জ্যৈষ্ঠতা নির্ধারণের সাধারণ নীতিমালা
১) জ্যেষ্ঠতার শর্তাবলি:
সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে চাকুরীর বিভিন্ন শর্তাবলী সমূহের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর জন্য জ্যেষ্ঠতা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকগুলি বিষয় সম্বন্ধেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠতা বিবেচিত হয়ে থাকে। বিষয়গুলি হল:
(ক) পদোন্নতি।
(খ) উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান।
(গ) দেশে/বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান।
(ঘ) গুরুত্বপূর্ণ পদে/স্থানে নিয়োগ ইত্যাদি।
যদি কোন কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা কোনক্রমে বাধাগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে তা তার চাকুরীর শর্তাবলীকে বিঘ্নিত (affect) করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৪০(২)(গ) ধারা মোতাবেক যে সকল ক্ষেত্রে চাকুরীর শর্তাবলী বিঘ্নিত হয় সে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রুলস অব বিজনেস ১৯৭৫ এর বিধি ৯(ভি) তে উল্লেখ আছে, যে কোন সরকারি কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে সে বিষয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
২) জ্যৈষ্ঠতা নির্ধারণের সাধারণ নীতিমালা:
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ১/১৬/৬৯/ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০ খৃ: এর মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারী করা হয়। সকল শ্রেণির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই নীতিমালা কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ ক্রমে প্রণয়ন করা হয়। উল্লেখিত এই স্মারকটিতে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা প্রয়োগ সম্পর্কে নিম্নরূপ বক্তব্য রয়েছে:
(ক) ১ম. ২য় ও ৩য় শ্রেণির সকল পদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার প্রযোজ্যতা থাকিবে। তবে কোন নির্দিষ্ট ক্যাডার বা চাকুরীর জন্য যদি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন জ্যেষ্ঠতার বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত ক্যাডার বা চাকুরীর জ্যেষ্ঠতা উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা দ্বারা নির্ধারিত হবে।
(খ) কোন বিশেষ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের/ বিভাগের। তবে সাধারণ বা সুর্নিদিষ্ট নীতিমালার আওতায় জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, এমন সন্দেহজনক কেইস সিদ্ধান্তের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
[টীকা:
(১) জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারীর সময় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতি প্রদানের কোন বিধান ছিল না। যার কারণে এখানে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ হয় নি। কিন্তু সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ইডি/রেড-১/এস-২৫/৮০-৯৭(২৫০) তারিখ: ২৪/১২/১৯৮০খৃ: এর মর্মানুসারে বিভিন্ন নিয়োগ বিধিতে ৪র্থ শ্রেণির পদ হতে ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতির বিধান সন্নিবেশিত করার কারণে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই নীতিমালার প্রয়োগে কোন বাধা নাই।
(২) নির্দিষ্ট কোন চাকুরী বা পদের জন্য জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত পৃথক কোন বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা থাকলে তাই প্রযোজ্য হবে। অবশ্য ঐ বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনায় উল্লেখিত নাই, এমন বিষয়ে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করতে হবে।
বিশ্লেষণ:
জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের জন্য সরকার স্মারক নম্বর ১/১৬/৬৯ ডি-২, তাং ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭০-এর মাধ্যমে সাধারণ নীতিমালা জারী করে। সরকার যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে বিশেষ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; সে সমস্ত ক্ষেত্র ব্যতীত সকল শ্রেণির (যথা-১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী) সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য জ্যেষ্ঠতার এই সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সম্ভবপর নয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
(১) যে সমস্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের পূর্বেকার উন্মুক্ত (Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত (Recruited) তারা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তুলনায় জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন।
(২) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে উন্মুক্ত(Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চাকুরীর জন্য সুপারিশকৃত হন, সেক্ষেত্রে তাঁদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের গৃহীত পরীক্ষার মেরিট তালিকার ভিত্তিতে স্থিরকৃত হবে।
(৩) উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন যদি কেবলমাত্র একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করেন তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ বা পদে যোগদানের তারিখ যাই পরে ঘটে সে তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। যদি কোন কর্মকর্তা পূর্ব হতে এডহক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরত থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। অপরপক্ষে তিনি যদি একই পদে পূর্ব হতে চাকুরীতে না থেকে থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশের পর সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর যোগদানের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে।
(৪) এক বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরী হতে উদ্বৃত্ত হয়ে অন্য একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরীতে আত্মীকৃত হলে পূর্ব পদের চাকুরীর সম্পূর্ণ সময় আত্মীকৃত পদের জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা হবে। তবে উদ্বৃত্ত ঘোষিত কোন কর্মচারী যে সংস্থা হতে উদ্বৃত্ত ঘোষিত হয়েছে, সে সংস্থা হতে অবসর গ্রহণ সুবিধাদি গ্রহণ করে থাকলে আত্মীকৃত পদে তার পূর্ব চাকুরী জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা যোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে আত্মীকৃত পদে আত্মীকরণের দিন হতে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।]
জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা সংক্রান্ত সংস্থাপন মন্ত্রণালয় স্মারক নং ১/১৬/৬৯ ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০ খ্রি:-এর সাথে সংযুক্ত পরিশিষ্ট নিম্নরূপ:(১) পূর্বের উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকতাগণ, পরবর্তী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের চেয়ে জ্যেষ্ঠতর হবেন।
(২) সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য/উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি দুই বা ততোধিক প্রার্থী সুপারিশকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের পারষ্পরিক জ্যেষ্ঠতা কর্ম কমিশন কর্তৃক স্থিরকৃত মেধা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
(৩) সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি একজন মাত্র প্রার্থীকে সুপারিশ করে; তাহলে সুপারিশের তারিখ অথবা তার পদে যোগদানের তারিখের মধ্যে যেটি পরে হবে সে তারিখ থেকে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।
(এ) যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে গণনা করা হবে।
(বি) যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশকৃত হয়ে তার পদে যোগদানের তারিখ হতে গণনা করা হবে
সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে চাকুরীর বিভিন্ন শর্তাবলী সমূহের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর জন্য জ্যেষ্ঠতা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকগুলি বিষয় সম্বন্ধেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠতা বিবেচিত হয়ে থাকে। বিষয়গুলি হল:
(ক) পদোন্নতি।
(খ) উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান।
(গ) দেশে/বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান।
(ঘ) গুরুত্বপূর্ণ পদে/স্থানে নিয়োগ ইত্যাদি।
যদি কোন কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা কোনক্রমে বাধাগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে তা তার চাকুরীর শর্তাবলীকে বিঘ্নিত (affect) করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৪০(২)(গ) ধারা মোতাবেক যে সকল ক্ষেত্রে চাকুরীর শর্তাবলী বিঘ্নিত হয় সে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রুলস অব বিজনেস ১৯৭৫ এর বিধি ৯(ভি) তে উল্লেখ আছে, যে কোন সরকারি কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে সে বিষয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
২) জ্যৈষ্ঠতা নির্ধারণের সাধারণ নীতিমালা:
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ১/১৬/৬৯/ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০ খৃ: এর মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারী করা হয়। সকল শ্রেণির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই নীতিমালা কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ ক্রমে প্রণয়ন করা হয়। উল্লেখিত এই স্মারকটিতে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা প্রয়োগ সম্পর্কে নিম্নরূপ বক্তব্য রয়েছে:
(ক) ১ম. ২য় ও ৩য় শ্রেণির সকল পদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার প্রযোজ্যতা থাকিবে। তবে কোন নির্দিষ্ট ক্যাডার বা চাকুরীর জন্য যদি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন জ্যেষ্ঠতার বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত ক্যাডার বা চাকুরীর জ্যেষ্ঠতা উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা দ্বারা নির্ধারিত হবে।
(খ) কোন বিশেষ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের/ বিভাগের। তবে সাধারণ বা সুর্নিদিষ্ট নীতিমালার আওতায় জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, এমন সন্দেহজনক কেইস সিদ্ধান্তের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
[টীকা:
(১) জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারীর সময় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতি প্রদানের কোন বিধান ছিল না। যার কারণে এখানে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ হয় নি। কিন্তু সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ইডি/রেড-১/এস-২৫/৮০-৯৭(২৫০) তারিখ: ২৪/১২/১৯৮০খৃ: এর মর্মানুসারে বিভিন্ন নিয়োগ বিধিতে ৪র্থ শ্রেণির পদ হতে ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতির বিধান সন্নিবেশিত করার কারণে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই নীতিমালার প্রয়োগে কোন বাধা নাই।
(২) নির্দিষ্ট কোন চাকুরী বা পদের জন্য জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত পৃথক কোন বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা থাকলে তাই প্রযোজ্য হবে। অবশ্য ঐ বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনায় উল্লেখিত নাই, এমন বিষয়ে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করতে হবে।
বিশ্লেষণ:
জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের জন্য সরকার স্মারক নম্বর ১/১৬/৬৯ ডি-২, তাং ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭০-এর মাধ্যমে সাধারণ নীতিমালা জারী করে। সরকার যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে বিশেষ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; সে সমস্ত ক্ষেত্র ব্যতীত সকল শ্রেণির (যথা-১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী) সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য জ্যেষ্ঠতার এই সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সম্ভবপর নয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
(১) যে সমস্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের পূর্বেকার উন্মুক্ত (Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত (Recruited) তারা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তুলনায় জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন।
(২) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে উন্মুক্ত(Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চাকুরীর জন্য সুপারিশকৃত হন, সেক্ষেত্রে তাঁদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের গৃহীত পরীক্ষার মেরিট তালিকার ভিত্তিতে স্থিরকৃত হবে।
(৩) উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন যদি কেবলমাত্র একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করেন তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ বা পদে যোগদানের তারিখ যাই পরে ঘটে সে তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। যদি কোন কর্মকর্তা পূর্ব হতে এডহক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরত থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। অপরপক্ষে তিনি যদি একই পদে পূর্ব হতে চাকুরীতে না থেকে থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশের পর সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর যোগদানের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে।
(৪) এক বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরী হতে উদ্বৃত্ত হয়ে অন্য একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরীতে আত্মীকৃত হলে পূর্ব পদের চাকুরীর সম্পূর্ণ সময় আত্মীকৃত পদের জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা হবে। তবে উদ্বৃত্ত ঘোষিত কোন কর্মচারী যে সংস্থা হতে উদ্বৃত্ত ঘোষিত হয়েছে, সে সংস্থা হতে অবসর গ্রহণ সুবিধাদি গ্রহণ করে থাকলে আত্মীকৃত পদে তার পূর্ব চাকুরী জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা যোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে আত্মীকৃত পদে আত্মীকরণের দিন হতে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।]
জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা সংক্রান্ত সংস্থাপন মন্ত্রণালয় স্মারক নং ১/১৬/৬৯ ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০ খ্রি:-এর সাথে সংযুক্ত পরিশিষ্ট নিম্নরূপ:(১) পূর্বের উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকতাগণ, পরবর্তী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের চেয়ে জ্যেষ্ঠতর হবেন।
(২) সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য/উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি দুই বা ততোধিক প্রার্থী সুপারিশকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের পারষ্পরিক জ্যেষ্ঠতা কর্ম কমিশন কর্তৃক স্থিরকৃত মেধা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
(৩) সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি একজন মাত্র প্রার্থীকে সুপারিশ করে; তাহলে সুপারিশের তারিখ অথবা তার পদে যোগদানের তারিখের মধ্যে যেটি পরে হবে সে তারিখ থেকে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।
(এ) যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে গণনা করা হবে।
(বি) যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশকৃত হয়ে তার পদে যোগদানের তারিখ হতে গণনা করা হবে
No comments:
Post a Comment