয়া।
ঋ গাড়ি চালানোর সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। গাড়ি চালানোর সময় মুঠোফোনের ব্যবহার ভয়ংকর দূঘটনার কারণ হতে পারে। এই পয়েন্টটিকে মোবাইল শিষ্টাচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন গবেষকরা।
ঋ মুঠোফোনে গাল-মন্দ, ঝগড়া-বিবাদ, যুক্তি-তর্ক এড়িয়ে চলা। কারণ এগুলোর দ্বারা আপনার আশপাশের লোক আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে পারে।
ঋ মুঠোফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই ভাষার ব্যবহারে সংযত হওয়া। মুঠোফোনে জনসম্মুখে কথা বলার সময় গাল-মন্দ বলা থেকে বিরত থাকা।
ঋ শ্রেণিকক্ষে,পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধ রাখা। বিনা অনুমতিতে ছবি তোলা, ভিডিও করা থেকে বিরত থাকা। জনসম্মুখে উচ্চ¯^রে গান শোনা থেকে বিরত থাকা।
ঋ কেউ আপনাকে ফোন দিয়ে না পেলে অথবা ব্যস্ততার কারণে ফোন না ধরলে পরবর্তিতে ফোন ব্যাক করে কথা বলা।
গবেষকরা বলেন, মুঠোফোনের শিষ্টাচার মানুষের ভদ্র ব্যবহারের পরিচয় বহন করে। মানুষের চোখের সামনে কী ঘটছে কথা বলা ও বার্তা পাঠানোর ফলে সেদিক থেকে মনোযোগ সরে যায়। মুঠোফোনের ব্যবহার হতে হবে যুক্তিযুক্ত ও ভদ্রভাবে। আশপাশের মানুষকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তবেই মুঠোফোন ব্যবহার করবেন।
শিষ্টাচার ও নৈতিকতা একটি আপে¶িক বিষয়। এবহরঃরপ গুনগুনের উপর ভিত্তি করার পর পরবর্তী বিকাশ নির্ভর করে। সকল পেশায় নিয়োজিত প্রতিটি মানুষেরই সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই নৈতিকতা। মূল্যবোধ বিবেচনা করে যিনি কাজ করেন তিনিই নৈতিক দিক দিয়ে উন্নত। উপযুক্ত পরিবেশ ও যথোপযুক্ত প্রশি¶ণই একজন কর্মকর্তাকে এ সকল গুনাবলীতে সমৃদ্ধ করতে পারে। এছাড়া সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মকর্তা যাবতীয় কাজ সস্পাদন এবং তাঁর জীবন পরিচালিত করবেন এটা সবারই প্রত্যাশা।
তথ্যপত্র-৫
গণকর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২।
সং¶িপ্ত শিরোনাম: এই অধ্যাদেশ গণ কর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ নামে অভিহিত হইবে।
২। সংজ্ঞা: এই অধ্যাদেশে প্রসঙ্গের বা বিষয়ের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে:
ক) ‘কর্তৃপ¶’ বলিতে নিয়োগকারী কর্তৃপ¶ অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপ¶ কর্তৃক এই অধ্যাদেশের আওতায় কর্তৃপ¶ের ¶মতা প্রয়োগের ¶মতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্তৃপ¶কে বুঝাইবে;
খ) ‘গণ কর্মচারী’ বলিতে প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের বুঝাইবে।
৩। অন্যান্য আইনের উপর অধ্যাদেশের প্রাধান্য: গণ কর্মচারী সম্পর্কিত অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা রেগুলেশন অথবা গণকর্মচারীরর চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবে।
৪। বিনানুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী তাঁহার উর্দ্ধতন কর্তৃপ¶ের পুর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটিতে গেলে বা কর্মে অনুপস্থিত থাকিলে, কর্তৃপ¶ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৫। বিনানুমতিতে অফিস ত্যাগের জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী অফিস চলাকালীন সময়ে তাঁহার উর্দ্ধতন কর্তৃপ¶ের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করিলে, কর্তৃপ¶ এইরূপ প্রতি ¶েত্রে একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৬। বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী অফিসে বিলম্বে হাজির হইলে, কর্তৃপ¶ প্রতি দুই দিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতন কর্তন করিবেন।
৭। অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড: কোন গণকর্মচারী ত্রিশ দিনের ভিতর ৪ বা ৫ বা ৬ ধারায় বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করিলে,কর্তৃপ¶ আরো অতিরিক্ত সাত দিনের মূল বেতন কর্তন করিতে পারিবেন।
৮। আবেদন পেশ: ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ ধারার অধীনে কোন গণকর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হইলে, আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট গণ কর্মচারী কর্তৃপ¶ের নিকট আদেশ পুনঃ বিবেচনার জন্য আবেদন পেশ করিতে পারিবেন এবং তদপ্রে¶িতে কর্তৃপ¶ যেরূপ যথাযথ বলিয়া বিবেচনা করিবেন, সেরূপ শুনানী গ্রহণান্তে আদেশ সংশোধন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।
৯। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন নাই: এই অধ্যাদেশের অধীন কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না।
১০। আদালতের এখতিয়ার খর্ব: এই অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম বা আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
তথ্যপত্র - ৬
গণকর্মচারী শৃক্সখলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ সম্পর্কীত নির্বাহী নির্দেশনা
এই অধ্যাদেশ সম্পর্কে স্মারক নং: গঊউ/চঝ/৮২-১০৩, তারিখ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ এর মাধ্যমে নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হয় :
১। গণকর্মচারীগণের অফিসে সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতি বন্ধ করার ল¶্যে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এই অধ্যাদেশ জারি করেন। অফিসে বিলম্বে উপস্থিতি বা অননুমোদিত অনুপস্থিতি বা পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগের ¶েত্রে এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড প্রদানের ব্যাপারে কর্তৃপ¶কে অগাধ ¶মতা দেওয়া হইয়াছে। এখন হইতে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানগণ তাঁহার অধীনস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অফিসে সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন।
২। সকল নিয়োগকারী কর্তৃপ¶ অনতিবিলম্বে অধ্যাদেশের ২ (এ) ধারায় সংজ্ঞায়িত কর্তৃপ¶ের ¶মতা প্রয়োগের জন্য ¶মতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করিবেন। অফিসের আকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য একাধিক ¶মতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা যাইবে।
৩। নির্ধারিত অফিস সময়ের এক মিনিট বিলম্বে উপস্থিত হইলেও এই অধ্যাদেশের আওতায় দন্ড প্রদান করা যাইবে। যানবাহন না পাওয়া, যানবাহন নষ্ট হওয়া, পাবলিক সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট দেরীতে পৌঁছানো, অলংঘনীয় ব্যক্তিগত কাজ যুক্তিসংগত কারণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে না ।
৪। প্রত্যেক অফিসে সাময়িকভাবে অফিস ত্যাগের জন্য একটি রেজিস্টার র¶ণাবে¶ণ করিতে হইবে। রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ না করিয়া কেহ অফিস ত্যাগ করিতে পারিবে না। উক্ত রেজিস্টারে কর্মকর্তা /কর্মচারীর নাম, অফিস ত্যাগের কারণ, অফিস ত্যাগের সময় এবং অফিসে প্রত্যাবর্তনের সময় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৫। কেহ অফিসে উপস্থিত থাকিতে পারিবেন না বা পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন না। কেবল অলংঘনীয় কাজ এবং হঠাৎ অসুস্থ্যতা অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ বলিয়া গ্রহণযোগ্য হইবে। তবে অলংঘনীয় কাজ সা¶্য প্রমাণ দ্বারা এবং হঠাৎ অসুস্থ্যতা অনুমোদিত চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দ্বারা প্রমাণিত হইতে হইবে। অভ্যাসগত অপরাধীদেরকে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক গুরুদন্ড প্রদান করিতে হইবে।
৬। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মাসিক বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন পূর্বক আদায় করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারী নিজের বিল নিজে উত্তোলনকারী হইলে, তাঁকে বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন করার নির্দেশ দিতে হইবে এবং নির্দেশের কপি নিরী¶া অফিসে প্রেরণ করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারী বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন না করিলে নিরী¶া অফিস কর্তন পূর্বক বিল পাশ করিবে।
৭। অধ্যাদেশের ধারা-৮ এর অধীনে আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির ¶েত্রে কেবল সা¶্যরে সং¶িপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন হইবে।
৮। এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ড প্রদানের ¶েত্রে কর্ম কমিশনের পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না।
সহায়ক গ্রন্থপুঞ্জি:
১. লিডারশীপ প্রশি¶ণ ম্যানুয়াল।
২. ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরগণের ভিত্তি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ।
৩. বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন পত্রিকা
3 comments:
ভাই ইউনিকোডে লিখলে সবাই আপনার পোস্ট ব্লগের মধ্যেই দেখতে পেতো।
Thanks a lot
দারুন পোস্ট।
আমার ওয়েব সাইটে ভিজিটের আমন্ত্রণ রইল: https://bdservicerules.info/
Post a Comment