সবার কাছে মান সম্মত কন্টেন্ট, আপডেট তথ্য, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য সমুহ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ম্যাণুয়াল পৌছে দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস,
January 31, 2017
January 30, 2017
January 29, 2017
January 28, 2017
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অফিসের সেবা প্রোফাইল
এই ম্যানুয়ালটিতে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আমাদের কি কি সেবা প্রদান করে তার দিক নির্দেশনা দেয়া
আছে। যেমনঃ শিক্ষক বদলীর জন্য কি কি নীতি মালা অনুসরন করতে হবে বা কার বরাবর আবেদন
করতে হবে, কি কি পেপারস দিতে হবে, তারপর শিক্ষকদের পেনশানের জন্য কি কি কাগজ দাখিল
করবেন বা কার বরা বর করবেন, বিদ্যালয় ভবন নির্মান বা মেরামতসংক্রান্ত, জিপিএফ লোন মঞ্জুরী, শিক্ষক দের বেতন প্রদান , উপবৃত্তি, পুসতক বিতরণ,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিভিন্ন শাখার ফোন ফ্যাক্স নম্বর , বিভিন্ন অফিসের
লোকবল কাঠামো, প্রশাসনিক কাঠামো ইত্যাদি, বইটি এটু ,আই , প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়থেকে জুন, ২০১৫ সালে প্রকাশ করা হয়।
January 27, 2017
শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি ॥ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
বিজ্ঞানের ক্রম-অগ্রগতির এ সময়টিকে বিশ্বজুড়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির যুগ হিসেবে। বর্তমানে সামরিক বা পারমাণবিক শক্তি নয় তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা দ্বারাই নির্ধারিত হচ্ছে দেশ বা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। এক সময়ের সামরিক স্বার্থ ও অস্ত্র গবেষণার সীমাবদ্ধ গণ্ডি পেরিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি এখন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত ড্রইং রুম বা বাসগৃহে প্রবেশ করেছে। তথ্য-প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রার পটভূমিতে মহাজোট সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল বা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনের একটি অন্যতম ক্ষেত্র বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ই-বুক প্রণয়ন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা, শিক্ষার্থী নিবন্ধীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজসমূহে ইন্টারনেটের সাহায্যে ভর্তির আবেদন ও ফলাফল জানা ইত্যাদি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আন্তরিক প্রয়াস। সম্প্রতি দেশের শত বছরের পুরাতন শিক্ষাদান পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকার ডিজিটাল ক্লাস রুম নামে এক অভিনব, আধুনিক, কার্যকর পদ্ধতি প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও ফনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাস রুম এবং একই সঙ্গে শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, এক বছরের মধ্যেই ২০ হাজার ৫০০ স্কুল ও মাদ্রাসায় অন্তত একটি শ্রেণীকক্ষে এই ডিজি ক্লাস রুম প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এ কাজে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ সকল সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য কেবল তথ্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা নয়; বরং শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা।
প্রচলিত ধারায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি কঠিন ও নিরস বিষয়। এ ধারায় পাঠ্যপুস্তকের বিষয়সমূহ শিক্ষকগণ শ্রেণীকক্ষে যেভাবে উপস্থাপন করেন তাতে শিক্ষার্থীরা পঠিত বিষয়ের প্রতি কিছুতেই আগ্রহী হয়ে উঠছে না। শিক্ষা-বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না এবং বিষয়বস্তু ঠিক মতো বোধগম্যও হচ্ছে না। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পঠিত বিষয়কে না বুঝেই আত্মস্থ করার চেষ্টা করছে। ফলে প্রকৃত শিখনফল অর্জিত হচ্ছে না। পরীক্ষায় ফল ভালো করলেও কর্মজীবনে গিয়ে অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজিত এই সমস্যাকে দূর করার লক্ষ্যে ডিজি অর্থাৎ ডিজিটাল ক্লাসরুম একটি শুভ সূচনা। এতে শিক্ষা বিষয়টিকে শিক্ষার্থীর নিকট অনেক বেশি আনন্দময়, সহজবোধ্য করা যাবে। শিক্ষা হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন)-প্রকল্প কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম’ এর ধারণা শিক্ষাদান পদ্ধতিতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। তাঁদের মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের শিক্ষার মানের একটি গুণগত রূপান্তর সংঘটিত হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘শিক্ষকদের দ্বারা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি’ এটুআই প্রকল্প কর্তৃক উদ্ভাবিত আরেকটি উল্লেখ করার মতো বিষয়। ডিজিটাল কনটেন্ট হলো পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত বিষয়কে শব্দে, ছবিতে ও গতিময়তায় উপস্থাপনের জন্য নির্মিত শিক্ষকদের তৈরি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপকরণ। শিক্ষকগণ আগে থেকেই কম্পিউটারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রোগ্রামে বিভিন্ন ভিডিও, অডিও, ইফেক্ট, এনিমেশন ব্যবহার করে পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্টকে সøাইডে রূপান্তরিত করবেন। পরে শ্রেণীকক্ষে সেটি শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন। এতে পাঠ্যপুস্তকের কালো অক্ষরে বর্ণিত ঘটনা বা বিষয় শিক্ষার্থীর কাছে শব্দে, চিত্রে, গতিময়তা, ভিডিও এবং এনিমেশনের মাধ্যমে সহজেই জীবন্ত ও হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠতে পারে। কনটেন্ট তৈরির জন্য এক জন শিক্ষকের কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট থেকে ছবি, এনিমেশন বা ভিডিও ডাউনলোড করার কৌশল, তা পাওয়ারপয়েন্টে অন্তর্ভুক্ত করার দক্ষতা থাকলেই চলবে। শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট একটি বিশেষ ওয়েব সাইট এবং জাতীয় ই-তথ্যকোষে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষকগণ এ সব সাইট থেকে ডিজিটাল কনটেন্ট সংগ্রহ করে এমনকি প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদনা করে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার করতে পারবেন। চাইলে শিক্ষার্থীরাও সেখান থেকে সাহায্য নিতে পারবে। বিশেষ করে বিজ্ঞান, গণিত, ব্যাকরণ এবং ইংরেজির মতো কঠিন বিষয়গুলো এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের নিকট আরও বোধগম্য এবং সহজ করে উপস্থাপন করা যায়। যেমন: মানুষের পরিপাকতন্ত্রের কাজ বোঝানোর সময় কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি এনিমেশন বা ভিডিও ক্লিপই যথেষ্ট। এটি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া সহজে সম্ভব। এ পদ্ধতিতে বিজ্ঞানের বিষয়সমূহের উপস্থাপপনা সহজবোধ্য হওয়ায় বিজ্ঞানশিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ও আগ্রহ সৃষ্টি হবে। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ওঈঞ রহ ঊফঁপধঃরড়হ) ব্যবহারের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে। ব্যবহৃত হলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে শ্রেণীকার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার মানোন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হবে ক্লাসে নিত্যদিনের শিক্ষাপোকরণ। এর বাইরে একটি প্রজেক্টরের প্রয়োজন হবে মাত্র। সরকারের আশাবাদ বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বা সংস্থা হাত বাড়ালে সারাদেশে সহজেই সরকারী-বেসরকারী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পদ্ধতি চালু করা সম্ভব। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নে সরকার ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে দাবি করছে। সরকারি তথ্য মতে, গত ২০১০ সাল হতে এ বিষয়ে শিক্ষকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯ হাজার শিক্ষকের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করা হচ্ছে যেখানে শিক্ষকগণ নিজেরাই ডিজিটাল কনন্টেন্ট তৈরি করতে এবং শ্রেণীকক্ষে ব্যবহারে সক্ষম হবেন এবং একে অপরকে শিখাতে পারবেন।
ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং কনটেন্টের ব্যবহার আমাদের দেশে নতুন হলেও উন্নত দেশগুলোতে এর প্রচলন আগেই হয়েছে। এখন বিশ্বজুড়ে বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণীকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন ও এ নিয়ে গবেষণা চলছে। আগের শিক্ষাপদ্ধতি ছিল শিক্ষককেন্দ্রিক এখন শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এর মূল কথা হলো শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করা। যেখানে শিক্ষক কেবল ফেসিলেটেটরের ভূমিকা পালন করবেন। একই সঙ্গে শিক্ষার বিষয়বস্তু দিনে দিনে সূক্ষ্ম ও জটিল আকার ধারণ করছে। এ কারণে শ্রেণীকক্ষে বিমূর্ত, অস্পষ্ট বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের নিকট মূর্ত এবং স্পষ্ট করার জন্য প্রচলিত উপকরণের বাইরেও বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহারের ওপরে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। এমনকি কীভাবে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে উপকরণ তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে শিক্ষকদের ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উন্নত দেশগুলো এমনকি ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এগিয়ে থাকলেও আমাদের দেশে বাস্তবে শ্রেণী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শিক্ষকগণ প্রচলিত শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবহার করেই শ্রেণী পাঠদান পরিচালনা করতে বেশি উৎসাহী যা শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষকগণ শুধু পাঠ্যপুস্তক, চক, ডাস্টার, বোর্ড ব্যবহার করেই শিক্ষক-কেন্দ্রিক শ্রেণী পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এর নানাবিধ কারণ থাকলেও মূল কারণ শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণী কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষকদের অনিহা ও অনভিজ্ঞতা।
আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞান বলছে, শ্রেণীকক্ষের পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে পাঠদান ফলপ্রসূ হয় না। এ জন্য শিক্ষককে বিভিন্ন কলা-কৌশল প্রয়োগ করতে হয়। শ্রেণী কার্যক্রমে শুরুতে শিক্ষক এমন কিছু উপকরণ প্রদর্শন করবেন যা শিক্ষার্থীদের জীবনঘনিষ্ঠ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে বাস্তব বা মূর্তমান হয়। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে এবং পাঠ শিরোনাম তারাই বের করে আনবে। শ্রেণীকক্ষে উপস্থাপিত বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা-অসুবিধা, পার্থক্য ইত্যাদি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বের করবে এবং তা করার জন্য শিক্ষক সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করবেন। আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানের এই প্রত্যাশা পূরণে এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সত্যিকার অর্থে শিক্ষকের প্রধান শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে আইসিটি। দিনে দিনে বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের যে ভীতি বা অনাগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে; আইসিটি ব্যবহার করে ক্লাস নিতে পারলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। বর্তমানে প্রবর্তিত সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটানোর লক্ষ্যে আইসিটি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। পাওয়ারপয়েন্টে বিভিন্ন সøাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নগুলোর সমাধান শ্রেণীকক্ষেই বের করে আনা যায়। এ প্রক্রিয়ায় বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের নিকট সহজ ও বোধগম্য হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর চিন্তন-দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। তাদের মধ্যে সমস্যার সমাধানমূলক দক্ষতা ও সিদ্ধান্ত-গ্রহণ দক্ষতারও বিকাশ ঘটবে। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির প্রয়োগ, জোড়া বা দলীয় কাজ করিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সহযোগিতামূলক দক্ষতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসৃত করায় এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবে। অন্যের বক্তব্য শোনা, অন্যের যুক্তি ভালো হলে তা গ্রহণ করা, সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও মনোভাব সৃষ্টি করা সহজ হবে এ প্রক্রিয়ায়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ গ্রহণ করে। এই নীতিমালার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সম্পর্কে বলা হয়েছে-
১. ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে কম্পিউটার, ল্যান, নির্ভরযোগ্য উপযুক্ত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজিকে প্রাধান্য দিয়ে মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের উপযুক্ত বিষয়বস্তুর উন্নয়ন করতে হবে।’
২. ‘সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং উপযুক্ত মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক শিক্ষার বিষয়বস্তু প্রদান। এ সকল স্থানে প্রয়োজনে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থাকরণ।’
৩. ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক শিক্ষার বিষয়বস্তু উন্নয়ন এবং তা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ।’
৪. ‘ই-লানিং ও দূরশিক্ষণের জন্য সারাদেশে উচ্চ-গতিসম্পন্ন শিক্ষা নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে। শিক্ষার জন্য একটি টেরেস্ট্রিরিয়াল টিভি চ্যানেল চালু করা হবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরিউক্ত প্রস্তাবনা বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যে একটি বিপ্লব সংঘটিত হবে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে এর বাস্তবায়ন কবে এবং কীভাবে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা আমরা সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেছিলাম। পরিকল্পনা যতই মহৎ হোক তার বাস্তবায়ন না হলে তা উচ্চাভিলাষ হিসেবেই পরিগণিত হয়। বর্তমান বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের তথৈবচ বরাদ্দ উপরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট আশাবাদী করতে পারেনি। অন্ততপক্ষে ডিজিটাল ক্লাসরুম কর্মসূচি বাস্তবায়নের শুভ উদ্যোগটি যেন অর্থ বা ব্যবস্থাপনার অভাবে মাঝপথে মুখ থুবড়ে পড়ে না যায়। তবে ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ পেশা ও পরিবেশগত বাধা দূর করে একটি কর্মসহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন হলে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি চরিত্রগত আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করি।
January 26, 2017
January 24, 2017
"ফেসবুক ব্যবহারের নির্দ্দেশিকা" দেশে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ঘোষণা করলো সরকার
দেশে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ঘোষণা করলো সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৬’ জারি করা হয়। ৬ পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় ফেসবুক ছাড়া আরও ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। একই সাথে বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রকাশ করা এসব গাইডলাইন শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কনটেন্ট প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে এতে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কিত কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, দাপ্তরিক যোগাযোগ ও মতবিনিময়, সমস্যা পর্যালোচনা ও সমাধান, জনসচেতনতা ও প্রচারণা, নাগরিকসেবা সহজ করা ও উদ্ভাবন, সিদ্ধান্তগ্রহণ ও নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সেবাগ্রহীতার অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সরকারি অফিসগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাকাউন্টে কোন ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তিন থেকে পাঁচজনের একটি মডারেটর দল থাকবে। সরকারের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হলেও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় দায়িত্বশীল আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে নির্দেশনা এসেছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসে একবার নিজ দপ্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অগ্রগতি ও কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে হবে। বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা স্বীকৃতির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সেরা পোস্ট, সেরা কমেন্ট, সেরা পেইজ, সেরা নাগরিক সমস্য উপস্থাপক, সেরা সমাধান এবং সেরা প্রচারকে বিবেচনায় নিয়ে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত আছেন। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। আর আট শতাধিক সরকারি অফিসে দাপ্তরিক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার বিষয়ে বলা হয়েছে, অ্যাকাউন্টে কোনো ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা ৩ থেকে ৫ জনের একটি মডারেটর দল থাকবে। সরকারের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হলেও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় দায়িত্বশীল আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে নির্দেশনা এসেছে।
এ ছাড়া কনটেন্ট ও বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগিং না করতেও সরকারি কর্মচারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মডারেটরকে তাদের পেজ সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার হালনাগাদ করতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনা পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসে একবার নিজ দফতরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অগ্রগতি ও কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে হবে, বছর শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবহারকারীকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বা স্বীকৃতির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সেরা পোস্ট, সেরা কমেন্ট, সেরা পেজ, সেরা নাগরিক সমস্যা উপস্থাপক, সেরা সমাধান এবং সেরা প্রচারকে বিবেচনায় নিয়ে পুরস্কার দেয়া যেতে পারে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক ছাড়াও আরো ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, স্কাইপ, গুগ্ল্ প্লাস, ইমো, ভাইবার, লিংক্ড্ইন, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ও হোয়াট্স্অ্যাপ)কে এ নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে গত ৪ নভেম্বর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিজের ফেইসবুক পাতায় ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ কোন বিষয় প্রকাশে নিষেধজ্ঞা রয়েছে।
ফেসবুক ব্যবহারের নির্দ্দেশিকা দেখতে বা লোডাইতে ক্লিক এখানে
January 21, 2017
"মুক্তপাঠ" "আকাশ আমার পাঠশালা" শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আরোও একটি উদ্যেগ
মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি (সকলের জন্য উন্মুক্ত)
শ্রেণিতে শিখন-শেখানো কার্যক্রমকে
আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করতে এবং এই কাজে শিক্ষকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির
লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি শির্ষক কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে।
বিভিন্ন আইসিটি উপকরণ যেমন, ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারনেট
সংযোগ ইত্যাদি ব্যবহার করার সুবিধা এবং কৌশল বিষয়ে শিক্ষকগণ ব্যবহারিক
দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন এই কোর্সটি থেকে। শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণি
কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি এবং মাল্টিমিডিয়া
ক্লাসরুম পরিচালনার লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
কোর্সে আপনার স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
[This
course is designed for developing capacity of the teachers in creating
multimedia content for teaching to make the classroom more attractive,
effective and motivating.]January 20, 2017
January 19, 2017
ইন্টারেক্টিভ প্রদত্ত ডিজিটাল কন্টেন্ট PLAY না হলে যা করবেন
অনেকে অভিযোগ করেছেন http://digitalcontent.ictd.gov.bd/index.php/tutorial/digitalcontent এই লিংক থেকে কন্টেন্ট ডাউনলোড করার পর তা আর play হচ্ছে না।
প্রথেমেই বলে রাখি এটা কিন্তু কোন ভিডিও না , এটা একটা apps . যেটা মুলত flash player এ চলে ।
প্রথমতঃ যে ফাইলটি আপনি ডাউনলোড করছেন সেটা একটা zip ফাইল,
*এটাকে unzip করতে হবে,
* Entreat all করতে হবে নিচের চিত্রে মতো
*তার পর ও যদি play না হয়
* Run anyway করতে হবে,
* তারপর ও যদি play না হয় তবে
* ফাইলটি সিলেক্ট করে right বাটন ক্লিক করে property ক্লিক দিতে হবে নিচের চিত্রের মতো
* তারপর compatibility ক্লিক দিতে হবে নিচের চিত্রের মতো
* তারপর Run this program in compatibility mode for এর ঘরে ক্লিক/ টিক দিতে হবে
* তারপর আপনার কম্পিউটারে যে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটাতে সিলেক্ট দিতে হবে
* তারপর click Apply > click ok
আসা করা যায় এবার play হবে।
যদি না হয় তবে ডাউনলোডে কোন সমস্যা ছিল পুনরায় নতুন করে ডাউনলোড দিন।
( উপরের প্রসেস গুলো শুধু মাত্র যারা কম্পিউটার ভার্সন ডাউনলোড দেবার পরও PLAY হয় নাই তাদের জন্য )
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
by Bengir Haque Repon
January 18, 2017
পাঠ পরিকল্পনা গনিত ৫ম ১০৭ থেকে ১২৫
পাঠ পরিকল্পনা গনিত ৫ম ১০৭ থেকে ১২৫ দেখতে ক্লিক এখানে
৫ম গনিতের এটাই অপলোড কারা শেষ পাঠপরিকল্পনা এর পরবর্তি গুলো আপনাদের নিজেদের করতে হবে,
আগামীতে অন্য কোন বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা আপলোড দেব, ততক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকবেন, এই ব্লগে সময় দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
January 17, 2017
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার
মুসলিম সমাজে শিক্ষক মাত্রই বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তাই শিক্ষকদের প্রতি আমাদের সবার সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো উচিত। কারণ শিক্ষকেরা মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকেরা জাতির প্রধান চালিকাশক্তি। সত্যম, শিবম, সুন্দরমের পথ হচ্ছে একজন আদর্শ শিক্ষকের সাধন-দর্শন। এককথায় বলা যায়, শিক্ষক মানুষ চাষ করেন। যে চাষাবাদের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটিয়ে নীতি-নৈতিকতা ও জীবনাদর্শের বলয় একজন শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত ও কর্মময় জীবনকে মুখরিত করে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার দ্বারা উপকৃত হয়। মহানবী (সা.) যে ঐশীজ্ঞান অর্জন করেছেন, সে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টিকর্তা, মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক সম্পর্কের নীতিমালা শিক্ষা দান করেছেন। তিনি নিজেই এ পরিচয় তুলে ধরে ঘোষণা করেছেন, ‘শিক্ষক হিসেবে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
পবিত্র কোরআনের প্রথম নাজিলকৃত আয়াতে জ্ঞানার্জন তথা বিদ্যাশিক্ষার অধিকারী হতে বলা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন,
January 16, 2017
উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসের কাঠামো, কাজের ক্ষেত্র
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিচিতি:প্রতিটি উপজেলায় একটি করে উপজেলা শিক্ষা অফিস রয়েছে । সিটি কর্পোরেশনের আওতায় প্রশাসনিক ইউনিটকে থানা বলা হয় যে জন্য সেখানে থানা শিক্ষা অফিস বলা হয় । উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসের কাজ একই । থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিস হলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রাধিন মাঠপর্যায়ের একটি দপ্তর।
অফিস কাঠামো: প্রতিটি থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসে একজন থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার থাকে যিনি ১ম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা । প্রতি ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে প্রতি থানা/উপজেলায় ৪-১৫জন পর্যন্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার থাকেন । তারা ২য় শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা । একজন উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক, ২-৪জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং ১জন হিসাব সহকারি থাকেন যারা ৩য় শ্রেণির কর্মচারী । একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদ সম্প্রতি সৃষ্টি করা হয়েছে । একজন আছেন অফিস সহায়ক।
অধিক্ষেত্র :একটি উপজেলার সকল সরকারি, জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং শিক্ষকদের সকল প্রকার কাজ থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে হয়ে থাকে । যেমন একই উপজেলা/থানার মধ্যে সরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলী, সকল প্রকার ছুটি, জিপিএফ অগ্রিম, বেতন সহ সকল প্রকার আর্থিক পাওনাদি, টাইমস্কেল, দক্ষতাসীমা অতিক্রম ইত্যাদি সকল কাজই বর্তমানে থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে নিষ্পত্তি হয় । দু’একটি কাজ যেমন উপজেলা ডিপিসি কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদোন্নতির আদেশ, অবসরের আদেশ, জিপিএফ চুড়ান্ত উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে জেলায় প্রেরণ করতে হয় । পেনশনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষকদের সার্ভিস বই উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষিত থাকে । পাওয়ার ডেলিগেট করার ফলে বর্তমানে শিক্ষকদের প্রায় সকল কাজই উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস হতেই সম্পন্ন হচ্ছে ।সকল প্রকার বিদ্যালয়ের নির্মান, সংস্কার/ মেরামত ইত্যাদি উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে উপজেলা/থানা এলজিইডি অফিসের মাধ্যমে এবং ক্ষুদ্র মেরামত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয় । সকল প্রকার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম উপজেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় । প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় । বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে আরম্ভ হয় । উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং অফিস স্টাফদের এসিআর দেন এবং প্রধান শিক্ষকদের এসিআর এ প্রতিস্বাক্ষর করেন । অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে একটি উপজেলা/থানার প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় সকল কার্যক্রমই উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সকল কাজের জন্য উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার দায়বদ্ধ থাকেন ।
January 15, 2017
January 14, 2017
মৃত্যুর ২০ বছরের পুরোনো রহস্যভেদে আবার তদন্ত শুরু
বাংলা সিনেমার একসময়কার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছিল—২০ বছরেও পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি এ প্রশ্নের। চার দফা তদন্ত এ প্রশ্নের সর্বজনগ্রাহ্য উত্তর দিতে পারেনি। অবশেষে আবার শুরু হয়েছে তদন্ত। এবার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশের নবগঠিত একটি সংস্থাকে, যার নাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নতুন তদন্তকারীরা নেমেছেন টুকরো টুকরো আলামত, ইশারা মিলিয়ে ২০ বছর আগের মৃত্যুমুহূর্তটি পুনর্নির্মাণের কাজে। তাঁরা স্বীকার করছেন, অত্যন্ত কঠিন হবে এ কাজ। কেননা গত ২০ বছরে অনেক আলামতই আর অবিকৃত নেই। অনেককেই আর সাক্ষ্যের জন্য পাওয়া যাবে না।
সিনেমার জগতে সালমান শাহ নামে পরিচিত হলেও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেতার পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র্যাব একে একে মামলাটির তদন্ত করে। মাঝখানে ১৫ বছর ধরে চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনেই এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর পরিবারের আপত্তির (নারাজি) মুখে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে।
পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগরের বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। এর মধ্যেই তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। অন্যান্য কাজও শুরু হয়ে গেছে।
নায়কের লাশ ও অপমৃত্যু মামলা
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন
গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। বাংলা
সিনেমায় তাঁর জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি তখন মধ্যগগনে। স্ত্রী সামিরা হক পুলিশকে
জানান, সকালবেলা ড্রেসিংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমানের
দেহ তাঁরা শনাক্ত করে দেহটি নামিয়ে আনেন।
সালমান শাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা
তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায়
অপমৃত্যুর মামলা করেন। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা।
অপমৃত্যুর ওই মামলায় বলা হয়েছে, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে নয়টার
দিকে গ্রীনরোডের নিজ বাসা থেকে ইস্কাটনে সালমানের ভাড়া বাসায় ছেলের সঙ্গে
দেখা করতে আসেন কমর উদ্দিন। সালমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল ও তাঁর স্ত্রী
সামিরা তাঁদের বলেন, ‘সালমান রাত জেগে কাজ করেছে। এখন তাঁকে ঘুম থেকে ডাকা
যাবে না।’ তিনি প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাসায় ফিরে আসেন। বেলা সাড়ে
১১টার দিকে সেলিম নামের একজন ফোন করে জানান, সালমানের কী যেন হয়েছে।
সালমানের বাবা, মা ও ভাই ওই ফ্ল্যাটে ছুটে যান। গিয়ে শয়নকক্ষে সালমানের
নিথর দেহ দেখতে পান তাঁরা।
সালমানের মা নীলা চৌধুরী প্রথম আলোকে
বলেন, সালমানের মৃত্যুর দিনই অনেকটা পরিবারের অজান্তে সালমানের বাবা কমর
উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষর নিয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ।
সেই মামলার তদন্ত চলছিল। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে রিজভি আহমেদ নামের একজন অন্য
এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, সালমান শাহকে
হত্যা করে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়েছে এবং তিনি (রিজভি) নিজেও সেই
হত্যায় জড়িত ছিলেন। সালমানের বাবা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে নালিশি
হত্যা মামলা করেন। আদালত দুটি অভিযোগ একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তে গাফিলতি ছিল?
তদন্ত প্রতিবেদনগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের সঙ্গে
নিবিড়ভাবে যুক্ত এমন কয়েকজন যেমন, সালমানের বাসার গৃহকর্মী মনোয়ারা ও ডলি,
সালমানের সহকারী আবুল হোসেন খান, সালমানের ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী আবদুল
খালেক, ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক নূরউদ্দিন জাহাঙ্গীর, লিফটম্যান আবদুস সালাম
এবং সালমানের ফ্ল্যাটের আশপাশের বাসিন্দাদের কারও জবানবন্দি রেকর্ড করা
হয়নি।
সালমানের মা নীলা চৌধুরীর অভিযোগ, সেলিম নামে যে ব্যক্তি
সালমানের মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানাল, তারই জবানবন্দি নেওয়া হয়নি কোনো
তদন্তে। মরদেহ সিলিং ফ্যান থেকে নামানোর প্রত্যক্ষদর্শী কারও জবানবন্দি
নেওয়া হয়নি। আর ১৫ বছর ধরে চলা বিচার বিভাগীয় তদন্তে কেবল সালমান পরিবারের
চার সদস্যের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ভালো করে তদন্ত না করেই প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ‘সালমানের মৃত্যু আত্মহত্যাজনিত’। কিন্তু কী কারণে সালমান
আত্মহত্যা করেন তার ব্যাখ্যা নেই কোনো তদন্ত প্রতিবেদনে।
মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন র্যাবের এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্প্রতি প্রথম আলোকে
বলেন, ‘তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের কিছু সাধারণ গাফিলতি থাকতে পারে।
কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও অন্য সব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটা
স্পষ্ট যে সালমান আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবার বিষয়টি মেনে
নিচ্ছে না।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান খান প্রথম আলোকে
বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছিল কি না
তা আমার মনে নেই। তদন্ত একটা চলমান প্রক্রিয়া। পুনরায় তদন্তে দোষের কিছু
দেখি না।
মৃত্যু আসলে কখন হয়েছে?
মা নীলা চৌধুরী বলেন, কমরউদ্দিন ঘটনার দিন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁকে দেখা করতে না দেওয়া অত্যন্ত সন্দেহজনক।
এ নিয়ে সম্প্রতি কথা হয় চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল খন্দকারের সঙ্গে, যিনি ওই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন। বাদল খন্দকার প্রথম আলোকে
বলেন, ছবির কাজের শিডিউল নিতে তিনি সকালে সেখানে গেলে বাসার নিচে
দারোয়ানেরা তখন বলাবলি করছিল, সালমান রাতেই ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। এরপর
সালমানের বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, ড্রেসিংরুমে সালমানের মরদেহ পড়ে আছে।
সালমানের বাবা-মাকে এ খবর দেওয়া হয়নি জানতে পেরে তিনি সেলিম নামের
চলচ্চিত্রের একজন প্রডাকশন ম্যানেজারকে সালমানের বাসায় খবর দিতে বলেন।
প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় সালমানের
তখনকার সহকারী আবুল হোসেন খানের সঙ্গে। ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জে থাকেন আবুল।
তিনি বলেন, ওই দিন শুক্রবার বেলা ১১টায় ঘুম থেকে উঠে পানি ও চা পান করে
ড্রেসিংরুমে ঢোকেন সালমান। পরে সালমান জুমার নামাজ পড়তে যাবেন কি না তা
জানার জন্য ওই রুমের দরজায় টোকা দিয়ে আবুল হোসেন বুঝতে পারেন, দরজা ভেতর
থেকে বন্ধ। পরে সালমানের স্ত্রী সামিরা চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখতে পান,
সালমানের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। রশি কেটে তাঁর দেহ নামানো হয়।
সালমানের বাসার লিফটম্যান আবদুস সালামের সঙ্গেও ওই বাসার নিচে কথা হয়। সালাম প্রথম আলোকে
বলেন, ‘ইস্কাটন প্লাজার এই বাসায় ২৯ বছর ধরে কাজ করছি। ঘটনার দিন সকালে
শুনতে পারি, সালমান ভাই আত্মহত্যা করেছেন। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
সুইসাইড নোটের লেখক কে?
সালমানের বাসা থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট বা আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার করে।
চিঠিতে লেখা আছে, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পিতা-কমর
উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ১৪৬/৫, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই
মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন মৃত্যু হলে তার জন্য
কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা
করছি।’
এই চিঠিতে কারও স্বাক্ষর ছিল না। তবে সিআইডির হস্তবিশারদেরা পরীক্ষা করে বলেছেন, এটা সালমান শাহের হাতের লেখা।
কিন্তু সালমানের মা নীলা চৌধুরী এই চিঠি নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রথম আলোকে
তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে ইমন নামেই ডাকতাম। অথচ চিঠিতে ইমন নামের কোনো
অস্তিত্ব নেই। ও থাকে ইস্কাটনের বাসায়। কিন্তু ঠিকানা লেখা আছে আমাদের
বাসার। সালমান শাহ নামটিও ঠিকানার পরে লেখা।’
চিঠির ভাষার আনুষ্ঠানিক ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নীলা
চৌধুরী আরও বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে এ রকম মামলা লেখার
স্টাইলে এত গুছিয়ে বাবার নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে চিঠি লেখে বলে আমার জানা
নেই। এখানেই আমার ঘোরতর সন্দেহ।’
চেতনানাশক এল কোথা থেকে?
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সালমানের ফ্ল্যাট থেকে দুটি ছোট
বোতলে (ভায়েল) ভরা তরল পাওয়া যায়। সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক মুহাম্মদ
আবদুল বাকী মিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বর্ণহীন তরলে ‘লিগনোকেইন
হাইড্রোক্লোরাইড’ পাওয়া গেছে, চিকিৎসকেরা যেটি লোকাল অ্যানেসথেসিয়ার
(স্থানীয় চেতনানাশক) কাজে ব্যবহার করেন।
সালমানের মৃত্যুর বিষয়ে তিনটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে কোনোটিতেই এই রাসায়নিকের ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
এ বিষয়ে সিআইডির তখনকার পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানুষ অজ্ঞান করার এই রাসায়নিক আলামত জব্দ করেছিল ডিবি পুলিশ। কে এটি সালমানের বাসায় নিয়ে আসে, তা বলতে পারব না।’
নীলা চৌধুরীর আইনজীবী মাহফুজ মিয়া ও ফারুক আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, সালমানের বাসায় চেতনানাশকের উপস্থিতির রহস্য বের করা গেলে সালমানের মৃত্যুর আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সালমানের স্ত্রী সামিরা
হককে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা শফিকুল হক হীরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালমান আত্মহত্যা করেছেন
এতে কোনো সন্দেহ নেই। ডিবি ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে এ সংক্রান্ত
প্রতিবেদনও দিয়েছে। সালমানের মৃত্যুর পর ওই বাসা ছিল সালমানের পরিবারের
দখলে। তারাই এই অ্যানেসথেসিয়ার শিশি ওই বাসায় রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।’
*১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যু হয়
*চার দফা তদন্তে বলা হয়, ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা
*মা–বাবার আপত্তির কারণে নতুন করে তদন্ত শুরু
সেই ফ্যান জব্দ হয়নি
সালমান ইস্কাটন প্লাজার ১১ তলার এ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়াটে
হিসেবে বসবাস করতেন। সরেজমিনে সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক
নূরজাহান বেগমকে পাওয়া যায়। যে রুমে সালমানের মৃত্যু হয়, সেই ড্রেসিংরুমে
তিনি নিয়ে যান এই প্রতিবেদককে। একটি সাদা রঙের সিলিং ফ্যান ঝোলানো অবস্থায়
দেখতে পাওয়া যায়।
নূরজাহান বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি, সালমান এই রুমে এমন একটি ফ্যানে ঝুলে মারা যান। সেই ফ্যান কার কাছে তা জানি না। আমি এসে ফ্যান পাইনি।’
হালকা সবুজ রঙের সেই ফ্যানটি এখনো সংরক্ষণ করে রেখেছেন
সালমানের মা নীলা চৌধুরী। তিনি বলেন, সালমানের বাবা বারবার অনুরোধ করলেও
কোনো তদন্ত সংস্থাই ফ্যানটি জব্দ করেনি।
সালমানের ড্রেসিংরুমের তালা ও চাবিও জব্দ করেনি পুলিশ। বাসার মালিক নূরজাহান বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেই তালা ও চাবি কোথায় তা আমার জানা নেই।’
তদন্তে নাটকীয় মোড়
সালমান শাহর মৃত্যুর ১০ মাস পর তদন্ত এক নাটকীয় মোড় নেয়।
সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই রিজভি আহমেদ
নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট
থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিজভি আহমেদ আদালতে
দেওয়া জবানবন্দিতে দাবি করে বসেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এই
হত্যার পেছনে আছেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তাঁর শাশুড়ি লতিফা হক,
চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন ও
চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এঁদের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে তিনি
(রিজভি) নিজেও ভাড়াটে খুনি হিসেবে যুক্ত হন।
তদন্ত শেষে পুলিশ বলেছে, এই জবানবন্দিটি মিথ্যা, বাদীপক্ষের সাজানো।
পলাতক আসামি রিজভি লন্ডন থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে
বলেন, তাঁর জবানবন্দি পুরোটাই সাজিয়ে দিয়েছিলেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।
জবানবন্দিতে তিনি যাদের কথা বলেছিলেন, তাদের কাউকেই তিনি চেনেন না।
একটি আলোচিত মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এভাবে দীর্ঘায়িত হওয়া
এবং তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে
যদি প্রচুর অসংগতি থাকে এবং মৃত্যুর কারণ রহস্যাবৃত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে
রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করা। আর এটাও সত্য যে
সন্দেহাতীতভাবে যদি আত্মহত্যা প্রমাণিত হয় সে ক্ষেত্রে অধিকতর তদন্ত খুব
বেশি যৌক্তিক হবে না।
সূত্রঃ প্রথম আলো
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি
গড় আয়ু ও কর্মক্ষমতা বাড়ার যুক্তিতে সরকারি চাকরিতে অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দেশের শিক্ষিত বেকার তরুণদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। এ কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার ‘যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত’ বলে মনে করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. লোকমান হায়দার চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় ছয় বছর বয়সে শিক্ষাজীবনের শুরু হয়। স্নাতক শেষ করতে ২৩ বছর লাগে। এ ছাড়া নন-পিএসসির ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদন শুরুর বয়স রাখা হয়েছে ১৮ বছর, যা একটি অকার্যকর আইন। ক্যাডারের ক্ষেত্রে ২১ বছর বয়সে আবেদনের আইনটিও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এ কারণে চাকরিতে আবেদনের আইনটি সংশোধন করলে বর্তমানে স্নাতক শেষে চাকরিতে আবেদনের বয়স স্বাভাবিকভাবেই তা ৩৫ বছর হয়।
মো. লোকমান হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর আগে সংবাদ সম্মেলন করেও আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, তাঁকে আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবির সপক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারব। যদি বোঝাতে না পারি, তাহলে আমাদের আন্দোলন থেকে সরে আসব।’
সমাবেশে বলা হয়, ‘দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, আয়ু বেড়ে ৫০ হলে ৩০ বছর করা হয়। এখন আয়ু বেড়ে ৭১ হওয়ার পরও চাকরিতে প্রবেশের বয়স কোনোভাবেই ৩০ বছর থাকতে পারে না। এ বয়স অন্তত ৩৫ হওয়া উচিত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে বয়সের সীমা ৪০ বছর। অন্য প্রদেশগুলোতেও ৩৮ থেকে ৪০ বছর। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান ৩৫ থেকে ৪৫ বছর। এ ছাড়া ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে কোথাও কোথাও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বা তার ওপরে। দেশের দক্ষ ও মেধাবীরা যেকোনো বয়সে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জনশক্তিতে পরিণত হওয়ার পথে বাধা।’
এ ছাড়া সরকারি চাকরি না করে কেউ যদি উদ্যোক্তা হতে চান, সে সুবিধাও এ দেশে নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই লোন সব তরুণ পান না। যাঁরা এ ঋণের আবেদন করেন, তাঁদের অনেক ঝামেলার মুখে পড়তে হয়।
মানববন্ধন সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এখানে বলা হয়, ২৮ জানুয়ারিতেও একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করবে এ সংগঠন। এ মানববন্ধনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
Subscribe to:
Posts (Atom)