December 23, 2016

শিক্ষক এবং শিক্ষকতা বলতে কী বোঝায় ?





শিক্ষক সমাজের মহান ব্যাক্তি । আর শিক্ষকতা হল সমাজের মহান পেশা । অর্থাৎ শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধ্যেয় এবং অনুসরনীয় ব্যাক্ত্বিত্ব । আর তার মহান দ্বায়িত্ব কর্ত্বব্য প্রবন মহান পেশা হল শিক্ষকতা বা Teaching এটি সমাজের সর্বোত্তম পেশা । কাজেই বলা যে,  যে ব্যাক্তি শিক্ষকতাকে  পেশা হিসাবে মনে প্রানে গ্রহণ করেছেন তিনিই হলেন শিক্ষক । অর্থাৎ  সমাজ স্বীকৃত জনগণের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষণ শিখন কার্যক্রমে যে ব্যাক্তি পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করেন তাকেই শিক্ষক বা Teacher বলে । শিক্ষক সমাজের গুরু, পথ নিদের্শক, আলোকিত ব্যাক্তি । তাইতো বলা হয়- দাম্ভিকতাপূর্ন তর্জন গর্জনকারী কিংবা রাজনৈতিক মার প্যাচে কলুষিত ব্যাক্তির এ মহান পেশায় দ্বায়িত্ব গ্রহন সাজেনা । মহান সৃষ্টি কর্তা শিক্ষকের জীবনকে আলাদা বৈচিত্র এবং সুখময় মাধুর্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন । যেখানে সুখ আছে, শান্তি আছে, মর্যাদা আছে এবং আছে আনন্দঘন উচ্ছাসভরা প্রগতিশীলতা । সুতরাং শিক্ষকতা নামক মহান পেশায় পদার্পনকারী ব্যক্তি অবশ্যই সামাজিক ছাচে গড়া সুন্দর নৈতিকতাপূর্ন আদর্শের প্রতিক হবেন । নীতি বর্জিত কোন মানুষ, কোন কালেই আদর্শ শিক্ষক হতে পারেনা । কারন শিক্ষক হবেন সুন্দর মন ও পবিত্র আত্মার শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারি আদর্শ মানুষ ।  
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এর মতে, “ শিক্ষক হতে চাও ভালো কথা, মনে রেখ তুমি সারা জিবনের জন্য ছাত্র হলে “
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, “ গায়ের জোরে মোড়ল হওয়া যায়, সন্ত্রাসীও বটে কিন্তু গুরু হওয়া যায়না।“
রুশো এর মতে, “ সু অভ্যাস গঠনের নাম শিক্ষা আর শিক্ষক শিক্ষার্থীর সু অভ্যাস গঠনের নির্দেশক।“
জন ডিউই এর মতে,” জীবনের প্রস্তুতি এবং উপলব্ধির মৌলিক কারিগর হলেন শিক্ষক

December 22, 2016

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনী সহ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার উপায় !!!

  •  
  • যথার্থ প্রেষনা প্রদান
  • অংশগ্রহন পদ্ধতিতে পাঠ পরিচালনা
  • আকর্ষনীয় উপকরনের ব্যাবহার
  • আকর্ষনীয় শ্রেনি কক্ষ
  • পরিচ্ছন্ন কক্ষ এবং আসবাব পত্র
  • নিয়মিত সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী অনুশীলন 
  • একইভুত শিক্ষা নিশ্চিত করন
  • সৌহার্দপুর্ন শিক্ষকের মনোভাব
  • সম্প্রীতি মূলক সতীর্থ আচরন
  • জেন্ডার সচেতনতার প্রভাব প্রতিফলন
  • পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় চত্তর ও দেয়াল
  • আকর্ষনীয় পাঠ উপস্থাপন ও পাঠ পরিকল্পনা 
  • সুস্থ চিত্ত বিনোদন ব্যাবস্থা
  • যথার্থ স্কুল মনিটরিং ব্যবস্থা
  • যথার্থ কাউন্সিলিং ব্যাবস্থা
  • নিরাপদ ও কাংক্ষিত পরিবেশ
  • সিলেবাস পঠন ও পরীক্ষা ভীতি পরিহার
  • নেতৃত্ব ও দায়িত্বের বিকাশ
  • শিক্ষক শিক্ষার্থীর যোগাযোগ রক্ষা
  • শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সচেতনতার খেয়াল রাখা
  • শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানষিক সুস্থতার ব্যাবস্থা
  • সতীর্থদের নৈতিক উন্নয়ন
  • অপসংস্কৃতি এবং কুসংস্কার প্রভাব প্রতিহত করা
  • প্রয়োজনে যাতায়াতের বাহনের ব্যবস্থা করা
  • শিক্ষক/ শিক্ষা কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা
  • বিদ্যালয় ও সমাজ সম্পর্ক আরো গভীর করা

১০২ বছর বয়সে চাকরিতে বহাল


অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি প্রবীণতম। কর্তৃপক্ষ গত আগস্টে তাঁকে বাড়িতে বসেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ, তাঁর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু তিনি গোঁ ধরলেন, যাবেন না; বহুদিনের প্রিয় কর্মস্থল এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই কাজ করতে চান।
অবশেষে প্রবীণ এই ব্যক্তির ইচ্ছা ও মনোবলেরই জয় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর জন্য একটি বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করেছে। ১০২ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীর নাম ডেভিড গুডঅল। ৭০ বছরের পেশাজীবনে তিনি বাস্তুসংস্থান নিয়ে শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন। বর্তমানে অবৈতনিক সাম্মানিক গবেষণা সহযোগী।
গুডঅল ক্যাম্পাসের কাছেই থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁর বাসভবনের আরও কাছে একটি ‘ভালো অফিস’ ঠিক করে দিয়েছে। উপাচার্য স্টিভ চ্যাপম্যান বলেন, ‘একটা সমাধান খুঁজে পেয়ে আমি আনন্দিত। এর ফলে গুডঅল এ প্রতিষ্ঠানেই তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।’
ডেভিড গুডঅল বলেছেন, তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। যত দিন দৃষ্টিশক্তি সহায়ক থাকে, তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেতে চান। তবে তাঁর সুরক্ষা নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে, সেটা অপ্রয়োজনীয়।
গবেষণার পাশাপাশি থিয়েটার-চর্চায়ও গুডঅলের ভীষণ আগ্রহ। কিন্তু গলার আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে আসায়, সম্প্রতি তিনি মহড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ফেসবুকে দিন রঙিন স্ট্যাটাস

ফেসবুকে অনেকেই নানা রকম স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাস একটু রঙিন হলে সমস্যা কী? ফেসবুক তাই স্ট্যাটাসের ব্যাকগ্রাউন্ড রঙিন করার সুবিধা আনছে।
প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ও ওয়েব—সবার জন্যই ফিচারটি উন্মুক্ত করা হচ্ছে। আপাতত এটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে বলে অনেকে এটি এখন নাও পেতে পারেন।
বর্তমানে ব্যাকগ্রাউন্ডে শুধু সাদা রং রয়েছে। নতুন ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য একটি রং নির্বাচন করতে পারবেন ব্যবহারকারী। তবে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা রঙিন স্ট্যাটাস দিতে পারবেন। সেই স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন সব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী।

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, টেক্সট পোস্ট আরও দৃশ্যমান করতে একটি পরিবর্তন আনা হচ্ছে।



যেভাবে রঙিন স্ট্যাটাস দেবেন: টেক্সট স্ট্যাটাসের নিচে ইনস্টাগ্রাম লোগোসদৃশ কয়েক ধরনের রঙের অপশন থাকবে। এখনকার একঘেয়ে রঙের পরিবর্তে এখন থেকে রং নির্বাচন করে রঙিন করে তোলা যাবে স্ট্যাটাস।

চেহারার ধরন অনুযায়ী পুরুষদের স্মার্ট হেয়ার কাট!

সুন্দর চুলের কাট সম্পূর্ণ চেহারাটি পরিবর্তন করে দিতে পারে। সেলুনে গেলে অধিকাংশ পুরুষ বিভ্রান্ত হয়ে যান চুলে কোন হেয়ার কাটটি কাটবেন। নতুন কোনো হেয়ার কাট নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করে দেবে আজকের এই ফিচার। চেহারার ধরন অনুযায়ী বেছে নিন আপনার পছন্দের হেয়ার কাটটি।
১। অবলং ফেস শেপ
অবলং অথবা লম্বাটে চেহারার সাথে শর্ট হেয়ার কাট বেশ মানিয়ে যায়। সাধারণত সাইড সোয়েপ্ট ক্রু কাট, সাইড পার্ট, ব্রাশ আপ অথবা শর্ট স্পাইকি হেয়ার কাটটি অবলং চেহারার অধিকারীরা কাটতে পারেন।
২। ওভাল ফেস শেপ
ওভাল আকৃতির সাথে যেকোনো হেয়ার স্টাইল মানিয়ে যায়। তবে ব্যাংস অথবা ফ্রিঞ্জ হেয়ার কাট এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কারণ এটি কপাল ঢেকে রাখে এবং গোলাকৃতির মাথাকে আরও বেশি গোলাকৃতি দেখায়।
৩। ডায়ামন্ড ফেস শেপ
ডায়ামন্ড মুখাকৃতিতে চোয়াল দৃঢ় এবং চিবুকের হাড়টি কৌণিক হয়ে থাকে। ফক্স হক অথবা টেক্সচারড ক্রপ দারুন মানিয়ে যায় এইধরনের চেহারার আকৃতির সাথে।
৪। রাউন্ড ফেস শেপ
এই ধরনের চেহারায় দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সমান হয়। এইধরনের চেহারায় চুলের একপাশ ছোট এবং সামনের চুলের অংশ কিছুটা লম্বা করে কাটতে হয়, যা গোলাকার চেহারার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
৫। স্কয়ার ফেস শেপ
স্কয়ার চেহারায় অনেকগুলো ধারালো কোণ রয়েছে যা চেহারায় একটি পুরুষালী ভাব নিয়ে আসে। এইধরনের চেহারার মানুষদের ছোট হেয়ার কাট ভালো মানিয়ে যায়, যা প্রাকৃতিকভাবে চেহারাকে কিছুটা গোলাকার করে তোলে।
৬। ট্রায়াঙ্গেল ফেস শেপ
ত্রিভুজাকৃতির চেহারা মানুষদের ক্লিন শেভ এবং কিছুটা লম্বা চুলে ভালো লাগে। তবে চুলের দৈর্ঘ্য খুব বেশি না হওয়াই ভালো।

December 21, 2016

আইপিএল ২০১৭ঃ সবচেয়ে দামি ৫ ক্রিকেটার যারা

 আইপিএল ২০১৭ঃ সবচেয়ে দামি ৫ ক্রিকেটার যারা

আইপিএল ২০১৭ঃ সবচেয়ে দামি ৫ ক্রিকেটার যারা
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর দশম আসর বসতে যাচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিলের শুরুতেই। এ আসরের জন্য  ইতোমধ্যে নিলাম হয়ে গেছে প্রায় ৭০০ জন খেলোয়াড়ের। সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ৩ বিদেশি আর ২ ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার। আইপিএল ২০১৭’র সর্বাধিক দাম ১.২৬ মিলিয়ন ডলার দিয়ে পবন নেগিকে দলে ভেড়ালেন  দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ২০১৬ সালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় নেগির। লিস্ট-এ ক্রিকেটে ২৪ ম্যাচে ৩১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া গত আসরেও দিল্লির হয়ে বল হাতে নজর কেড়েছেন।
দামের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওজি তারকা বোলার মিশেল জনসন। ৯ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার খরচায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব তাকে দলে রেখে দিয়েছে। আগের আসরেও পাঞ্জাবের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন জনসন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩০ ম্যাচে ৩৮ উইকেট রয়েছে তার খাতায়। তৃতীয় সর্বাধিক দামি ক্রিকেটার কোরি এন্ডারসন খেলবেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ডলার দিয়ে কিউই তারকাকে দলে রেখেছে মুম্বাই। টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে ১৪ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ৩১৫ রান।
সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের মধ্যে চারে জায়গা হয়েছে মুগান অশ্বিনের। গত বছরের মতো এবারও রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়ে মাঠ মাতাবেন এই তরুণ তুর্কি। টি-টোয়েন্টিতে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া লিগেও বেশ কিপটে বোলিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন অশ্বিন। দামি খেলোয়াড়দের তালিকায় পাঁচে আছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান কাটলার। ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ডলার দিয়ে তাকে দলে টেনেছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট ছাড়াও ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের এপ্রিলে মাঠে গড়াবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দশম আসর।

কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ না হলে

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটারে প্রায়ই দেখা যায়, সেটি বন্ধ করার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় একটু যেন বেশি দেরি করছে। কখনো কখনো ব্যাপারটা আধা ঘণ্টা লেগে যায়। কম্পিউটার সিস্টেমের নেপথ্যে চলা অনেক ধরনের প্রক্রিয়া, হালনাগাদ ইনস্টল বা কাজ চলার কারণে এমনটা হতে পারে। আবার ভাইরাস বা ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারের প্রভাবও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যে কারণেই হোক, এ ব্যাপারগুলো ব্যবহারকারীদের বেশ ধৈর্যচ্যুতি ঘটায়। কীভাবে এ সমস্যা সমাধান করা যায়, তা থাকছে এখানে।
উইন্ডোজ কম্পিউটার বন্ধের আগে চলমান সব প্রক্রিয়া বা প্রসেস আগে বন্ধ করে নেয়। কোনো কারণে যদি সিস্টেম নিজে থেকে সেসব বন্ধ করতে না পারে, তাহলে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে ব্যবহারকারীর কাছে বার্তা পাঠায়। অপেক্ষার এ সময়টা নির্ধারিত হয় রেজিস্ট্রি সেটিংয়ের মাধ্যমে। তাই কিছু রেজিস্ট্রি সংকেত বদল করে সময়টা কমিয়ে আনা সম্ভব। এখানে বলে রাখা ভালো, যখন-তখন কম্পিউটারের এসব রেজিস্ট্রি পরিবর্তন করা বেশ ঝুঁকির ব্যাপার। তবে এখানে যেসব পদ্ধতি বলা হয়েছে সেগুলো নিরাপদ। সতর্কতা হিসেবে রেজিস্ট্রি কি পরিবর্তন করার আগে এর ব্যাকআপ নিয়ে রাখা ভালো।
কি-বোর্ডে Windows Key + R চেপে রান টুল চালু করুন। সেখানে regedit লিখে এন্টার করুন। তারপর HKEY_LOCAL_MACHINE/ SYSTEM/ CurrentControlSet/ Control পর্যন্ত গিয়ে WaitToKillServiceTimeout-এ মাউসের ডাবল ক্লিক করে খুলুন। এডিট স্ট্রিং উইন্ডো এলে সেখানে ভ্যালু ডেটার ঘরে 1000 লিখে ওকে করুন।
এখন আবার বাঁ পাশের HKEY_LOCAL_MACHINE/ SYSTEM/ CurrentControlSet/ Control/ Session Manager/ Memory Management-এ ক্লিক করে ডানের ClearPageFileAtShutdown কি ডাবল ক্লিক করুন। সেখানে ভ্যালু ডেটা 1 পরিবর্তন করে 0 বসিয়ে দিয়ে ওকে করুন। এরপর কম্পিউটার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দেখুন সেটা কতটা কাজ করছে।
আবার ন্যূনতম সময়ে কম্পিউটার বন্ধের কমান্ড লিখে শর্টকাটের মাধ্যমেও দ্রুত কম্পিউটার বন্ধ করা যায়। এ জন্য ডেস্কটপের খালি জায়গায় ডান ক্লিক করে New/ Shortcut নির্বাচন করুন। এখন শর্টকাট আইটেম নির্বাচন করার ঘরে লিখুন shutdown.exe -s -t 00 -f এবং নেক্সট চেপে ধাপটি শেষ করুন। এখন শাটডাউন নামে একটি শর্টকাট আইকন আসবে, সেটিতে ডাবল ক্লিক করলে মুহূর্তেই কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ যে পদ্ধতিটি আছে, সেটি খুব প্রয়োজন না হলে করার দরকার নেই। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে কখনোই উৎসাহ দেওয়া হয় না। কম্পিউটার পাওয়ার বোতাম অর্থাৎ যেটিতে চাপ দিয়ে কম্পিউটার চালু করা হয়, সেটি কিছুক্ষণ ধরে টানা চেপে ধরে রাখলেই কম্পিউটার জোরপূর্বক বন্ধ হয়ে যাবে।

সাঁওতালপল্লিতে বিদ্যুৎ নেই, স্কুল নেই, পথও বেহাল

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লি দিনের বেলায় আশপাশের আর সব গ্রামের মতোই। তবে রাতে আলাদা। গত সোমবার রাতে সাহেবগঞ্জ খামারের উত্তর পাশ দিয়ে পল্লির মাদারপুর গ্রামে ঢুকতেই মনে হলো, সরব আলোকিত পরিবেশ থেকে হঠাৎ যেন নীরব জমাট অন্ধকারে চলে আসা। কারণ, গ্রামটিতে এখনো বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি।
একই অবস্থা সাঁওতালপল্লির অপর দুই গ্রাম বড় জয়পুর ও ছোট জয়পুরের। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের এ তিন গ্রামের একটিই রাস্তা। কাঁচা ও সরু ওই রাস্তাও এবড়োখেবড়ো, খানাখন্দে ভরা। নেই কোনো বিদ্যালয় বা অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। সাঁওতালপল্লির রাতের পরিবেশ যেন অনেকটা ভারতের সঙ্গে বিনিময়ের আগে আমাদের দেশের ভেতরের ছিটমহলগুলোর মতো।
স্থানীয় গির্জার তালিকা অনুসারে মাদারপুরে ৪৪০, বড় জয়পুরে ৫৫০ ও ছোট জয়পুরে ২৫০ এই মোট ১ হাজার ২৪০ সাঁওতাল পরিবারের বসবাস। পল্লির উত্তরে খামারবাড়ি, দক্ষিণে বাগদা বাজার ও পূর্বে সাহেবগঞ্জ খামার—এই তিন পাশেই বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু মাঝখানে এই তিন গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি।
সোমবার রাত আটটার দিকে বেহাল রাস্তা ধরে জয়পুর মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে পল্লির মেটে চুলার আলো দেখা গেল। সেখানে কিছু নারী-পুরুষ রান্না করছিলেন। চারদিকে জমাট অন্ধকার।
শিক্ষা ও আর্থিক সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা সাঁওতালদের মধ্যে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার নেই। গ্রামের কয়েকজন বললেন, তাঁদের আলোর কাজ চলে কেরোসিনের কুপি, হারিকেন আর প্রধানত গ্যাস লাইটারে যুক্ত সরু টর্চে। মুঠোফোন আছে কারও কারও। তবে তাঁরা মুঠোফোনের টর্চের আলো ব্যবহার করতে চান না দ্রুত চার্জ চলে যায় বলে। কারণ, মুঠোফোনে চার্জ দিতে হয় সাহেবগঞ্জ বা কাটাবাড়ি বাজারে কোনো দোকানে গিয়ে বলে-কয়ে।
প্রতারণার অভিযোগ: সাঁওতালপল্লির অনেকে অভিযোগ করলেন, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার আশায় ২০১৪ সালে প্রায় ১০০ পরিবার ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন সাপমারা ইউনিয়নেরই রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছে। মাদারপুরের রসেন মাড্ডি ১ হাজার ২০০ টাকা, মন্তু মাড্ডি ১ হাজার ৩০০ টাকা, বাসন্তী হেমব্রন ও কবিতা হেমব্রন দেড় হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বললেন। তাঁরা বললেন, তবে তাঁদের রসিদ দেওয়া হয়নি। এখনো বিদ্যুৎ আসেনি।
সাঁওতালরা বললেন, রুহুল আমিন পাশের কাটাবাড়ি ইউনিয়নের ভেলারায় বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ের যোগাযোগ আছে। আজ হবে, কাল হবে করে তিনি প্রায় দুই বছর পার করেছেন।
জানতে চাইলে রুহুল আমিন বলেন, সাঁওতালরা তাঁকে শিক্ষক বললেও তিনি ওই স্কুলের অফিস সহকারী। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য চেষ্টা করেছেন। দরপত্র হয়ে গেছে। ঠিকাদার কাজ শুরু করলে শিগগিরই বিদ্যুৎ যাবে। বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগের কথা বললে তিনি তা পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে অন্তত ১০ জন সাঁওতালের অভিযোগ ভিডিওতে রেকর্ড করা আছে জানালে তিনি বললেন, সাঁওতালরা তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তিনি টাকা নেননি। সাহেবগঞ্জ খামারে তাঁর একটি সেচ পাম্প ছিল। এ কারণে পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। দরপত্রের কথা কীভাবে জানলেন—এ প্রশ্নে বলেন, লোকমুখে শুনেছেন।
সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রুহুল আমিন বিদ্যুতের কথা বলে অনেক সাঁওতালের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। দালালেরা অনেক সময় লোকদের প্রতারিত করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, সাধারণত এক বছর আগে পরিকল্পনা করা হয় কোন গ্রামে পরের বছর বিদ্যুৎ যাবে। ওপরের দিক থেকে এই পরিকল্পনা আসে। সাঁওতালপল্লির ওই তিন গ্রামে বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা আসেনি। কাজেই সেখানে দরপত্রের প্রশ্নই আসে না। তবে উচ্চপর্যায় থেকে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ভেতরে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার একটি বড় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে ২০১৮ সাল নাগাদ সাঁওতালপল্লিতে বিদ্যুৎ যাবে।
বিদ্যালয় নেই: সাঁওতালদের তিন গ্রামে একমাত্র বিদ্যালয় ছিল জয়পুর মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেটিও অনেক বছর বন্ধ। সাঁওতালপল্লির শিশুরা পড়ে সাহেবগঞ্জ খামারের ভেতরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁচা কৃষ্ণপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও বুজরুক বেড়া আর্জি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ৬ নভেম্বরের উচ্ছেদের পর গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক পর এসব স্কুলের প্রধান শিক্ষক পল্লিতে এসে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভয় দিয়ে শিশুদের স্কুলে নিয়ে গেছেন। অভিভাবকেরা বলেন, খামার কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলায় শিক্ষার্থীদের এখন বিদ্যালয়ে যেতে হয় অনেক

December 20, 2016

বাংলাদেশে ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ এবং মর্যাদাহানির ‘লজ্জা’

বাংলাদেশে শিক্ষকদের মর্যাদাহানির কিছু ঘটনা ঘটেছে৷ শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় কি এমন ত্রুটি আছে যা এমন ঘটনার জন্য দায়ী? পরিবর্তিত সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই বা দায় কতটুকু?


গত বছরের শেষ দিকে সরকার যখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করে,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তখন আন্দোলনে নামতে হলো৷ মূল সমস্যা বেতন স্কেল নিয়ে হলেও শিক্ষক নেতারা তখন বলেছেন, ‘‘এটা যতনা বেতন বৈষম্যের প্রশ্ন, তার চেয়ে বড় হলো মর্যাদার প্রশ্ন৷'' এমনটি বলার কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তখন বেতন স্কেলে সচিবদের নীচে রাখা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ‘মর্যাদা বিষয়ক' জটিলতার অবসান ঘটে৷ ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ ভাগ অধ্যাপক সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার হবেন' – বলে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়৷ তবে এখনো সিনিয়র সচিব মর্যদায় শিক্ষকদের কোনো অবস্থান নির্ণয় করা হয়নি৷ এ বিষয়টি নিয়ে এখনো হতাশা আছে৷
গত ১৩ মে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্ম নিয়ে কটুক্তির গুজব ছড়িয়ে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করার শাস্তি দেয়া হয়৷ স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নিজে উপস্থিত থেকে এই শাস্তি কার্যকর করেন৷ শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষক হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়

এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে তদনন্তের ভিত্তিতে শিক্ষককে তার পদে পুনর্বহাল করা হয়৷ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ধর্ম নিয়ে অবমননাকর বক্তব্যের অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি৷ তারপরও শিক্ষককে কান ধরে উঠবস যারা করিয়েছেন, তাদের এখনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি৷
এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ধামরাইয়ে লাঞ্চিত হন এক প্রধান শিক্ষিকা৷ শিক্ষিকাকে মারধর করায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অবশ্য ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়৷
তারপর ৩০ মে ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে লেখায় লাইক দেয়ার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুরে সুঘাটা ইউনিয়নের কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কুমার রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷ এরপর থেকে তিনি এলাকাছাড়া৷ ফেসবুকের কথিত ওই স্ট্যাটাসে তিনি আদৌ ‘লাইক' দিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েই উত্তেজিত স্থানীয়দের শান্ত করার কথা বলে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
শিক্ষক অবমাননার ঘটনাগুলোর পেছনে তিনটি বিষয়ের ভূমিকা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়৷ এক, শিক্ষকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতা, দুই, ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব এবং তিন, রাজনৈতিক ও সামাজিক অসহিষ্ণুতা৷
বাংলাদেশে প্রধানত চারধাপে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় ৷ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা৷ সাধারণভাবে শিক্ষার ধারা আবার তিনটি – মাদ্রাসা শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা এবং ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা৷ ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও সরকারি এবং বেসরকারি, অর্থাৎ দু’রকমের শ্রেণিকরণ৷
শিক্ষকদের
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ------- টাকা আর প্রশিক্ষণবিহীনদের -------- টাকা৷ এমপিওভুক্ত এবং এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও আলাদা হিসাব৷ যাঁরা এমপিওভুক্ত নন, তাঁরা বেতনই পান না৷
আগে আশ্বাস দেয়া হলেও এবারের প্রস্তাবিত বাজেটেও এমপিওভুক্ত নন এমন শিক্ষকদের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি৷ এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে আছেন৷
বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয় ব্যবস্থাপনা কমিটি'র মাধ্যমে৷ তাদের হাতেই থাকে শিক্ষকা নিয়োগ ও বরখাস্তের ক্ষমতা৷ আর ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এখন আর কোনো শিক্ষানুরাগী থাকেননা৷ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সব পদ দখল করে আছেন সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীরা৷ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ব্যবস্থাপনা কমিটিই সাময়িকভাবে বরখাসস্ত করেছিল৷ কমিটির চেয়ারম্যান চাইছিলেন তার এক আত্মীয়কে প্রধান শিক্ষক করতে৷ জানা যায়, এ নিয়েই কমিটির সঙ্গে বিরোধ আর সে কারণেই ধর্ম অবমাননার গুজবের সুযোগে শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবস করানো হয়
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট ৮২ হাজার ৯৮২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৩ হাজার ৫৮৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪ হাজার ৪৯৪টি, মাদ্রাসা ৯০ হাজার ১০৫টি এবং ২ হাজার ৩০০টি কলেজ রয়েছে৷ এর বাইরে আছে মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য ভোটের মাধ্যমে ব্যস্থাপনা কমিটি নির্বাচনের বিধান রয়েছে৷ ফলে নির্বাচনের নামে প্রভাবশালীরাই কমিটিগুলোর নানা পদ দখল করে আছেন৷ ভর্তি এবং ‘উন্নয়নমূলক কাজ' তাদের নিয়ন্ত্রণেই হয়৷ ফলে কমিটির প্রধান বা সদস্য হওয়া লাভজনক ব্যবসা৷ তবে গত সপ্তাহে হাইকোর্ট কলেজগুলোর ব্যবস্থপনা কমিটির প্রধান হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য থাকার বিধানটি বাতিল করেছে৷
ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটির নির্বাচনে প্রার্থীরা কোটি টাকাও খরচ করেন৷ পেস্টার ছাপেন৷ প্রচুর টাকা খরচ করে চালান প্রচারণা৷ কারণ নির্বাচিত হতে পারলেই অনেক টাকার হাতছানি৷ তাদের হাতেই এখন শিক্ষকরা জিম্মি৷ আর এই কারণেই শিক্ষকরা এখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের করুণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন৷ তাদের মর্যাদা নির্ভর করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার ওপর৷ তাছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা যেহেতু স্থানীয় রজনীতির সঙ্গে জড়িত তাই তারা শিক্ষকের মর্যাদার চেয়ে ভোটারদের অনেক ক্ষেত্রে ভোটারদের মতামতকেই প্রাধান্য দেন নৈতিকতা বা সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের বিষয়টি আমলে না নিয়ে৷ তাই শিক্ষককে বরখাস্ত করার ঘটনাও ঘটে কথিত উত্তেজিত লোকজনের চাপের কারণে৷
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৫২০০ টাকা আর প্রশিক্ষণবিহীনদের ৪৯০০ টাকা৷ এমপিওভুক্ত এবং এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও আলাদা হিসাব৷ যাঁরা এমপিওভুক্ত নন, তাঁরা বেতনই পান না৷
আগে আশ্বাস দেয়া হলেও এবারের প্রস্তাবিত বাজেটেও এমপিওভুক্ত নন এমন শিক্ষকদের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি৷ এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে আছেন৷
বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পরিচালিত হয় ব্যবস্থাপনা কমিটি'র মাধ্যমে৷ তাদের হাতেই থাকে শিক্ষকা নিয়োগ ও বরখাস্তের ক্ষমতা৷ আর ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এখন আর কোনো শিক্ষানুরাগী থাকেননা৷ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সব পদ দখল করে আছেন সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীরা৷ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ব্যবস্থাপনা কমিটিই সাময়িকভাবে বরখাসস্ত করেছিল৷ কমিটির চেয়ারম্যান চাইছিলেন তার এক আত্মীয়কে প্রধান শিক্ষক করতে৷ জানা যায়, এ নিয়েই কমিটির সঙ্গে বিরোধ আর সে কারণেই ধর্ম অবমাননার গুজবের সুযোগে শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবস করানো হয়
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট ৮২ হাজার ৯৮২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৩ হাজার ৫৮৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪ হাজার ৪৯৪টি, মাদ্রাসা ৯০ হাজার ১০৫টি এবং ২ হাজার ৩০০টি কলেজ রয়েছে৷ এর বাইরে আছে মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য ভোটের মাধ্যমে ব্যস্থাপনা কমিটি নির্বাচনের বিধান রয়েছে৷ ফলে নির্বাচনের নামে প্রভাবশালীরাই কমিটিগুলোর নানা পদ দখল করে আছেন৷ ভর্তি এবং ‘উন্নয়নমূলক কাজ' তাদের নিয়ন্ত্রণেই হয়৷ ফলে কমিটির প্রধান বা সদস্য হওয়া লাভজনক ব্যবসা৷ তবে গত সপ্তাহে হাইকোর্ট কলেজগুলোর ব্যবস্থপনা কমিটির প্রধান হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য থাকার বিধানটি বাতিল করেছে৷
ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটির নির্বাচনে প্রার্থীরা কোটি টাকাও খরচ করেন৷ পেস্টার ছাপেন৷ প্রচুর টাকা খরচ করে চালান প্রচারণা৷ কারণ নির্বাচিত হতে পারলেই অনেক টাকার হাতছানি৷ তাদের হাতেই এখন শিক্ষকরা জিম্মি৷ আর এই কারণেই শিক্ষকরা এখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের করুণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন৷ তাদের মর্যাদা নির্ভর করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার ওপর৷ তাছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা যেহেতু স্থানীয় রজনীতির সঙ্গে জড়িত তাই তারা শিক্ষকের মর্যাদার চেয়ে ভোটারদের অনেক ক্ষেত্রে ভোটারদের মতামতকেই প্রাধান্য দেন নৈতিকতা বা সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের বিষয়টি আমলে না নিয়ে৷ তাই শিক্ষককে বরখাস্ত করার ঘটনাও ঘটে কথিত উত্তেজিত লোকজনের চাপের কারণে৷
কাঠামোও একরকম নয়৷ প্রতিবেদনের শুরুতেই পাবালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনকাঠামো নিয়ে কথা হয়েছে৷ দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুনির্দিষ্ট কোনো বেতন কাঠামো নেই৷ কেউ উচ্চ বেতনভোগী, আবার কেউ কম বেতনে কায়ক্লেশে জীবন যাপনে বাধ্য৷ বিষয়টি মূলত নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অবস্থার ওপর৷
কলেজ পর্যায়েও সরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষদের বেতনে পার্থক্য রয়েছে৷ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুওলোর শিক্ষকদেরও একই অবস্থা৷

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা এক ধরণের সামাজিক সঙ্কটের মধ্যে আছি৷ শিক্ষকের মর্যাদার ঐতিহ্যবাহী ধারণা বদলে গেছে৷ এর প্রধান কারণ শিক্ষার নিয়ন্ত্রক এখন আর শিক্ষাবিদরা নন৷ এর নিয়ন্ত্রণ এখন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের হাতে৷ দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও শিক্ষকদের অপমানজনক কথা বলা হয়, যার প্রভাব পড়ে সার্বিকভাবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘শিক্ষকের মর্যাদা শুধু সামাজিক মর্যাদার ওপর নির্ভরশীল নয়, আর্থিক বিষয়টিও গুররুত্বপুর্ণ৷ এখন দুই দিক থেকেই তাঁরা অমর্যাদার শিকার৷''
শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়টি আবার শিক্ষকদের গ্রহণযোগ্যতার ওপর, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ওপরও নির্ভর করে বলে তিনি মনে করেন৷
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ-ও বলেছেন যে, ‘‘যারা শিক্ষকদের অমর্যাদা করেন তারা প্রভাবশালী, সাধারণ মানুষ নয়৷ আর এখন প্রভাশালীরা শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব নয়৷''
বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. একেএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে শিক্ষকের মর্যাদার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রব্যবস্থায় শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়টি স্পষ্ট নয়৷ শিক্ষানীতিতেও অস্পষ্ট৷''
তাঁর মতে, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়নি৷ এটাকে আলাদাভাবে বিচেনায় নেয়া হয়নি৷ তাই বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷''

প্রাক-প্রাথমিকের একটি আকর্ষনীয় ক্লাস

বাংলা একাডেমির তিন সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা


বাংলা একাডেমি পরিচালিত তিন সাহিত্য পুরস্কার— সা’দত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬, মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার-২০১৬ এবং কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই তিনটি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
 
সা’দত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেন। পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০পঞ্চাশ হাজার টাকা। যা প্রদান করেছেন মরহুম সাহিত্যিক সা’দত আলি আখন্দের কন্যা তাহমিনা হোসেন।
 
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কবি আবুবকর সিদ্দিক। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা, যা প্রদান করেছেন অধ্যাপক মযহারুল ইসলামের পরিবার।
 
কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন। পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকা, যার প্রদান করেছেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর পরিবার।

উইকি লাভস মনুমেন্টস ২০১৬ সেরা ছবির তালিকা প্রকাশিত


উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া আয়োজিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে ছবি তোলার প্রতিযোগিতা উইকি লাভস মনুমেন্টস (ডব্লিউএলএম) ২০১৬-এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে আইনজীবী অ্যান্সজার কোরেনের তোলা জার্মানির বার্লিনের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের ছবি। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে কলিনের তোলা যুক্তরাজ্যের রয়েল আলবার্ট হলের ছবি আর তৃতীয় হয়েছে রিচার্ডের তোলা যুক্তরাজ্যের পার্স লাইট রকহাউসের ছবি। সব মিলিয়ে ১৫টি সেরা ছবি নির্বাচন করা হয়েছে। বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্বাচিত ছবিগুলো পাওয়া যাবে ঠিকানায়।
চলতি বছর ৪২টি দেশে থাকা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের স্থানীয় শাখাগুলোর উদ্যোগে ডব্লিউএলএম প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১০ হাজার ৭০০ জন আলোকচিত্রী সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার ছবি জমা দিয়েছেন। সব কটি ছবি উন্মুক্ত ছবির ভান্ডার উইকিমিডিয়া কমন্সে  রয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষার উইকিপিডিয়া সংশ্লিষ্ট নিবন্ধে যুক্ত করা হচ্ছে। ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মাসব্যাপী আয়োজনে এতে সাড়ে সাত হাজারের বেশি ছবি জমা পড়ে। ডব্লিউএলএম বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসক নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় আমরা সংখ্যার বিচারে ভালো ছবি পেয়েছি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সারা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে গেলে আমাদের আরও ভালো স্থাপনার ছবি লাগবে।’
২০১০ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের স্থাপনার ১৫ লাখের বেশি ছবি যুক্ত হয়েছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছবি তোলার প্রতিযোগিতা হলো এই ডব্লিউএলএম।
 Perch Rock Lighthouse at the Merseyside River at New Brighton, United Kingdom
 Two sculptures guarding the eastern gate to the main chapel of Wat Arun in the Bangkok Yai District, Thailand
 The Gravensteen castle in the city center of Ghent, Belgium
 The blue hour at the Pakistan Monument in Islamabad, Pakistan
  The Crystal Mill, an 1893 power plant in Colorado, United States
  A caravan in front of the high walls of the Derawar Fort in Bahawalpur,
  A mysterious picture of the St Lawrence Church amid the fogs in Zliechov
 Main auditorium of Royal Albert Hall in London, United Kingdom
  The presidential Palácio do Planalto in Brasília, Brazil
 Panama Canal Railway between Colón and Ancón in Panama
 The Rakotzbrücke (Devil's Bridge) in Azalea and Rhododendron Park Kromlau, Germany
 The entrance hall of the Regional court in Berlin, Germany
 The tomb of Bibi Jawindi in Uch Sharif, Punjab, Pakistan
 Lights at sunset: Castle of Torrechiara, Langhirano, Emilia-Romagna, Italy
Ruins of the Čachtice Castle in Čachtice, Trenčín, Slovakia

বাংলা ১ম শ্রেনি পাঠ পরিকল্পনা পাঠ- ২৭ থেকে শেষ পর্যন্ত মোট- ৫৭ টি

December 19, 2016

একজন ব্যক্তি কেন শিক্ষক হন?


“বেশির ভাগ শিক্ষক এই পেশা বেছে নেন কারণ এটা হল এমন একটা পেশা, যা লোকেদেরকে সাহায্য করে। ছেলেমেয়েদের জীবনে বিরাট পরিবর্তন আনার জন্য [শিক্ষকতা হল একটা] অঙ্গীকার।”—শিক্ষক, স্কুল এবং সমাজ
যদিও কিছু শিক্ষক শিক্ষকতাকে খুব সহজ বলে মনে করেন, কিন্তু এই পেশাতে অনেক বাধা আসতে পারে, যেগুলোর মোকাবিলা করতে হয় যেমন, ক্লাসে প্রচুর ছাত্রছাত্রী থাকা, অত্যধিক লেখালেখির কাজ, নিয়মকানুনের অনেক আনুষ্ঠানিকতা, অমনোযোগী ছাত্রছাত্রী এবং কম বেতন। স্পেনের মাদ্রিদের একজন শিক্ষক পেদ্রো বিষয়টাকে এভাবে বলেন: “একজন শিক্ষক হওয়া কখনও সহজ নয়। এর জন্য অনেক আত্মত্যাগের প্রয়োজন। তবুও, অনেক বাধাবিপত্তি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকতাকে আমি ব্যবসায়িক জগতের একটা চাকরির চেয়ে আরও বেশি পরিতৃপ্তিকর কাজ বলে মনে করি।

December 10, 2016

এই ডিসেম্বরে নিজেকে প্রস্তুত করুন একটু বাড়তি ইনকামের জন্য


আমরা যারা শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত আছি, এই ডিসেম্বর মাসে কিছুটা হলেও চাপ একটু কম, ফেসবুকে অনেকটা সময় আমরা ব্যয় করি , বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর বাজার অনেক টা জমজমাট । ফ্রিল্যান্সিং বাজারে মোটামুটি SEO এর অনেক কাজ পাওয়া যায়, কাজটা খুব বেশি জটিল না, ধর্য্য ও মনোযোগ দিয়ে শিখলে মাত্র ২০ দিনেই শেখা সম্ভব । আর এর জন্য খুব দামি কোন কম্পিউটার বা ল্যপটপের ও প্রয়োজন নেই। মোটামূটি কনফিগারেশনের পিসি দ্বারাই কাজ করা ও শেখা সম্ভব, আপনি যদি সপ্তাহে ২৮ থেকে ৩০ ঘন্টার মত সময় ব্যয় করতে পারেন, তবে প্রতি ঘন্টা ৩ থেকে ৮ ডলার ইনকাম করতে পাবেন এটা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। আর একাজের জন্য আপনাকে কম্পিউটার বা সফটয়ারে খুব বেশি দক্ষ হতে হবে এমন নয়, ইন্টারনেট চালনা করার জ্ঞান থাকলেই চলবে এবং প্রচুর ধর্য্য লাগবে কাজটা শেখার জন্য । আপনি চাইলে নিজেও ওয়েব সাইড বা ব্লগ সাইড খুলতে পারেন কাজটা একবার শিখলে । সুতরাং ডিসেম্বরের ছোট্ট ছোট্ট অবসর সময়টা আপনি কাজ শিখে সময়টা কাজে লাগাতে পারেন।
এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে শিখব ? কোথায় শিখব ?
না চিন্তার কোন কারন নেই , আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বা কোন ইন্সটিটিউটে গিয়ে কাজটা শিখতে হবেনা । এর জন্য নানা ধরনের ওয়েব সাইড আছে ,আপনি সেই সব সাইডে ভিজিট করে কাজটা শিখতে পারেন । অথবা you tube এ SEO  লিখে সার্চ দিলেও আপনি অনায়াসে সেই সব ভিডিও দেখে কাজ শিখতে পারেন ।
আমি নিচে কিছু লিংক দিচ্ছি আপনার সেখান থেকেও শিখতে পারবেন । এবং এই সাইড গুলো SEO শেখার জন্য বেশ জনপ্রিয় । লিংক গুলোতে ক্লিক দিলেই আপনি সাইড গুলোতে ভিজিট করতে পারবেন ।

আইটি বাড়ি   এটি বাংলা ভাষাতে করা সাইড

 আইটিবাড়ি YOU TUBE

মিডিয়াম ডট কম 

হবো ডট ইউকে

টিউটোরিয়াল পয়েন্ট

ইউটিউব 
 
তাছাড়াও আরো অনেক সাইড আছে যেখান থেকে আপনি অনায়াসে শিখতে পারেন  .

December 7, 2016

প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) আইন, ১৯৯০

 

প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) আইন, ১৯৯০

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম

১৷ এই আইন প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) আইন, ১৯৯০ নামে অভিহিত হইবে৷

সংজ্ঞা 
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
() “অভিভাবকঅর্থ শিশুর পিতা বা পিতার অবর্তমানে মাতা বা উভয়ের অবর্তমানে শিশুর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি;
(
) “কমিটিঅর্থ ধারা এর অধীন গঠিত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি;
(
) “প্রাথমিক শিক্ষাঅর্থ শিশুদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা অনুমোদিত শিক্ষা;
(
) “প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঅর্থ যে কোন সরকারী বা বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রহিয়াছে;
(
) “শিশুঅর্থ ছয় বত্সরের কম নহে এবং দশ বত্সরের অধিক নহে এইরূপ বয়সের যে কোন বালক বা বালিকা৷




৩৷ () সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, দেশের যে কোন এলাকায় যে কোন তারিখ হইতে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করিতে পারিবে৷
() যে এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হইবে সেই এলাকায় বসবাসরত প্রত্যেক শিশুর অভিভাবক তাহার শিশুকে, যুক্তিসংগত কারণ না থাকিলে, প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকায় অবস্থিত তাহার বাসস্থানের নিকটস্থ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাইবেন৷
() উপ-ধারা () উল্লেখিতযুক্তিসংগত কারণবলিতে নিম্নলিখিত কারণগুলিকে বুঝাইবে, যথা :-
() অসুস্থতা বা অন্য কোন অনিবার্য কারণে কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা সম্ভব না হওয়া;
() শিশুর আবাসস্থল হইতে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকা;
() আবেদন করা সত্ত্বেও শিশুকে কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাইতে না পারা;
() প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিবেচনায় শিশু বর্তমানে যে শিক্ষা গ্রহণ করিতেছে তাহা প্রাথমিক শিক্ষার সমমানের না হওয়া;
() প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিবেচনায় শিশুর মানসিক অক্ষমতার কারণে তাঁহাকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো বাঞ্ছনীয় না হওয়া৷
() যে এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হইবে সেই এলাকায় কোন ব্যক্তি কোন শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য হাজির হওয়ার ব্যাপারে বিঘ্নের সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন কাজকর্মে ব্যাপৃত রাখিতে পারিবেন না৷


৪৷ () যে এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হইবে সেই এলাকায় ইউনিয়ন বা পৌর এলাকাসমূহের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি নামে একটি কমিটি থাকিবে৷
() কোন ইউনিয়নের ওয়ার্ডের জন্য কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
() উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন ওয়ার্ড মেম্বার, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
() ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহিত আলোচনাক্রমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিদ্যোত্সাহী পুরুষ;
() ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহিত আলোচনাক্রমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিদ্যোত্সাহী মহিলা;
() প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রী, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷
() কোন পৌর এলাকার ওয়ার্ডের জন্য কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
() পৌর কর্পোরেশনের মেয়র বা পৌর সভার চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন ওয়ার্ড কমিশনার, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
() ওয়ার্ড কমিশনারের সহিত আলোচনাক্রমে উক্ত মেয়র বা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিদ্যোত্সাহী পুরুষ;
() ওয়ার্ড কমিশনারের সহিত আলোচনাক্রমে উক্ত মেয়র বা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিদ্যোত্সাহী মহিলা;
() প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রী, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷
() যদি কোন ওয়ার্ডে একাধিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে, তাহা হইলে উহাদের প্রত্যেকটির প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রী কমিটির সদস্য হইবেন এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বা, ক্ষেত্রমত, পৌর কর্পোরেশনের মেয়র বা পৌর সভার চেয়ারম্যান তাহাদের মধ্য হইতে কে কমিটির সচিব হইবেন তাহা নির্ধারণ করিবেন৷

৫৷ () কমিটি উহার এলাকায় বসবাসরত প্রত্যেক শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া এবং রীতিমত হাজির হওয়া নিশ্চিত করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কমিটি উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় বা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে৷
() কমিটি উহার এলাকায় বসবাসরত সকল শিশুর একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে এবং উহাতে প্রত্যেক শিশুর নাম, অভিভাবকের নাম শিশুর বয়স উল্লেখ থাকিবে এবং উহাতে এই আইনের অধীন যাহারা প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হইতে বাধ্য এবং যাহারা এই ভর্তি হইতে অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য তাঁহাদের নাম স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শিত হইবে৷
() উপ-ধারা () এর অধীন প্রণীত তালিকা প্রত্যেক বত্সর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সংশোধিত হইবে এবং এই সংশোধিত তালিকা হইতে যাহারা নববর্ষের শুরুতে শিশু থাকিবে না তাঁহাদের নাম বাদ পড়িবে এবং যাহারা শিশু হইবে তাঁহাদের নাম উহাতে অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
() উপ-ধারা () উল্লিখিত তালিকা এবং উপ-ধারা () উল্লিখিত সংশোধিত তালিকার একটি করিয়া অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড হইতে দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
() প্রত্যেক বত্সর জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রী তাঁহার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া শিশুদের নামের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট কমিটি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
() প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রী প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁহার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ববর্তী মাসে অন্ততঃ সাত দিন অনুপস্থিত ছিল এইরূপ শিশুদের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট কমিটি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
() যেক্ষেত্রে কমিটি দেখিতে পায় যে, উহার তালিকাভুক্ত কোন শিশু যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় নাই বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রীর বিনা অনুমতিতে মাসের মধ্যে অন্ততঃ সাতদিন অনুপস্থিত রহিয়াছে সেক্ষেত্রে কমিটি শিশুর অভিভাবকের বক্তব্য শ্রবণ করিয়া এবং প্রয়োজনবোধে বিষয়টি তদন্ত করিয়া উক্ত অভিভাবককে ভর্তি না হওয়ার ক্ষেত্রে, উহার শিশুকে কমিটি কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাইবার জন্য এবং অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁহার যথারীতি উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
দণ্ড 

৬৷ () যদি কোন কমিটি এই আইনের অধীন উহার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে, উহার প্রত্যেক সদস্য অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
() যদি কোন অভিভাবক ধারা ()-এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালনে পরপর তিনবার ব্যর্থ হন তাহা হইলে, তিনি অনধিক দুইশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ 

৭৷ কমিটির চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷



বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 

৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷