এই বছর
শীতের এই সময়কার কথা। এক আত্মীয়ার সাথে কথা হচ্ছিলো, তার ছেলের ভর্তি
পরীক্ষা নিয়ে। কথায় কথায় জানলাম তার ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় এক থেকে পঞ্চাশ
পর্যন্ত বানান ঠিকভাবে লিখতে পারে নি। কিছুটা অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ”
ছেলে কিসে পড়ে?” উত্তর ছিলো, “ক্লাস ফাইভে!” “ক্লাশ ফাইভে পড়ে ছেলে এক
থেকে পঞ্চাশ বানান লিখতে পারে না!!!!!” উনি বেশ গর্ব করেই বললেন,”ছোটকাল
থেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছে তো, তাই।” এক বাঙালী মায়ের তার সন্তানের
ভালোভাবে বাংলা না জানার গর্ববোধ দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলাম সেদিন।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয় যখন বাবা মায়ের কাছে সন্তানদের স্কুল হিসেবে বাড়ির পাশের স্কুলটিই ছিলো সবচেয়ে বিবেচ্য। কিন্তু পরবর্তীতে বাবা মায়ের অধিক সচেতনতার কারণে শহরের সবচেয়ে নামী স্কুলটাই হয়ে ওঠে সবার গন্তব্য। তা সেখানে ভালো পড়া হোক, বা না হোক।প্রয়োজনে এক বছর পিছিয়ে পড়ে হলেও সেখানে ভর্তি হওয়া চাইই চাই!!!!!
আজকাল খুব আধুনিকতার চল হিসেবে চালু হয়েছে ইংলিশ মিডিয়ামের হিড়িক। পৃথিবীর আর কোথাও এতো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের দেশে এক কিলোমিটারের ব্যবধানেই ক্ষেত্রবিশেষে ৩টি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পাওয়া যাবে!!!
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানোটা অনেকের কাছে আভিজাত্যের বিষয়ও বটে। নিজের সন্তানকে কয়েকশ টাকা বেতনের বাংলা মিডিয়ামে পড়াবো?? কখনই না। টাকা বেশি দিয়ে হলেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াবো!! অনেকটা কাঁচা বাজার থেকে সবজি না কিনে সুপারশপ থেকে সবজি কিনার মতো!!! ভাব এমন যে, ” দেখো আমার কতো সামর্থ্য! আমি কত খরচ করতে পারি!!” হায়রে!! ইংরেজ চলে গেছে, ইংলিশ রেখে গেছে!!
কিছু কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে তো বাংলা বলাই নিষিদ্ধ। ছাত্র- শিক্ষক সবাই ইংরেজিতে কথা বলে। এমনকি স্কুলের আয়াও ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করে। এ যেন বাংলাকে ঝেটিয়ে বিদায় করা!! বাসায় টিউটর রাখা হয়, সেও ইংরেজিতে কথা বলে। এমনকি ছেলে মেয়েকে আরো উন্নত করার জন্য বাবা মাও ছেলেমেয়েদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলে। হায়রে আমার বাংলা ভাষা!! যতই চাও, তোমাকে ঐ ছাত্রের (যে ইংরেজ হওয়ার চেষ্টায় রত!) কানের ছিদ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কোনোভাবেই না!!
চার বছরের একটা বাচ্ছাকে যখন বলা হয় একটা কবিতা বলো, “টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটল স্টার” অথবা “বা বা ব্ল্যাক শিপ” এতো কষ্ট করে ওরা বলে, তাদের মুখভঙ্গি দেখলেই তখন মায়া লাগে। আর যখন তারা “হাট্টিমা টিম টিম” অথবা ” মনারে মনা কোথায় যাস” বলতে শুরু করে, দুটো লাইনও শেষ হয় না, তার আগেই হাসিতে লুটোপুটি। কত সহজে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে তারা বলতে থাকে এই ছড়া গুলো, দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তাহলে কেন শুধু শুধু কষ্ট করে ইংরেজি রাইমস গুলোর পিছনে ছুটা। আমাদের সুকুমার বা কাজী নজরুলের ছড়া বা কবিতার চেয়ে কি ওগুলো বেশি সুন্দর??
জানি, ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। বহির্বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। কিন্তু একটা পাঁচ বছরে বাচ্ছার জন্য কি ইংরেজি জানাটা খুব বেশি প্রয়োজন?? এতটুকু একটা বাচ্চা, যে জন্মের পর থেকেই বাংলা শুনে এসেছে, তার বোধবুদ্ধি হওয়ার আগেই ইংরেজি ভাষার কচকচানি জানানোটা কি বেশি দরকার?? কি হয় এই জানাশোনার বিষয়টা তার পনের বছর বয়স থেকে হলে!! তখন সে আরো ভালোভাবে শিখতে পারবে।
অনেকেই যুক্তি দেন, ভবিষ্যতে আমেরিকা বা কানাডায় চলে যাবেন, তাই আগে থেকে ইংরেজি শিখাচ্ছি! এর থেকে অদ্ভুত যুক্তি আর হয় না। ভবিষ্যৎ-এ জাপান অথবা কোরিয়া যাবেন বলে কি, বাচ্ছার পাঁচ বছর বয়স থেকে জাপানিজ বা কোরিয়ান ভাষা শিখাবেন? বাইরের দেশে চলে যাবে বলে কি সব কিছুই সে দেশের হতে হবে। নিজ দেশের কিছুই কি শরীরে থাকবে না?? আর মানুষ অত্যন্ত সামাজিক জীব। নিজ পরিবেশ ও অবস্থা বুঝে মানুষ নিজেই সবকিছু আয়ত্ত করে নেয়, ছোটকাল থেকেই হাত পা বেধে ট্রেনিং দেওয়ার দরকার আছে বলে তো মনে হয় না।
আমি ইংরেজি বিরোধী নই। শুধু বলছি, জীবনের প্রথম শিক্ষাটা বাংলাতেই শুরু হোক।
আগে বাচ্ছারা তার নিজের সংস্কৃতি ধারন করুক, তারপর নিজ প্রয়োজন বা আগ্রহের খাতিরে অন্য দেশের সংস্কৃতি। যে ভাষার জন্য এতো আত্মত্যাগ, যে ভাষা নিয়ে আমাদের এতো গর্ব, এতো অহংকার, কেন সেই মাতৃভাষাতেই তার শিক্ষার ভিত্তিটা গড়ে উঠবে না?? যে বাচ্ছার জীবনের শুরুর শিক্ষাটাই গড়ে উঠছে অন্য ভাষাতে, ভবিষ্যতে সে নিজের দেশের সংস্কৃতি কিভাবে ধারণ করবে?? মানুষের জীবন ধারণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ছোটবেলা থেকেই এই ধারাবাহিতা শুরু হয়। ভিত্তিই যদি ভিন্ন হয়, তবে নিশ্চিত ভাবে পরবর্তী অংশগুলোও ভিন্ন হবে!!!
আজ আমরা যুবক। কোনোদিন আমরাই বাবা মা হবো। দেশের পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষক হবো আমরা। এটা কি তবে আমাদের দায়িত্ব নয় যে আমরা তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের শিক্ষা দেই?? যা তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে।
তাই নিজের সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করার আগে একটু ভাবুন। কি লাভটা হবে আপনার সন্তান যদি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে?? যে বাংলা ছন্দের স্বাদ আপনি আপনার ছোটবেলায় পেয়েছেন, কেন আপনার সন্তানকে তা থেকে বঞ্চিত করবেন?? কেন আপনার সন্তান কাঠবিড়ালি বা বাবুই বা চড়ুই পাখির ছড়াগুলো জানবে না?? এতটুকু বাচ্ছা এতো ইংরেজি জেনে কি দেশ উদ্ধার করবে?? পনের বিশটা পাঠ্যবইয়ের ভীড়ে সে কেন তার শৈশবকে হারাবে?? বাচ্চাদের খিলখিল হাসির বিপরীতে কেন অনেক কঠিন পড়ার ভারে নত হওয়া মুখগুলো ফুটে উঠবে??
ঐ শিশুগুলো বুঝে না, কিন্তু আমরা তো বুঝি। একদিন সে যখন বুঝতে শুরু করবে আর আপনাকে প্রশ্ন করবে, কি অপরাধ ছিলো তার যে তাকে এতো ছোট বেলাতেই এতো কঠিন পড়াগুলো পড়তে হলো?? তার শৈশব স্মৃতি শুধু স্কুল, রাইমস, টিউটর আর বাসার চারটা দেয়াল ছাড়া আর কিছু নয় কেন?? আমাদের বাচ্ছারা এখন আর বাবুই, দোয়েল চিনে না। কেউ কেউ হয়তো এই নামগুলোও শুনে নি!!! কারণ আমরাই সে পথ বন্ধ করে রেখেছি।
আসুন আমাদের সন্তানকে আমরা ম্যাগপাই না বরং দোয়েল চিনাই; ট্রি না, সে গাছ বলতে শিখুক; সে জানুক আমাদের বাংলা ভাষার চেয়ে আর মধুর কোনো ভাষা নেই। সবার সামনে সে বলতে শিখুক, আমি বাঙালি আর এটাই আমার বংশপরিচয়
খুব বেশিদিন আগের কথা নয় যখন বাবা মায়ের কাছে সন্তানদের স্কুল হিসেবে বাড়ির পাশের স্কুলটিই ছিলো সবচেয়ে বিবেচ্য। কিন্তু পরবর্তীতে বাবা মায়ের অধিক সচেতনতার কারণে শহরের সবচেয়ে নামী স্কুলটাই হয়ে ওঠে সবার গন্তব্য। তা সেখানে ভালো পড়া হোক, বা না হোক।প্রয়োজনে এক বছর পিছিয়ে পড়ে হলেও সেখানে ভর্তি হওয়া চাইই চাই!!!!!
আজকাল খুব আধুনিকতার চল হিসেবে চালু হয়েছে ইংলিশ মিডিয়ামের হিড়িক। পৃথিবীর আর কোথাও এতো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের দেশে এক কিলোমিটারের ব্যবধানেই ক্ষেত্রবিশেষে ৩টি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পাওয়া যাবে!!!
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানোটা অনেকের কাছে আভিজাত্যের বিষয়ও বটে। নিজের সন্তানকে কয়েকশ টাকা বেতনের বাংলা মিডিয়ামে পড়াবো?? কখনই না। টাকা বেশি দিয়ে হলেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াবো!! অনেকটা কাঁচা বাজার থেকে সবজি না কিনে সুপারশপ থেকে সবজি কিনার মতো!!! ভাব এমন যে, ” দেখো আমার কতো সামর্থ্য! আমি কত খরচ করতে পারি!!” হায়রে!! ইংরেজ চলে গেছে, ইংলিশ রেখে গেছে!!
কিছু কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে তো বাংলা বলাই নিষিদ্ধ। ছাত্র- শিক্ষক সবাই ইংরেজিতে কথা বলে। এমনকি স্কুলের আয়াও ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করে। এ যেন বাংলাকে ঝেটিয়ে বিদায় করা!! বাসায় টিউটর রাখা হয়, সেও ইংরেজিতে কথা বলে। এমনকি ছেলে মেয়েকে আরো উন্নত করার জন্য বাবা মাও ছেলেমেয়েদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলে। হায়রে আমার বাংলা ভাষা!! যতই চাও, তোমাকে ঐ ছাত্রের (যে ইংরেজ হওয়ার চেষ্টায় রত!) কানের ছিদ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কোনোভাবেই না!!
চার বছরের একটা বাচ্ছাকে যখন বলা হয় একটা কবিতা বলো, “টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটল স্টার” অথবা “বা বা ব্ল্যাক শিপ” এতো কষ্ট করে ওরা বলে, তাদের মুখভঙ্গি দেখলেই তখন মায়া লাগে। আর যখন তারা “হাট্টিমা টিম টিম” অথবা ” মনারে মনা কোথায় যাস” বলতে শুরু করে, দুটো লাইনও শেষ হয় না, তার আগেই হাসিতে লুটোপুটি। কত সহজে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে তারা বলতে থাকে এই ছড়া গুলো, দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তাহলে কেন শুধু শুধু কষ্ট করে ইংরেজি রাইমস গুলোর পিছনে ছুটা। আমাদের সুকুমার বা কাজী নজরুলের ছড়া বা কবিতার চেয়ে কি ওগুলো বেশি সুন্দর??
জানি, ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। বহির্বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। কিন্তু একটা পাঁচ বছরে বাচ্ছার জন্য কি ইংরেজি জানাটা খুব বেশি প্রয়োজন?? এতটুকু একটা বাচ্চা, যে জন্মের পর থেকেই বাংলা শুনে এসেছে, তার বোধবুদ্ধি হওয়ার আগেই ইংরেজি ভাষার কচকচানি জানানোটা কি বেশি দরকার?? কি হয় এই জানাশোনার বিষয়টা তার পনের বছর বয়স থেকে হলে!! তখন সে আরো ভালোভাবে শিখতে পারবে।
অনেকেই যুক্তি দেন, ভবিষ্যতে আমেরিকা বা কানাডায় চলে যাবেন, তাই আগে থেকে ইংরেজি শিখাচ্ছি! এর থেকে অদ্ভুত যুক্তি আর হয় না। ভবিষ্যৎ-এ জাপান অথবা কোরিয়া যাবেন বলে কি, বাচ্ছার পাঁচ বছর বয়স থেকে জাপানিজ বা কোরিয়ান ভাষা শিখাবেন? বাইরের দেশে চলে যাবে বলে কি সব কিছুই সে দেশের হতে হবে। নিজ দেশের কিছুই কি শরীরে থাকবে না?? আর মানুষ অত্যন্ত সামাজিক জীব। নিজ পরিবেশ ও অবস্থা বুঝে মানুষ নিজেই সবকিছু আয়ত্ত করে নেয়, ছোটকাল থেকেই হাত পা বেধে ট্রেনিং দেওয়ার দরকার আছে বলে তো মনে হয় না।
আমি ইংরেজি বিরোধী নই। শুধু বলছি, জীবনের প্রথম শিক্ষাটা বাংলাতেই শুরু হোক।
আগে বাচ্ছারা তার নিজের সংস্কৃতি ধারন করুক, তারপর নিজ প্রয়োজন বা আগ্রহের খাতিরে অন্য দেশের সংস্কৃতি। যে ভাষার জন্য এতো আত্মত্যাগ, যে ভাষা নিয়ে আমাদের এতো গর্ব, এতো অহংকার, কেন সেই মাতৃভাষাতেই তার শিক্ষার ভিত্তিটা গড়ে উঠবে না?? যে বাচ্ছার জীবনের শুরুর শিক্ষাটাই গড়ে উঠছে অন্য ভাষাতে, ভবিষ্যতে সে নিজের দেশের সংস্কৃতি কিভাবে ধারণ করবে?? মানুষের জীবন ধারণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ছোটবেলা থেকেই এই ধারাবাহিতা শুরু হয়। ভিত্তিই যদি ভিন্ন হয়, তবে নিশ্চিত ভাবে পরবর্তী অংশগুলোও ভিন্ন হবে!!!
আজ আমরা যুবক। কোনোদিন আমরাই বাবা মা হবো। দেশের পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষক হবো আমরা। এটা কি তবে আমাদের দায়িত্ব নয় যে আমরা তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের শিক্ষা দেই?? যা তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে।
তাই নিজের সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করার আগে একটু ভাবুন। কি লাভটা হবে আপনার সন্তান যদি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে?? যে বাংলা ছন্দের স্বাদ আপনি আপনার ছোটবেলায় পেয়েছেন, কেন আপনার সন্তানকে তা থেকে বঞ্চিত করবেন?? কেন আপনার সন্তান কাঠবিড়ালি বা বাবুই বা চড়ুই পাখির ছড়াগুলো জানবে না?? এতটুকু বাচ্ছা এতো ইংরেজি জেনে কি দেশ উদ্ধার করবে?? পনের বিশটা পাঠ্যবইয়ের ভীড়ে সে কেন তার শৈশবকে হারাবে?? বাচ্চাদের খিলখিল হাসির বিপরীতে কেন অনেক কঠিন পড়ার ভারে নত হওয়া মুখগুলো ফুটে উঠবে??
ঐ শিশুগুলো বুঝে না, কিন্তু আমরা তো বুঝি। একদিন সে যখন বুঝতে শুরু করবে আর আপনাকে প্রশ্ন করবে, কি অপরাধ ছিলো তার যে তাকে এতো ছোট বেলাতেই এতো কঠিন পড়াগুলো পড়তে হলো?? তার শৈশব স্মৃতি শুধু স্কুল, রাইমস, টিউটর আর বাসার চারটা দেয়াল ছাড়া আর কিছু নয় কেন?? আমাদের বাচ্ছারা এখন আর বাবুই, দোয়েল চিনে না। কেউ কেউ হয়তো এই নামগুলোও শুনে নি!!! কারণ আমরাই সে পথ বন্ধ করে রেখেছি।
আসুন আমাদের সন্তানকে আমরা ম্যাগপাই না বরং দোয়েল চিনাই; ট্রি না, সে গাছ বলতে শিখুক; সে জানুক আমাদের বাংলা ভাষার চেয়ে আর মধুর কোনো ভাষা নেই। সবার সামনে সে বলতে শিখুক, আমি বাঙালি আর এটাই আমার বংশপরিচয়
No comments:
Post a Comment