শিক্ষক সমাজের মহান ব্যাক্তি । আর
শিক্ষকতা হল সমাজের মহান পেশা । অর্থাৎ শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধ্যেয় এবং অনুসরনীয়
ব্যাক্ত্বিত্ব । আর তার মহান দ্বায়িত্ব কর্ত্বব্য প্রবন মহান পেশা হল শিক্ষকতা বা Teaching । এটি সমাজের সর্বোত্তম পেশা । কাজেই বলা যে, যে ব্যাক্তি শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে মনে প্রানে গ্রহণ করেছেন তিনিই
হলেন শিক্ষক । অর্থাৎ সমাজ স্বীকৃত জনগণের
কাঙ্ক্ষিত শিক্ষণ শিখন কার্যক্রমে যে ব্যাক্তি পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করেন তাকেই
শিক্ষক বা Teacher বলে । শিক্ষক সমাজের
গুরু, পথ নিদের্শক, আলোকিত ব্যাক্তি । তাইতো বলা হয়- দাম্ভিকতাপূর্ন তর্জন
গর্জনকারী কিংবা রাজনৈতিক মার প্যাচে কলুষিত ব্যাক্তির এ মহান পেশায় দ্বায়িত্ব
গ্রহন সাজেনা । মহান সৃষ্টি কর্তা শিক্ষকের জীবনকে আলাদা বৈচিত্র এবং সুখময়
মাধুর্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন । যেখানে সুখ আছে, শান্তি আছে, মর্যাদা আছে এবং আছে
আনন্দঘন উচ্ছাসভরা প্রগতিশীলতা । সুতরাং শিক্ষকতা নামক মহান পেশায় পদার্পনকারী
ব্যক্তি অবশ্যই সামাজিক ছাচে গড়া সুন্দর নৈতিকতাপূর্ন আদর্শের প্রতিক হবেন । নীতি
বর্জিত কোন মানুষ, কোন কালেই আদর্শ শিক্ষক হতে পারেনা । কারন শিক্ষক হবেন সুন্দর
মন ও পবিত্র আত্মার শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারি আদর্শ মানুষ ।
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এর মতে, “
শিক্ষক হতে চাও ভালো কথা, মনে রেখ তুমি সারা জিবনের জন্য ছাত্র হলে “
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, “ গায়ের
জোরে মোড়ল হওয়া যায়, সন্ত্রাসীও বটে কিন্তু গুরু হওয়া যায়না।“
রুশো এর মতে, “ সু অভ্যাস গঠনের
নাম শিক্ষা আর শিক্ষক শিক্ষার্থীর সু অভ্যাস গঠনের নির্দেশক।“
জন ডিউই এর মতে,” জীবনের
প্রস্তুতি এবং উপলব্ধির মৌলিক কারিগর হলেন শিক্ষক।“
No comments:
Post a Comment