একটা
প্রবাদ আছে " যে দেশে গুণীর সমাদর নেই সে দেশে গুনীর জন্ম হয় না"। আমাদের ১
লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গমাইল দেশে জন সংখ্যা ১৬ কোটির ওপরে । আমাদের এই দেশে যে
পরিমান গ্রাজুয়েট শিক্ষিত জনগোষ্ঠি আছে, ইউরোপের ১০টা দেশ মিলিয়েও সেই জন
সংখ্যার সমান না। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের গর্ব করার মতো তেমন কোন
অবদান নেই । এতো বিশাল জনগোষ্ঠী, এতো শিক্ষিত জনবল!!! নোবেল পুরস্কার
নাই বললেই চলে । যেওবা আছে ( তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই বলছি) নিজে
অর্থনীতির মানুষ হয়ে শান্তিতে নোবেল । সেটাও মাঝে মাঝে শুনি কোন এক
জনগোষ্ঠী প্রতিবাদ করে, সেটা ফিরিয়ে নেয়া হোক ।
মাত্র ৬০ বছর আগে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ সিংগাপুর , যেটা ছিল এক সময়ে একটা জেলেদের দ্বীপ। দারিদ্র, ক্ষুধা, অশিক্ষা তথা চরম ভাবে বিপর্যস্থ একটি দেশ। কেবল মাত্র শিক্ষানীতির পরিবর্তন করে, আজ ৬০ বছর পরে, তারা চরম ভাবে উন্নয়নের শিখরে, আজ তাদের দেশের কেউ আমাদের দেশে চিকিৎসার জন্য আসে না বরং আমাদের প্রধান মন্ত্রী মাউন্ট এলিজাবেথে যান চিকিৎসার জন্য তাদের দেশে ।
আব্দুর রাজ্জাক যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার ছিলেন, আধুনিক সময়ে যদি বাংলাদেশের সক্রেটিস কাঊকে ঘোষনা দেয়া যায়, তার নাম আসবে সবার আগে, তিনি এপরিমান পড়াশুনা তথা জ্ঞান আহরণের কাজে ব্যাস্ত থেকেছেন যে তার প্রফেসার ডিগ্রিটা নেবার সময় হ নাই, তিনি কি পরিমান পন্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন তার একটা নমুনা " যদ্দ্যপি আমার গুরু" আহমেদ সফা আর তার আলাপ চারিতাই এই বইয়ে লিপি বদ্ধ্য আছে। আহমেদ সফা একেক টা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করছেন, এবং তিনি যে উত্তর দিচ্ছেন সেটা সে বিষয়ের একটা সেরা উক্তি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের অঙ্গনে তার কোন স্বীকৃতি নেই ।
এরকম হাজারো উদাহরন আছে, আমাদের এই দেশে । এবারে আসি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষায় । আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা ,বিদ্যালয়ে তাদের শ্রম, মেধা সময় সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছেন,বিদ্যালয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা আবার অনেকে আছেন যারা রাত অবধি কাজ করেন শিক্ষার্থীদের এবং বিদ্যালয়ের কাজের জন্য। এর জন্য তারা কি পান ? তারা কি আদৌও কোন স্বীকৃতি পান, স্থানীয় কতৃপক্ষের কাছে , আমাদের বগুড়ার এক জন শিক্ষিকা যিনি আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন , আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন তিনি জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে বা জাতীয় কখনও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন ?
আমাদের উর্ধত্বনরা অভিযোগ করেন ,তারা বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকদের স্কুলে পান না, এটাই কি সারা দেশের চিত্র। উত্তর আবশ্যই না, ব্যাতিক্রম যেমন উদাহরন হয়না, তেমনি সকল শিক্ষকও ফাকি বাজ না, দেশে এখনো হাজার হাজার শিক্ষক আছেন যারা বিদ্যালয়ের জন্য নিবেদিত প্রান ।
আমাদের স্বীকৃতি দিন আমরা আরো আনেক কিছু করে দেখবো, দেখবেন গোটা দেশের চিত্রই আমরা পাল্টেদেব ।
মাত্র ৬০ বছর আগে স্বাধীন হওয়া একটি দেশ সিংগাপুর , যেটা ছিল এক সময়ে একটা জেলেদের দ্বীপ। দারিদ্র, ক্ষুধা, অশিক্ষা তথা চরম ভাবে বিপর্যস্থ একটি দেশ। কেবল মাত্র শিক্ষানীতির পরিবর্তন করে, আজ ৬০ বছর পরে, তারা চরম ভাবে উন্নয়নের শিখরে, আজ তাদের দেশের কেউ আমাদের দেশে চিকিৎসার জন্য আসে না বরং আমাদের প্রধান মন্ত্রী মাউন্ট এলিজাবেথে যান চিকিৎসার জন্য তাদের দেশে ।
আব্দুর রাজ্জাক যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার ছিলেন, আধুনিক সময়ে যদি বাংলাদেশের সক্রেটিস কাঊকে ঘোষনা দেয়া যায়, তার নাম আসবে সবার আগে, তিনি এপরিমান পড়াশুনা তথা জ্ঞান আহরণের কাজে ব্যাস্ত থেকেছেন যে তার প্রফেসার ডিগ্রিটা নেবার সময় হ নাই, তিনি কি পরিমান পন্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন তার একটা নমুনা " যদ্দ্যপি আমার গুরু" আহমেদ সফা আর তার আলাপ চারিতাই এই বইয়ে লিপি বদ্ধ্য আছে। আহমেদ সফা একেক টা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করছেন, এবং তিনি যে উত্তর দিচ্ছেন সেটা সে বিষয়ের একটা সেরা উক্তি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের অঙ্গনে তার কোন স্বীকৃতি নেই ।
এরকম হাজারো উদাহরন আছে, আমাদের এই দেশে । এবারে আসি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষায় । আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা ,বিদ্যালয়ে তাদের শ্রম, মেধা সময় সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছেন,বিদ্যালয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা আবার অনেকে আছেন যারা রাত অবধি কাজ করেন শিক্ষার্থীদের এবং বিদ্যালয়ের কাজের জন্য। এর জন্য তারা কি পান ? তারা কি আদৌও কোন স্বীকৃতি পান, স্থানীয় কতৃপক্ষের কাছে , আমাদের বগুড়ার এক জন শিক্ষিকা যিনি আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন , আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন তিনি জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে বা জাতীয় কখনও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন ?
আমাদের উর্ধত্বনরা অভিযোগ করেন ,তারা বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকদের স্কুলে পান না, এটাই কি সারা দেশের চিত্র। উত্তর আবশ্যই না, ব্যাতিক্রম যেমন উদাহরন হয়না, তেমনি সকল শিক্ষকও ফাকি বাজ না, দেশে এখনো হাজার হাজার শিক্ষক আছেন যারা বিদ্যালয়ের জন্য নিবেদিত প্রান ।
আমাদের স্বীকৃতি দিন আমরা আরো আনেক কিছু করে দেখবো, দেখবেন গোটা দেশের চিত্রই আমরা পাল্টেদেব ।
No comments:
Post a Comment