অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি প্রবীণতম। কর্তৃপক্ষ গত আগস্টে তাঁকে বাড়িতে বসেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ, তাঁর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু তিনি গোঁ ধরলেন, যাবেন না; বহুদিনের প্রিয় কর্মস্থল এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই কাজ করতে চান।
অবশেষে প্রবীণ এই ব্যক্তির ইচ্ছা ও মনোবলেরই জয় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর জন্য একটি বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করেছে। ১০২ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীর নাম ডেভিড গুডঅল। ৭০ বছরের পেশাজীবনে তিনি বাস্তুসংস্থান নিয়ে শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন। বর্তমানে অবৈতনিক সাম্মানিক গবেষণা সহযোগী।
গুডঅল ক্যাম্পাসের কাছেই থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁর বাসভবনের আরও কাছে একটি ‘ভালো অফিস’ ঠিক করে দিয়েছে। উপাচার্য স্টিভ চ্যাপম্যান বলেন, ‘একটা সমাধান খুঁজে পেয়ে আমি আনন্দিত। এর ফলে গুডঅল এ প্রতিষ্ঠানেই তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।’
ডেভিড গুডঅল বলেছেন, তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। যত দিন দৃষ্টিশক্তি সহায়ক থাকে, তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেতে চান। তবে তাঁর সুরক্ষা নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে, সেটা অপ্রয়োজনীয়।
গবেষণার পাশাপাশি থিয়েটার-চর্চায়ও গুডঅলের ভীষণ আগ্রহ। কিন্তু গলার আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে আসায়, সম্প্রতি তিনি মহড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment